গফরগাঁও কে বিশ্বের মাঝে উপস্হাপন করতে চাই
আইনি সুবিধাবঞ্চিত বন্দিদের সহায়তা দিতে পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে কারা কর্তৃপড়্গ। প্রাথমিক ধাপে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ তিনটি কারাগারে এ প্রকল্প বাসত্মবায়ন করা হবে। পরে ক্রমান্বয়ে সব জেলা কারাগারগুলো এ পাইলট প্রজেক্টের আওতায় আনা হবে। বন্দিদের পুনর্বাসনের লড়্গ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যনত্মরে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদ এসব কথা জানিয়ে বলেন, আইনি সুযোগ না পাওয়ার কারণে যাতে কাউকে কারাগারে বন্দি থাকতে না হয় তার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, অনেক বন্দিই বিভিন্ন সঙ্কটের কারণে আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না।
ফলে এদের অনেকেই আইনি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাভোগ করে।
সংশিস্নষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বন্দিদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে কারা কর্তৃপড়্গের গৃহীত নানা পদড়্গেপের অংশ হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যনত্মরে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গতকাল এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় ফ্যাক্টরির প্রশিড়্গণ কার্যক্রম। সূত্র জানায়, প্রশিড়্গিত বন্দিদের দিয়েই পরে এ কারখানাকে উৎপাদনমুখী করে গড়ে তোলা হবে।
আশানুযায়ী সাফল্য পাওয়া গেলে উৎপাদিত পণ্য দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে বর্তমানে বহুমুখী কারিগরি প্রশিড়্গণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। কর্তৃপড়্গের নিজস্ব উদ্যোগে জেল অভ্যনত্মরে কয়েদি ও হাজতিদের ইলেক্ট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স ও পস্ন্যাম্বিংসহ নানা কারিগরি বিষয়ে প্রশিড়্গণের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল এসব প্রশিড়্গণের সঙ্গে যুক্ত হলো গার্মেন্ট প্রশিড়্গণ। সূত্র জানায়, ১০০ জনের একটি গ্রম্নপ করে প্রশিড়্গণ শুরম্ন করা হবে।
পর্যায়ক্রমে কারাগারের বিপুলসংখ্যক আগ্রহী পুরম্নষ ও মহিলা কয়েদি এবং হাজতিদের প্রশিড়্গিত করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া বন্দিদের ইলেক্ট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স ও পস্ন্যাম্বিং কাজে পারদর্শী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে কারা কর্তৃপড়্গ। এজন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির জোগান দিয়ে প্রশিড়্গক নিয়োগ করা হয়েছে। অর্ধশিড়্গিত বা নিরড়্গর বন্দিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজমিস্ত্রি ও টাইলস ফিটিংস প্রশিড়্গণের।
আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান যায়যায়দিনকে বলেন, বিভিন্ন অপরাধে বন্দি কয়েদি ও হাজতিরা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যাতে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারে সেজন্য এসব প্রশিড়্গণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রশিড়্গিত বন্দিদের প্রশিড়্গণ শেষে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। যা দিয়ে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে তারা। জাকির হাসান দাবি করেন, কারা অভ্যনত্মরে যে গার্মেন্ট ট্রেইনিং সেন্টার চালু করা হচ্ছে সেখানে বিপুলসংখ্যক বন্দি প্রশিড়্গণের সুযোগ পাবে। দায়িত্বশীল এক কারা কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বহুমুখী কারিগরি প্রশিড়্গণ শুরম্ন করা হলেও পরবর্তী সময় এ কর্মসূচি ব্যাপক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদ বন্দিদের দিয়ে সোয়েটার তৈরিসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রশিড়্গণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আধুনিক কারাগারের রূপকার আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (প্রিজন) মেজর সামছুল হায়দার, সিনিয়র জেল সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম ও জেলার ফারম্নক আহমেদ। কারাগার পরিদর্শন শেষে বন্দিদের আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সবাই।
সুত্র :http://www.jaijaidin.com/details.php?nid=100220
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।