নিজের সম্পর্কে কি আর লিখব। ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র পাচারকালে শাহেনশাহ নামক এক শ্রমিককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বিশেষ কৌশলে অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গের মাঝখানে স্কচটেপে আটকে প্রশ্নপত্র পাচার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছিল শাহেনশাহ৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশংকায় সতর্কতা হিসেবে ২৩ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে৷ গ্রেফতারকৃত শাহেনশাহের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসেদপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে৷ প্রশ্নপত্র পাচারের অপচেষ্টাকালে শ্রমিকের গ্রেফতার হওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. খন্দকার মোঃ শিফায়েত উল্লাহ৷ এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত শাহেনশাহের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে৷ র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত নেপথ্য নায়কদের সন্ধানে নেমেছে৷ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলেও বিশেষ সতর্কতা হিসেবে নতুন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষার তারিখ এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে বলে তিনি জানান৷ নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপাখানায় প্যাকিংসহ বিভিন্ন কাজের জন্য দিনমজুর নিয়োগ দেয়া হয়৷ জানা গেছে, প্রেস ম্যানেজার ফয়েজের মাধ্যমে শাহেনশাহ নামের ওই দিনমজুর কয়েকদিন আগে ছাপাখানায় কাজে যোগদান করে৷ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মানুসারে যে কোন শ্রমিক ছাপাখানায় প্রবেশের আগে নিজের গায়ের জামাকাপড় খুলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত ছাপাখানার পোশাক পরে কাজে যোগদান করে৷ কাজ শেষে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে গিয়ে গায়ের জামা খুলে ফেলতে হয়৷ তখন পরনে শুধু আন্ডারওয়্যার থাকে৷ প্রেস থেকে যেন কোন কিছু নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য অধিদফতরের লোকজন প্রতিটি শ্রমিককে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরীক্ষা করে৷ জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে শাহেনশাহ যথারীতি কাজ শেষে আন্ডারওয়্যার পরে শারীরিক তল্লাশির জন্য লাইনে দাঁড়ায়৷ যথারীতি তার পুরো শরীর তল্লাশি করে ছেড়ে দেয়ার সময় হঠাত্ করে প্রেসের একজনের বেরিয়ে যাওয়ার তাড়া দেখে ফের লাইনে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন৷ ওই সময় অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গের নিচের দিকে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো প্রশ্নপত্র খুঁজে পান৷ খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ছুটে এসে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে প্রফেসর ডা. খন্দকার মোঃ শিফায়েত উল্লাহ বলেন, বিশেষ কৌশলে এভাবে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ধরা না পড়লে সত্যি সত্যি প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো৷ এমনটি হলে সরকারের বদনাম হতো৷ উল্লেখ্য, তিনি ছয়বার পরিচালক হিসেবে এমবিবিএস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করেন৷ র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও অনেকেই জড়িত৷ লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বাইরে এ প্রশ্ন বিক্রি হতো৷ এমনিতেই কয়েকদিন যাবত্ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে বলে গুঞ্জন চলছিল৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।