জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা চার মিনিটে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাঁকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এরপর তাঁকে এজলাসে তোলা হবে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাকক্ষে আটক ছিলেন।
গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তাবষ্টেনী গড়ে তোলা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারা সড়ক, শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এতে এসব সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তাঁর পরিচয়পত্র দেখছেন।
হাইকোর্টে প্রবেশের দুটি ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু মাজার-সংলগ্ন ফটক দিয়ে বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
দুই ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে নানা কারণে গোলাম আযমের মামলাটি অন্যতম আলোচিত।
১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতীকী গণ-আদালতে গোলাম আযমকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে গোলাম আযমের বিচারের বিষয়টি আলোচিত হতে থাকে। তদন্ত শেষে প্রায় দুই বছর পর ২০১২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের ১১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠান। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক চলে।
চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
এর প্রায় তিন মাস পর গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আদেশে বলেন, সোমবার (আজ) গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ জন্য তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।