আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে পরেশ বড়ুয়ার বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য: ভারতীয় জি নিউজের খবর

Click This Link ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যে কোন ধরনের আলোচনার বিরোধী উলফা’র শীর্ষ কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া। ভারতে ফিরতে তিনি নারাজ। সে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায় তার বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি রয়েছে। ওই ব্যবসায়িক স্বার্থেই তিনি ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ঘোরতর বিরোধী। ভারতের জি নিউজ-এর সাংবাদিক দীনেশ শর্মা গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চলমান নানা সন্দেহজনক তৎপরতা এর সত্যতা প্রমাণ করে।

‘উলফা চিফ’স বিজ এমপায়ার ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে উলফা প্রধানের বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া পরিচয়ে পরেশ বড়ুয়া দুই কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশে। তার ব্যাপারে তিন মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে তার বরাত দিয়েই প্রকাশিত হয়েছে এ সংবাদ। ওই টপ সিক্রেট রিপোর্টের একটি কপি জি নিউজ-এর হাতে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, উল্লিখিত বিনিয়োগের মধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে লন্ডনভিত্তিক ব্যবসায়ী ‘কারুজ্জামা’ (খায়রুজ্জামান? কামরুজ্জামান?)-কে। ঢাকার বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে বড়ুয়ার রয়েছে ১৭% শেয়ার।

এখানে তার বিনিয়োগ ৭০ লাখ ডলার। জনৈক বাবুলের মালিকানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং প্রজেক্টে তার বিনিয়োগ ৪০ লাখ ডলার। যমুনা গ্রুপ হাউজিং প্রজেক্টে বিনিয়োগ ৩০ লাখ ডলার। দুবাই-এ বসবাসকারী জুমেন- এই ভুয়া পরিচয়ে তিনি ৩০% শেয়ার কিনেছেন ডা. জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন শমরিতা হাসপাতালের, একই পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন একেএম মাইদুল ইসলাম মালিকানাধীন কাসেম টেক্সটাইলের। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী শিপিং কোম্পানিতেও পরেশ বড়ুয়ার রয়েছে ৩০ ভাগ শেয়ার।

এসব বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ ডলার। উইমফ্রে চাইনিজ রেস্তরাঁতেও তার বিনিয়োগ রয়েছে ১ লাখ ডলার। এসব বিনিয়োগ থেকে তার ত্রৈমাসিক আয় আসে ৭৫ হাজার ডলার। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, সামিট গ্রুপ ও দিলকুশার ওয়ান গ্রুপে বিনিয়োগ থেকে একই সময়ে তার আয় হয় ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ওয়েস্টার্ন মানি চেঞ্জারের বিনিময় থেকে বছরে পরেশ বড়ুয়া পান ৫ লাখ ডলার।

এ অর্থ ব্যয় হয় অস্ত্র ক্রয় ও উলফা ক্যাডারদের বেতন-ভাতায়। ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে খবর পাওয়ার পর ওইসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.