আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি শনিবার রাতে এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে ডুবে যাবে বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে বিশ্বের ১৩৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মানুষ নিজ বাড়ি বা কর্মস্থলের বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে রাখবেন।
উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপি এই ‘বাতি নেভানো কর্মসূচি’র উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ার্ল্ড লাইফ ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। ২০০৭ সাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এই এক ঘণ্টাকে বলা হচ্ছে ‘আর্থ আওয়ার’। আর্থ আওয়ারের মূল লক্ষ্য, জনগণকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন ও জ্বালানি শক্তি সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা।
২০০৮ সালে বিশ্বের ৩৫ দেশের পাঁচ কোটি মানুষ এবং ২০০৯ সালে ৮৮ দেশের ৪ হাজার ৮৮ শহরের ১০০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। আর ২০১১ সালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ১২৮ দেশের মানুষ। বাংলাদেশে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ প্রথমবারের মতো আর্থ আওয়ার পালন করা হয়।
আর্থ আওয়ারে প্রথম অন্ধকার হবে সিডনির অপেরা হাউজ এবং হারবার ব্রিজ। এর পরপরই আলো নিভে যাবে টোকিও টাওয়ার, টাইপে ১০১ এবং চীনের গ্রেট ওয়ালে।
এদিকে সরকারিভাবে দ্বিতীয়বারের মতো আর্থ পাওয়ার পালন করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
এ কর্মসূচি পালনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব (উন্নয়ন-২) মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি সব বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেও নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এক ঘণ্টা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে পারলে ৪০০ টন তরল জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। এ সময়ে ১৬ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলে দাবি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
আর্থ আওয়ারের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। তবে সচেতনতার জন্য ব্যবহারকারিদের বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।