গল্প আমরা যে কোন বিপদে অন্যকে দোষারোপ করি। আবার ভাগ্যকেও দোষ দেই। কখনও বলি সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। যে কোন বিপদ বা সমস্যায় মূলত এই কারনগুলো চিহ্নিত করি।
১
আমরা কখনও বুঝে বা কখনও না বুঝে বিপদে অন্য লোককে দোষ দেই ।
এর যথার্থ কারন থাকে। কিন্তু যখন বুঝতে পারি এক বা একাধিক ব্যক্তির কারনে বিপদ হয়েছে তখন মানতে খুবই কষ্ট হয়। কথা হচ্ছে এমন যদি হয় প্রতিবাদ করার মতা নেই। তখন মন থেকে ঘৃণা করা ছাড়া কোন শক্তি থাকেনা। এটা প্রতিবাদের সবচেয়ে বড় কৌশল মনে হয় আমার কাছে।
কারন সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেখছেন।
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বয়সের নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা দেওয়ার সাথে মতারও সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন। বেশি অত্যাচার করলে দেরিতে হলেও নির্মম শাস্তি দেন। শাস্তি নিজের উপরও হতে পারে বা পরবর্তী প্রজন্মের উপর পড়তে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা এক সময় অত্যাচারিত ব্যক্তিকে সুখি করতে পারেন।
অনেককে দেখছি প্রথম জীবনে অনেক কষ্ট করছে। পরবর্তী জীবনে সুখের দেখা পেয়েছে। পৃথিবীর সব লোককে যদি সৃষ্টিকর্তা সুখি করেন তার কোন কিছুর কমতি হবেনা। আমরা এমন কিছু আচরন করি বা নিজেদের ভুলে নিজেরা বিপদে পড়ি এবং এক সময় মনে হয় এমন না করলেও পারতাম। যদিও কিছু লোকের মনে হবেনা।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ভারী কাজ ছাড়াও পৃথিবীতে করার মত অনেক কাজ আছে। বুঝেও আমরা অনেকে চলতে পারিনা। মতা বা বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিনা দোষে নিজে বা পরবর্তী প্রজন্ম যাতে বিপদে না পড়ে সেদিকে খুব বেশি ল্য রাখা দরকার। কথায় আছে ‘‘উপকারের ঘাড়ে লাথি’’।
২
আমরা ভাগ্যের দোষে বিপদে পড়ি আবার ভাগ্যের কারনে অলৌকিকভাবে সাফল্য পাই। ভাগ্যকে তখনই দোষ দেওয়া যুক্তি সঙ্গত যখন প্রয়োজনীয় সব কিছু করার পর উদ্দেশ্য সফল না হয়। অযথা ভাগ্যকে দোষ দেওয়া আর অচল পয়সা একই কথা।
৩
সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালর জন্য করেন বা সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। যদিও সত্য সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সব কিছু হয়।
প্রকৃত পে এই কথাগুলো বলি নিজে শান্তনা পাওয়ার জন্য বা অন্যকে শান্তনা দেওয়া জন্য।
যে কোন কারনে বিপদ হোক। আমার মনে হয় নির্দিষ্ট সময়ে বিপদ কেটে যায়। তা নির্ভর করে প্রাকৃতিক পরিবেশ, বিশ্ব, রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও পারিপার্শিক অবস্থার উপর। যাই হোক আমরা যদি মানবতা রা করতে পারি।
বিপদের মধ্যেও হৃদয়ে একটা সুখ থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।