আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দামি খাবারের নামে কেএফসি’র প্রতারণা চলছেই

আমি আছি সেইখানে............যেখানে নই তোমরা...তাই বলে নই আমি একা ফ্রায়েড চিকেনের বিশ্বখ্যাত বিক্রেতা ক্যান্টাকি ফ্রায়েড চিকেন (কেএফসি)র বাংলাদেশি আউটলেটগুলোতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও ত্রেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে একাধিকবার এই প্রতিষ্ঠানটির আউটলেটগুলোকে নিম্নমানের খাবার ও পরিবেশের দায়ে জরিমানা করলেও তার গুনগত কোনো পরিবর্তন আসেনি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। খাবারের মান ও পরিমানের তুলনায় দাম অনেক বেশি বলেও অভিযোগ তাদের। নজরকাড়া বিলবোর্ড ও চমকপ্রদ বিজ্ঞাপণ দিয়ে ক্রেতা টানলেও খাবার খেতে গিয়ে হতাশ হয়েছে এমন কথা বলেছেন অনেকেই। ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডের কেএফসির একজন ক্রেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আনোয়ারুল কবীর জানান, ‘আজ থেকে বছরখানেক আগেও কেএফসি খাবারের যে স্বাদ ছিল তা এখন আর পাওয়া যায় না।

একটি ফ্রায়েড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ও একটি ড্রিকংস অন্যান্য ফাস্টফুডের দোকানে ১৭০ টাকায় পাওয়া গেলেও কেএফসিতে ড্রিংকস বাদে একটি চিকেন ও ফেঞ্চ ফ্রাইজের দাম ২০০ টাকার পড়ে যায়। কেএফসি বাংলাদেশের মূল কোম্পানি ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে তাদের পণ্যের গুণগত প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও প্রকৃত চিত্র ভিন্ন, বলেন একাধিক ক্রেতা। নাহিদা সুলতানা নামে একজন নারী ক্রেতা জানান, পার্সেল নিলেই ঠকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় কেএফসি। দুটো ফ্রায়েড চিকেন কিনলে একটি অবশ্যই অপরটির চেয়ে অনেক ছোট সাইজের ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

চকচকে মোড়কে খাবার পার্সেল দেওয়ার নামে এ কাজটিই করে কেএফসি, জানান ক্ষুব্ধ ওই ক্রেতা। এবছরের ৭ মার্চ ভেজাল বিরোধী অভিযানে কেএফসিকে বড় অংকের অর্থদণ্ড দিতে হয়। এসময় অভিযানের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা কেএফসিতে গিয়ে দেখতে পান, অপরিষ্কার হাতেই একজন কর্মচারী চিকেন স্ট্রিপস (মুরগির মাংসে তৈরি এক ধরনের খাবার) তৈরি করছেন। অথচ তার জীবাণুমুক্ত হাত মোজা (হ্যান্ড গ্লাভস) পরার কথা ছিল। বিষয়টি ওই অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিনের নজরে আসার পর তিনি কেএফসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সম্প্রতি নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের দায়ে চট্টগ্রামেও কেএফসিকে জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কেএফসিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, কেএফসি নামধারী প্রতিষ্ঠান হলেও খাবারের কোন মান নেই। টমেটো সালাদ ও সস’র মেয়াদ নেই। পরীক্ষা ছাড়াই রান্না হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী।

রান্নাঘরের পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) এর একটি সূত্র জানায়, কেএফসি যে ধরনের খাবার তৈরি করে তা বিএসটিআই নির্ধারিত ১৫৩টি পণ্যের আওতার বাইরে। তাই কেএফসির খাবার কতটা মানসম্পন্ন তা বিএসটিআই এর জানা নেই। এইখান থেকে নেয়া হয়েছে  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।