শুনছেন দাদা,
"আমি হলাম ঘটক,
তা বলে দিন কেমন মেয়ে
পছন্দ আপনার?
যে বউ হয়ে খুলে দিবে
আপনার ঘরের ফটক?
আমি দিলাম তার হাতে
ছবি একখানা।
ঘটকদা ছবি দেখেই বললেন,
"ভগবানের কৃপা অতিশয়।
কি সুন্দর মুখখানা,
আর ঐ ঠোঁট জোড়া।
দাদার পছন্দের যে তারিফ করতে হয়।
আর দেখুন না,
আমার কাজ হয়েছে এখন কত সোজা?
মেয়ে পছন্দ করেই রেখেছেন,
বাকি শুধু মেয়ের বাবা মাকে বলাটা।
ওসব ছেড়ে দিন আমার হাতে,
দেখুন না, পুরো ব্যাপারটা সামলে নেই কিভাবে।
আমি গলা পরিষ্কার করে
তাকালাম ঘটকদার দিকে।
ঘটকদা হাসি মুখে বলল,
"কিছু বলবেন নাকি দাদা?
আর কিই বা আপনি বলবেন?
কিচ্ছু ভাববেন না,
পণের অঙ্কটা বড় করে নিব,
বিয়ের লগ্নটাও হবে আপনার পছন্দ মত।
সাথে চান যদি,
মোটর সাইকেল কিংবা ডুপ্ল্যাক্স ফ্ল্যাট
যদিও বা হবে বাড়াবাড়ি,
তবুও ছাড়ব না কানাকড়ি।
"থামুন" গর্জে বললাম আমি।
"অ্যাঁ! কেন? রাগ করলেন বুঝি?
আর কি চান,
বলে ফেলেন তাড়াতাড়ি। "
বললাম, "আমার জন্য মেয়ে খোঁজাটা
মোটেও সহজ হবে না। "
"তাহলে এই সুন্দর ছবিটা?"
"শুধু এই মেয়েকেই আমি বিয়ে করবো না"
"কেন? কেন? সুন্দর ডাগর ডাগর চোখ,
সাথে ঐ চিকন ঠোঁটখানা,
সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর,
মোটেও খারাপ না। "
বললাম, "শুনলাম, এই মেয়ে নাকি গিয়েছে পার্সোনা,
করিয়েছে 'স্পা';
ঠিক হবে কি এমন মেয়েকে জেনে শুনে বিয়ে করা?"
কিছুক্ষণ বাদে, ঘটক মহাশয় বললেন,
"তা,দাদা, আমি বরং অন্য ক্লায়েন্ট খুঁজি,
আপনি নন আমার ক্লায়েন্ট,
আপনি মানুষটা ভীষণ পাঁজি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।