আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওরা মুফতি নয় ====জানোয়ার=================।

লিন্কন

মুফতি শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত। যিনি ইসলামী আইন কানুন, ফিকাহ শাস্ত্র এর উপর সব্বোচ জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন তাঁকেই শুধুমাত্র মুফতি নামে অবিহিত করা যায়। বর্তমানে কিছু জঙ্গী নিজেদের নামের আগে মুফতি শব্দটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করছে। একজন ইসলামী শরীয়তের ফিকাহ শাস্ত্রবীদ কখনো এ ধরনের নোংরা ধ্বংসাত্নক কর্মকান্ড করতে পারেননা। কেননা তিনি যখন ফিকাহ এর উপর পূনার্ঙ্গ জ্ঞানার্জনের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন তখন অন্য কোন বিষয় এর ধারে কাছেও যেতে পারেনা।

বর্তমান বড় বড় আলেম উলামারাই তার জ্বলন্ত উদাহরন। কোন জঙ্গী ধরা পড়লেই তার নামের পাশ্বে মুফতি বা মাওলানা শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়। এ শব্দটি লাগানোর আগে তার জ্ঞান এবং সনদ অবশ্যই যাচাই করা দরকার । মনে রাখতে হবে শুধু মাত্র সমান্য দাঁড়ি রেখে, টুপী পড়ে, লম্বা পান্জাবী কিংবা জুব্বা গায়ে দিলেই মূফতি বা মাওলানা হয়ে যায়না । যার কাছে সনদ এবং ইসলামী শরীয়তের যথাযথ জ্ঞান আছে তিনি কখনো জঙ্গীবাদকে সমর্থন বা এর সাথ জড়িত হতে পারেননা।

এটাই সুনিশ্চিত। কারন ইসলাম শব্দটি সালামুন থেকে আগত যার অর্থ হচ্ছে শান্তি আর শান্তি। ইসলাম কখনো জঙ্গীবাদকে, অন্যায় হত্যা বা অবিচার সমর্থন করেনা। বরং ইসলাম সবসময় শান্তি ও সাম্যের কথা বলে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা জঙ্গীবাদে লিপ্ত তারা আর কিছু হোক অন্তত মুফতি বা মাওলানা হবার যোগ্যতা রাখেননা ।

তাই গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গীদের নামের আগে কোন অবস্থাতেই মুফতি বা মাওলানা শব্দটি যাতে ব্যবহার না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য অনুরোধ রইলো । বুঝতে হবে যাদের আচরনে জঙ্গীবাদ, অন্যায় ভাবে মানুষ হত্যা বা বোমাবাজী, ধনসম্পদ লুণ্ঠন প্রকাশ পায় তারা জানোয়ার ছাড়া আর কিছু হতে পারেননা । আর একজন জানোয়ার কখনো মুফতি বা মাওলানা হতে পারেননা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.