কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম
গত কয়েকদিন ধরে এফএম রেডিওতে এয়ারটেলের নতুন কয়েকটি বিজ্ঞাপন অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুনতে হচ্ছে। নতুন এই রেডিও বিজ্ঞাপনের আইডিয়াটি হল- বিদ্যাসাগর যুগের সাধু ভাষায় বিভিন্ন লোকজনের কথোপকথন।
কিন্তু এর মধ্যে দুইটি বিজ্ঞাপন শুনে বুঝতে পারি না এয়ারটেলের সুনাম করছে নাকি দুর্নাম!
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা
জনৈকা মেয়ে/নারী/রমণী/মহিলা তার কয়েকজন বান্ধবীকে দাওয়াত করেছে। খেতে বসে বান্ধবীরা দেখলে শুধু শাক-ভাত। এক বান্ধবী মেজবানকে জিজ্ঞেস করল সে কোন বিবেচনায় তাদের শুধু শাক-ভাত খেতে দিয়েছে।
জবাবে মেজবান বান্ধবী হেসে বলল- শুধু শাকটাই দেখলে হবে না, শাকের নিচে মাছ লুকানো আছে সেটাও দেখতে হবে।
আমার ক্ষুদ্র মাথায় বলে- এই বিজ্ঞাপনের অর্থ হল- শুধু বাইরেরটা দেখে নয়, ভিতরের/লুকানো বিষয়টাই হল মূল্যবান/গুরুত্বপূর্ণ!
কিন্তু সমস্যা হল- এয়ারটেলের ভাষায় এই বিজ্ঞাপনের অর্থ হল-
তাদের কোন লুকানো বা হিডেন চার্জ নেই!
লে হালুয়া! তার মানে শাকের নিচে কিছুই নেই!
ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হয়
মানিক ও রতন দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু। একদিন দুই বন্ধু কোথাও যাচ্ছিল। চলতি পথে মানিক একটি ইটের টুকরো কুড়িয়ে রতনে দিকে ছুড়ে দিল। রতন ব্যথা পেয়ে কুকিয়ে উঠল।
পরক্ষণেই রতনও একটি ইটের টুকরো তুলে মানিকের দিকে ছুড়ে দিল। এবার মানিক ব্যথায় কুকিয়ে উঠে রতনকে জিজ্ঞেস করল- এটা কি করলে বন্ধু! জবাবে রতন বলল- কেন তুমি জান না ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হয়!
আমার ক্ষুদ্র মাথায় বলে- এই বিজ্ঞাপনের অর্থ হল- অন্যায় করলে তার ফল হাতে নাতে পেতে হয়।
কিন্তু সমস্যা হল- এয়ারটেলের ভাষায় এই বিজ্ঞাপনের অর্থ হল-
এয়ারটেলে মাত্র ৫ টাকার কথা বললেই বোনাস টক টাইম পাওয়া যায়!
মার ডালা! তার মানে এয়ারটেলে কথা বলার অপরাধে (!) আরও বেশি কথা বলতে হবে!!!
আমার আর ইহজন্মে ডিজিটাল হওয়া হবে না! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।