বাধা পেলেই সৃষ্টি হয় গণজোয়ার।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীচালকদের একজন পঞ্চম শ্রেনী পাস।
স্থল নিয়ে ব্যস্ত নৌমন্ত্রী
একমাসের বেশি সময় ধরে সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান সাহেব স্থলপরিবহন নিয়ে প্রায় সমস্ত সময় ব্যস্ত হয়ে আছেন। ১১ জুলাই মীরসরাইয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত গ্রামীণ শিশুকিশোরের মৃত্যুতে নয়, ১৩ আগস্টের দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর সহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর থেকে সুশিল সমাজের ‘অশিক্ষিত ড্রাইভার তাড়াও’ কর্মসূচির মুখে নৌমন্ত্রী সড়ক পথের গাড়ী চালকদের হয়ে বাকযুদ্ধ লড়ছেন। নৌমন্ত্রনালয়ের দফা যখন রফা বলে খবর, তখন নিজের পেশাজীবী সংগঠন (আইনত ট্রেড ইউনিয়ন কি?) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন-এর সহকর্মী ও অধীনস্ত গাড়ি চালক ও শ্রমিকদের তিনি সুশিল সমাজের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত।
জীবনের মূল্য বোঝার সুশিল সনদ
সুশিলদের অভিযোগ; এখন যেই সাড়ে ছয় লাখ সনদপ্রাপ্ত চালক আছেন দেশে, তারা জীবনের মূল্য বোঝেন না। অত:পর সুশিলদের দাবি; যারা জীবনের মূল্য বোঝেন তাদেরই শুধু চালক হিসাবে সনদ দেয়া যাবে। জীবনের মূল্যটি কারা বোঝেন? যারা শিক্ষিত- সুশিলদের উত্তর। অন্যতম সুশিল ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ উত্তর দেয়ার জন্য আগে প্রশ্ন করছেন; ‘এখন প্রশ্ন, ন্যূনতম কতটুকু শিক্ষা থাকলে একজন মানুষ নিজের জীবনের মূল্য বুঝতে শুরু করে?’ সায়ীদের উত্তর ‘আমার ধারণা, ন্যূনতম এসএসসি পাস করলে। ’
‘আলোকিত মানুষ’ গড়ার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র খ্যাত অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ সাহেবের মতে, জীবনের মূল্য বুঝতে হলে এসএসসি সনদ পেতেই হবে।
অধ্যাপক বলছেন, ‘এর চেয়ে কম শিক্ষাও শিক্ষা’ (বটে), কিন্তু একটা কিন্তু আছে। সায়ীদ সাহেব তার পাঠকদের আলোকিত করছেন এই বলে যে, ‘কিন্তু এসএসসি শুধু শিক্ষা নয়, এটা একটা সনদ। এই সনদ একজন সাধারণ মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার স্বপ্ন এনে দাঁড় করায়, জীবন সম্বন্ধে তাকে আশাবাদী করে। ফলে নিজের জীবনের মতো অন্যদের জীবনের মূল্যও তখন তার কাছে ধরা পড়ে। ’
শিক্ষা সনদ দূর অস্ত, প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থাই নেই
কিন্তু হায়! গাড়ী চালনার অনুমতি সনদ প্রাপ্ত দেশের সাড়ে ছয় লাখ চালকের মধ্যে অতি সামান্য অংশই (সায়ীদ সাহেবের মানদণ্ড অনুযায়ী) জীবনের মূল্য বোঝেন।
শুধু তা-ই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবের বাইরেও খোদ গাড়ি চালনার প্রশিক্ষনের অভাবও তাদের আছে- বাধ্যতামূলক অভাব। এই অভাবে অভাবী না হয়ে তাদের উপায় নেই। কারণ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে তথ্য হচ্ছে; বাংলাদেশের রাস্তায় ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৯৭টি নিবন্ধিত গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। এই সব গাড়ির জন্য দরকার ছিল ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৯৭ জন প্রশিক্ষিত গাড়ি চালক। কিন্তু দেশে এই বিপুল সংখ্যক ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই।
বছরে গড়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪২টি গাড়ি রাস্তায় নামলেও দেশে মাত্র সাড়ে তিন হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দিয়ে গাড়ি চালানো শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের তরফে। এখন প্রশ্ন হলো বাকি ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২টি গাড়ি কি প্রশিক্ষিত গাড়ি চালকের অভাবে গ্যারেজে বসিয়ে রাখা হয়?
না। সবই রাস্তায় নামে। কারা চালান ওসব? যেমন ধরুন, অধ্যাপক সায়ীদ সাহেবের প্রতিষ্ঠানের গাড়ি যারা চালান, তারা কারা? অধ্যাপক সাহেব তার নিজের প্রতিষ্ঠানের (বি.সা.কে) লোকেদের গাড়ি চালাবার জন্য কেমন চালক খোঁজেন?
অধ্যাপকের অষ্টম, প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চম পাস চালক
এমাসের ১০ তারিখের দৈনিক প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণের ৯ পাতায়
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়েছে। একজন গাড়ি চালক নিয়োগ দেবার বিজ্ঞপ্তি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে ‘অষ্টম শ্রেণী পাস’। বেতন? ৮,০০০ টাকা। নিয়োগের সাধারণ শর্তাবলীতে বলা হয়েছে.....
বিস্তারিত পড়ুন- View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।