৪০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল মাত্র ১৫৫ রান। পাঁচটি উইকেটও হারানোর ফলে স্বাগতিকরা ২০০ পেরোতে পারবে কি না, তা নিয়েই ছিল সংশয়। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন কাইরন পোলার্ড ও অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের ৫৮ বলে ৭০ রানের জুটিটির সুবাদেই ২৩২ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ওয়ানডের মতো আজও মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মারমুখী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে অবশ্য বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লস ও ড্যারেন ব্রাভো। ১৯তম ওভারে এই জুটি ভেঙে পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি ফেরান শহীদ আফ্রিদি। ৩১ রান করে ফিরে যান চার্লস। পরে লেন্ডি সিমন্সের উইকেটও তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি স্পিনার।
৫৪ রান করে একসময় ড্যারেন ব্রাভোই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বাগতিকদের। কিন্তু ৩২তম ওভারে সাইদ আজমলের শিকারে পরিণত হন ব্রাভো। ওয়েস্ট ইন্ডিজও পড়ে যায় চাপের মুখে। মারলন স্যামুয়েলস বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলেও রানের চাকাটা ভালোভাবে ঘোরাতে পারেননি। ৬৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
শেষ পর্যায়ে ডোয়াইন ব্রাভোর ৪৩ ও কাইরন পোলার্ডের ৩০ রানের সুবাদে উইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৩২ রান।
বল হাতে আজও সফল শহীদ আফ্রিদি। উইকেট অবশ্য বেশি পাননি, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৩২ রানের মধ্যেই আটকে রাখার পেছনে ভালোই অবদান রেখেছে তাঁর কৃপণ বোলিং। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন দুইটি উইকেট। এবার ব্যাট হাতেও যদি জ্বলে উঠতে পারেন, তাহলে জয় পেতে হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না পাকিস্তানের।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১২৬ রানের বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।