আমি যা বিশ্বাস করি না... তা বলতেও পারি না! আমাদের মসজিদে জুম্মার নামাজ আরম্ভ হয় ১:৩০টায়। আমি সাধারনতঃ ১টা সোয়া ১টা তে মসজিদে যাই। আজ কিভাবে যেন একটু লেট হয়ে গেল... মসজিদে গিয়ে দেখি জামাত দাঁড়িয়ে গেছে! কোন কিছু না ভেবেই তাড়াতাড়ি নিয়ত বেধে বারান্দায় রৌদ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেলাম। আর বোকামিটা টের পেলাম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে...
প্রচন্ড রৌদ্রে বারান্দা গরম কড়াইয়ের মত তেঁতে আছে! আমি দাঁড়িয়ে থাকতেই পারছি না! অথচ নিয়তও বেধে ফেলেছি... এখন জামাতও ছাড়তে... পারছি না! ততক্ষণে রুকু হয়ে গেছে। সেজদা দেবার সময় মনে হলো নাক আর কপালে কেউ গরম খুন্তির ছেকা দিচ্ছে!!! কি যে কষ্ট!!!
পায়ের গোড়ালির ওপর ভর করে আছি... ইতিমধ্যে পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে।
আঙ্গুলগুলো যেন আগুনে পুড়ছে!!!
২ রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে ৩/৪ মিনিটের বেশী লাগার কথা না! অথচ আমার মনে হচ্ছিলো অনন্তকাল ধরে আমাকে একটা গরম তাওয়াতে রুটি সেঁকার মত সেঁক দেয়া হচ্ছে!!! দোয়া দরুদ বা নামাজে মনযোগ দেয়া দূরে থাক, দুনিয়ার কোন চিন্তাই মাথায় ঢুকছে না। শুধু মনে হচ্ছিল- কখন নামাজ শেষ হবে, কখন আমি মুক্তি পাব!!! সালাম ফেরানোর আগ মুহুর্তে মনে হচ্ছিল আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নামাজ শেষ হলো। আমি কোন রকমে উঠে একরকম দৌড়ে ওজু খানায় গিয়ে পানি ছেড়ে হাত-পা চুবিয়ে ধরলাম!
ইমাম সাহেব তখন দোয়া পড়াচ্ছেন। আমি মনে মনে ভাবলাম সামান্য ৩/৪ মিনিট রৌদ্রের তাপ সহ্য করতে পারছি না! দোজকের আগুন কিভাবে সহ্য করবো???
আল্লাহ কি তবে আমাকে আজ একটা ছোট্ট শিক্ষা দিয়ে সতর্ক করে দিলেন???
ইয়া মাবুদ, রাব্বুল আল আমিন, গাফিরুর রাহিম... মাফ করে দাও আল্লাহ... সকল গোনাহ মাফ করে দাও... শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই।
আমাদের সবাইকে তুমি ক্ষমা করে দাও!
ইহদিনাস সিরাতুল মুস্তাকিম... আমাদেরকে তুমি সরল পথ দেখাও...
(আমীন)
সফিক এহসান
৮ মার্চ ২০১৩ইং
(শুক্রবার, ২:৩০ ঘটিকা) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।