আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর----আয়কর বার্তা ছড়িয়ে দিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

তাশফী মাহমুদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনসংলগ্ন জনবহুল রাস্তা। সকাল থেকেই এক দল ছেলেমেয়ের ব্যসত্ম পদচারণা। বয়স এদের যাই হোক এরা সকলেই স্বশিৰিত। সবার পরনে হলুদ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ। বুকের জমিনে লেখা রয়েছে আয়করের বার্তা 'সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর।

' এদের হাতে হাতেও দেখা গেল আয়করের সেস্নাগান সংবলিত বিভিন্ন লিফলেট ও স্টিকার। তাঁরা ছুটছেন এর থেকে ওর দিকে। প্রাপ্তবয়স্ক সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের কাছে সবিনয়ে জানতে চান তাঁরা আয়কর দেন কি-না। একই সঙ্গে তারা দেশ গড়ায় প্রত্যেককেই অংশ নিতে নিয়মিত আয়কর প্রদানেরও অনুরোধ করেন। কাউকে কাউকে আবার শিখিয়ে দিচ্ছেন আয়কর প্রদানের নিয়মাবলীও।

একই স্থানে অন্য একটি দলকে দেখা গেল তারা বাস, প্রাইভেটকার ও রিক্সার যাত্রীদের হাতে হাতে তুলে দিচ্ছেন দিন বদলের অঙ্গীকারে সবার অংশীদার হওয়ার বার্তা। অনুরোধ জানাচ্ছেন নূ্যনতম কর দিয়ে হলেও সবাই যেন দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার ব্যস্ততম সড়কে একদল স্বেচ্ছাসেবক ছেলেমেয়ের এ দৃশ্য শুধু আগারগাঁওয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সমগ্র রাজধানীর সংযোগ পয়েন্টেই রাজধানীবাসী ও বহিরাগত পথচারী এ দৃশ্য উপভোগ ও অবলোকন করেছে। এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (কর প্রশাসন ও পরিচালনা) শাখার প্রথম সচিব কবিরম্নল ইয়াজদানী খান জানিয়েছেন, দেশে কর সচেতনতা বাড়ানো ও কর প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বছর চতুর্থবারের মতো জাতীয় আয়কর দিবস পালন করেছে। এরই অংশ হিসেবে জনগণের দোরগোড়ায় করের বার্তা পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়।

বিশেষ করে রাজধানীর ৩০টি সংযোগ পয়েন্টে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে রাজধানীবাসীর কর সচেতনতা বৃদ্ধি ও কর প্রদানে উৎসাহী করে তুলতে দিনভর কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে এ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীরই তৎপরতা দেখা গেছে। সূত্র জানায়, আয়কর দিবস পালন উপলৰে শুধু স্বেচ্ছাসেবী কমর্ী বাহিনীর তৎপরতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এর পাশাপাশি র্যালি প্রদর্শন, আলোচনা, সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদে কর প্রদানকারীদের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননাও দেয়া হয়। একই সঙ্গে দিবসটি পালন উপলৰে জাতীয় দৈনিকসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও সু্যভেনির প্রকাশেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এছাড়া সকল বিভাগীয় শহরের উলেস্নখযোগ্য স্থাপনাসমূহে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়েছে। এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও পরিচালনা) সৈয়দ মোঃ আমিনুল করিম এ বিষয়ে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক কমর্ীরা মূলত মানুষের ঘরে ঘরে আয়করের বার্তা পেঁৗছে দেয়ার কাজটি করার চেষ্টা করেছে। এ জন্য তাদের হাতে লিফলেট ও স্টিকার সরবরাহের পাশাপাশি কিছু দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল যাতে তারা সংশিস্নষ্ট ব্যক্তিবর্গকে বোঝাতে সৰম হন আয়কর রিটার্ন কি? কারা দেবেন? কিভাবে দেবেন? রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে? কোথায় দাখিল করতে হবে? রিটার্ন দাখিল না করলে কি হবে? এছাড়া ফরম পূরণেরও স্পট এ্যাসেসমেন্ট সংক্রানত্ম নির্দেশিকার বিষয়েও স্বেচ্ছাসেবক কমর্ীরা অবহিত করেছে। আয়কর বিভাগ মনে করে এ ধরনের কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে করের আওতা বাড়বে এবং দেশে করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমিনুল করিম আরও বলেন, করদাতাদের জন্য কোন কর অঞ্চলই এখন ভয়ভীতির জায়গা নয়।

বরং প্রত্যেক করদাতার জন্য সংশিস্নষ্ট কর অঞ্চল একটি সহযোগিতার মাধ্যম। তাছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটা গণমুখী ও করবান্ধব হওয়া যায়, তারই প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করছে। করদাতার হয়রানি লাঘবে ও কর প্রদানে উৎসাহিত করে তুলতে ব্যাপক সংস্কারমুখী পদৰেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার আংশিক ইতোমধ্যে বাসত্মবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার প্রচেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

View this link আমি খুবই গর্বিত যে ,এই বিশাল কার্যক্রমের আমিও ক্ষুদ্র একটি অংশ ছিলাম। আমার কাজ ছিল এলিফ্যান্ট রোড এ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.