আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কায়রোর আল ফাতা মসজিদ ঘিরে উৎকণ্ঠা

শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিতরে ব্রাদারহুড সদস্যদের অবস্থান ও বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানে মসজিদ ঘিরে তীব্র উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। যে যার অবস্থানে অটল থাকায় সেখানে আপাত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। অচলাবস্থার অবসান কিভাবে হবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে উৎকণ্ঠাও বেড়ে চলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এর পর থেকেই সংঘর্ষের কেন্দ্র রামসিস স্কয়ারের আল ফাত মসজিদে আশ্রয় নিয়ে আছে ব্রাদারহুড সদস্যরা।

নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ছেড়ে না গেলে ব্রাদারহুড সদস্যরাও মসজিদ থেকে বের হবে না বলে জানিয়েছে। গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কায়রোর রাব্বা আল আদাবিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অপসারণের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ করতে থাকে তার সমর্থকরা ব্রাদারহুডের সদস্যরা। প্রতিবাদ দমনে ২৭ জুলাই মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ৮০ জনেরও বেশি মুরসি সমর্থক নিহত হওয়ার পরও অবস্থান ছাড়েনি মুরসি সমর্থকরা। বরং এই ঘটনার পর থেকে আদাবিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণের পাশাপাশি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অপর আরেকটি স্থানেও অবস্থান নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।

দুটি স্থান থেকে তাদের সরাতে বুধবার অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে দুটি স্থানে অন্তত ৬শ’ ৩৮ জন নিহত হয়। বুধবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারকে ‘ক্ষোভ দিবস’ ঘোষণা করে মুসলিম ব্রাদারহুড। ওইদিন জুমার নামাজের পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দেয় ইসলামপন্থী সংগঠনটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করে কায়রো ও আশপাশে সান্ধ্য আইন জারি করে মিশরের অন্তর্বর্তী সরকার।

জুমার নামাজের পর হাজার হাজার ব্রাদারহুডে সদস্য পথে নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সারাদেশে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সমাবেশ করে প্রতিবাদ করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রাদারহুড। আল ফাতা মসজিদের দখল ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে ব্রাদারহুড সদস্যদের রাজি করাতে শনিবার মসজিদটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা প্রবেশ করেছে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, মসজিদের বাইরে দাঙ্গা পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছে।

তবে সহিংসতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিবিসি’র কায়রো প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মসজিদের ভিতরে অবস্থান নেয়া ব্রাদারহুড সদস্যরা মসজিদ থেকে বের হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সহিংসতারও আশঙ্কা করছেন তারা। মসজিদটি ছাড়ার আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এলাকা ছাড়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। রামসিস স্কয়ারে শুক্রবারের সংঘর্ষের সময় নিহত ও আহত মানুষে ভরে যায় আল ফাতা মসজিদ।

সংঘর্ষ থেকে বাঁচতেও বহু মানুষ আশ্রয় নেয় এখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মসজিদটির ভিতর প্রায় এক হাজার মানুষ আটকে আছে। শুক্রবার এক হাজার চারজন “মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্য”কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদের মধ্যে ৫শ’ ৫৮ জনকে কায়রো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।