।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
চলেন কিছু প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা ঘুরে আসি:
## Göbekli Tepe
Turkey
Göbekli Tepe হল সবথেকে প্রাচীন আবিষ্কৃত মানুষের তৈরি কাঠামো। এটি পাহাড়ের উপর বিশ ভাগে বিভক্ত। এখানকার পিলার গুলায় সাপ,বিছা,পাখি,শিয়াল এবং সিংহ এর প্রতিকৃতি রয়েছে। এটা আসলে উপসনালয় কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
কারন এর নির্মাণকাল ধরা হয় tenth millennium BC। এত আগে ঐ জায়গার মানুষ কিসের বন্দনা করত তা আজও জানা যায়নি। যেহেতু এর আশেপাশে আর কোন নির্মাণশৈলী নাই তাই এটিকে ঐ সময়ের মানুষের উপসনালয় হিসাবে ধরা হয়।
## The Hypogeum
Malta
The Hypogeumএর নির্মাণকাল ৩৫০০বিসি। এটিই একমাত্র আবিষ্কৃত প্রাচীন উপসানালয় যা মাটির নীচে স্থাপিত।
The Hypogeum প্রাকৃতিক গুহা এবং মানুষের তৈরি তিনস্তরের ধাপে তৈরি। এটি আবিস্কার হয় দুর্ঘটনাক্রমে ১৯০২ সালে। বিল্ডিং তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার সময় এর ছাদ বেড়িয়ে আসে,কিন্তু নির্মাণ শ্রমিকরা প্রথমে এটি চেপে যায়। কিন্তু একজন মুখ খোলায় গ্রীক সরকার বিল্ডিং নির্মাণ বন্ধ করে একটি কমিটি করে দেয় এর উদ্ধারের জন্য।
তারপর বেড়িয়ে আসে তিন ধাপের বিভিন্ন কামরা বিশিষ্ট এই উপসানালয়টি।
##The Pantheon
Rome
The Pantheon বা “All God”, হল প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রধান একটি নিদর্শন। এটির নির্মাণ হয় একরূপে কিন্তু বর্তমান রূপের ডিজাইনটির রূপকার Emperor Hadrian,যা করা হয় 126ADতে। এটিকে খ্রিস্টিয়ান চার্চে রূপান্তর করা হয় ৭ম শতকে। এটার সামনে রয়েছে আরেকটি ক্লাসিক টেম্পল portico, যা সামনে ৮টি মার্বেল পাথরের বিশাল কলাম এবং পিছনে ৪টি করে ৮টি কলামের দ্বারা তৈরি। portico এর পিছনেই The Pantheon এর অবস্থান।
এটি বাইরে থেকে দেখা যায়না,ভিতরে ঢুকেই এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এর মাঝখানে রয়েছে বড় একটি ছিদ্র বিশিষ্ট গম্বুজ। সব থেকে মজার ব্যাপার হল এই ছিদ্র দিয়ে সূর্য বা চাঁদের যার আলো আসুকনা কেন তা কক্ষনো নিচের ফ্লোরে পড়েনা।
##The Ajanta Caves
India
ভারতের মহারাষ্ট্রের The Ajanta Caves এর নির্মাণ কাল 200BC থেকে 600AD। এটির সন্ধান বের করেন একজন ইংরেজ অফিসার জন স্মিথ ১৮১৯ সালে বাঘ শিকারে যেয়ে।
তার পেন্সিল দিয়ে দিন তারিক লেখাটি আজও সেখানকার দেয়ালে রয়েছে। ২৯টির মত গুহা রয়েছে যা পাথর কেটে তৈরি করা। এখানকার অনেক গুহায় রয়েছে মূর্তি আর চিত্রশিল্পের বিশাল সমাহার,যা একেকটি মাস্টারপিস হিসেবে বিবেচিত।
## Borobudur
Indonesia
Borobudur হল ৮ম শতকের বুদ্ধমন্দির। যা হারিয়ে ছিল ১৯শতক পর্যন্ত।
এটা সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি। এখানে বুদ্ধের প্রায় পাঁচশত মূর্তি আছে। Borobudur ছয় স্তরে বিভক্ত। এক স্তর থেকে আরেক স্তরে উঠথে মানুষকে কম্পখখে দুই মাইল ঘুরে ঘুরে উঠতে হয়। আর এই উঠার পথের দেয়ালে রয়েছে বুদ্ধের জীবন কাহিনীর চিত্র।
##Pyramids of Teotihuacan
Mexico
পিরামিড অফ মুন
রাস্তা
পিরামিড অফ সান
এক সময়কার বিখ্যাত জনবহুল শহর Teotihuacan। যার বাসিন্দা ছিল ২,০০,০০০ এর উপর। অথচ জানা যায়নি কারা স্থাপন করেছিল এই বসতি। সময়কাল ছিল 100 BCE থেকে 250 CE। এখানে আছে দুনিয়ার বিখ্যাত দুই পিরামিড, পিরামিড অফ সান এবং পিরামিড অফ মুন।
এই পিরামিড দুইটায় মানুষ এবং পশু বলি দেওয়া হত। একটি বিশাল রাস্তা চলে গেছে পিরামিড অফ মুন থেকে পিরামিড অফ সান হয়ে Quetzalcoatl টেম্পল পর্যন্ত। এই রাস্তা জুড়েই চলত বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব।
##Callanish Stones
UK
ধারণা করা হয় এর নির্মাণকাল 2900-2600BC। কথিত আছে এখানকার সবথেকে বড় যে পাথরটি আছে সেটি হল এক দানবের যে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করতে অস্বীকার করেছিল Saint Kieran এর কাছে।
আর তখন সে ও তার সহযোগীরা অভিসাপে পাথর হয়ে যায়। পরে এখানে একটি প্রার্থনার ঘর তৈরি করা হয়।
##The Karnak Temple Complex
Egypt
ফারাও সম্রাট রামসেস। । নির্মাণ করেন বিস্ময়কর The Karnak Temple Complex (ca. 1391–1351 BC)।
এটি দুনিয়ার অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উপসনালায়। এখানে আছে ৪টি টেম্পল। Precinct of Amun-Re,Precinct of Mut, the Precinct of Montu, এবং Temple of Amenhotep IV। কিন্তু দর্শনার্থীদের শুধু মাত্র Precinct of Amun-Re দেখতে দেওয়া হ্য়। বাকিগুলি এখনও খুলে দেওয়া হয়নি সাধারনের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।