মঙ্গলবার ভোরে মুরসি সমর্থকরা নীল নদের সেতু অবরোধের চেষ্টাকালে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় মুরসি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ হয়।
এর আগে, সোমবার রাত ৯টার পর থেকে মুরসি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বিক্ষপ্ত সংঘর্ষ চলছিল।
তবে এবারের সংঘর্ষ আগের মতো ব্যাপক ছিল না। ছোট ছোট এই সংঘর্ষের ঘটনাগুলো স্থানীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল।
কায়রোর অধিকাংশ এলাকাতে এসব সংঘর্ষের কোনো প্রভাব পড়েনি।
গত ৩ জুলাই মিশরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে। পরবর্তীতে এর জের ধরে সৃষ্ট ব্যাপক সংঘর্ষে ৯২ জন নিহত হয়।
এরপর এক সপ্তাহ মোটামুটি শান্ত থাকার পর আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। কায়রোর অন্যতম পর্যটন এলাকা মিশরীয় জাদুঘরের সামনেও সংঘর্ষ হয়েছে।
কাঁদুনে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে মুখ বেঁধে তরুণ-যুবকরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে মুরসির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিল, মাঝে মাঝে “আল্লাহু আকবর”ও বলছিল তারা।
৩০ জুনের মুরসিবিরোধী যে সমাবেশের জের ধরে সেনাবাহিনী নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে তাতে অংশগ্রহণকারী অনেকেই চলতি পরিস্থিতিতে হতাশ।
সেনাবাহিনীর দাবি, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে; এর বিপরীতে মুরসি সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, পরিস্থিতির সুযোগে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ৩৪ বছর বয়সী কম্পিউটার প্রকৌশলী আলা আল দিন বলেন, “সেনাবাহিনী জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ”
রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে মিশর ক্রমেই গভীরভাবে পরস্পরবিরোধী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি বিষয়ে ইসলামপন্থী ও উদারপন্থী-বামপন্থী শিবির একই জায়গায় অবস্থান করছে, যুক্তরাষ্ট্রকে গভীরভাবে অবিশ্বাস করছে তারা।
প্রতি বছর মিশরকে দেড়শ’ কোটি ডলারের সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যার প্রধান সুবিধাভোগী মিশরের সেনাবাহিনী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।