রাজশাহীর ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কলগার্ল ও মদসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মাহবুব আলম ওরফে মাহাবুব নামের ওই ব্যবসায়ী এখন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর তার কলগার্ল নিশাত ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি ক্যামেপর একটি গোয়েন্দা দল শুক্রবার রাতে ক্যামেপ ফেরার পথে পবার আন্ধারকোঠা গ্রামে জনৈক খাতিরের রাইস মিলের সামনে একটি সাদা কার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মোটরসাইকেল থামায়।
এসময় মাহবুব অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মোটরসাইকেলের লাইট বন্ধ করতে বলে। পরে র্যাবের গোয়েন্দা দল তাদের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে মাহবুব তার প্রাইভেট কার থেকে লাইসেন্সকৃত রিভলবারটি হাতে নিয়ে নেমে আসে এবং র্যাবের গোয়েন্দা দলকে হুমকি দেয়। গোয়েন্দা দল বিষয়টি র্যাবের রেলওয়ে কলোনি ক্যামপকে জানালে একটি অপারেশন দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহাবুব ও তার প্রাইভেটকার থেকে কলগার্ল নিশাত, পিএস তরিকুল ও ড্রাইভার হেলালকে আটক করে। পরে তার প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলি, ফেনসিডিল, বিয়ার উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ডের তৈরী লাইসেন্সকৃত .৩২ বোর রিভলবার, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল ফেনসিডিল, ৪ ক্যান বিয়ার ও ১ বোতল হুইস্কি।
উদ্ধারকৃত রিভলবারের গুলির মধ্যে ১৪ রাউন্ড অবৈধভাবে কেনা বলে র্যাব জানিয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাদের পবা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কলগার্ল নিশাত, পিএস তরিকুল ও গাড়ির ড্রাইভার হেলালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অসুস্থ হওয়ার কারণে মাহবুব কন্ট্রাক্টরকে পবা থানা পুলিশ হেফাজতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাহবুবের কলগার্ল নিশাতের বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জের রাজারামপুর। মাহবুব তার বিভিন্ন অপকর্মে কলগার্ল নিশাতকে ব্যবহার করতো বলে জানা গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।