খালেদা জিয়া আর জামাতীরা যাকে শাস্তি দিতে বলবেন তাদেরকে ধরে শাস্তি দিন, আর যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিন । নইলে স্বাধীনতা বিরোধীরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব শেষ করে দেবে । জামাতীরা জানে সরকারকে কাবু করতে হলে দেশের সম্পদ ও মানুষকে পোড়াতে হবে । সরকারকে ফাঁদে ফেলতে ওরা প্রতিদিন হরতাল করছে এবং দেশের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে । জামাতীরা তো আর বাংলাদেশ চায়নি তাই বাংলাদেশের ক্ষতি করতে তাদের হাত কেন কাঁপবে ? জামাতীরা মনে করে এই ভাবে দেশের ক্ষতি করতে থাকলে একদিন সরকার তাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে ।
কারণ, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তো আর স্বাধীনতা বিরোধীদের মতো দায়িত্বহীন নয় । স্বাধীনতা বিরোধী জামাত বিদেশী তথাকথিত ইসলামিক চরমপন্থী গ্রুপ গুলোর কাছ থেকে শিখেছে যে, কী ভাবে দেশের মানুষকে জিম্মি করে সরকারকে বসে আনতে হয় । আবার সোনায় সোহাগা হলো বাংলাদেশের অপর্যাপ্ত সংখ্যার দুর্বল আইন-শৃংখলা বাহিনী । বাংলাদেশের কোনও সরকারই রাষ্ট্রের বিভিন্ন রক্ষক বাহিনী গুলোকে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসারিত করেনি যার পরিনাম আজ দেশের মানুষ ভোগ করছে ।
প্রতিদিন যেই ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির দেশের সম্পদ নষ্ট করছে ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে, তা থেকে পরিস্কার যে, সরকার জনগনের প্রাণ ও মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে ।
এই অপর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী দিয়ে জামাত-শিবিরের মতো সুসংগঠিত চরমপন্থী গ্রুপকে কোনও ভাবেই লাগাম দেওয়া সম্ভব না তা জামাত-শিবিরের বিগত দিন গুলোর অবিরাম তাণ্ডব দেখে কারো বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় । আর তাই যদি হয়, তাহলে জনগনের সম্পদ রক্ষার্থে কেন সেনা বাহিনীকে নামানো হবে না ? সরকার হয়তো মনে করছে সেনা বাহিনী নিয়োগ করলে তাতে সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা প্রকাশ পাবে । এছাড়া বহির্বিশ্বেও সেনা বাহিনী দ্বারা বিরোধীদেরকে দমন করার অভিযোগ উঠবে । এতে মিডিয়ার সহানুভুতিও বিরোধীদের পক্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু প্রশ্ন হলো এই ভাবে আর কত দিন জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের দ্বারা দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে ? এর শেষ কোথায় ? যুদ্ধাপরাধীদের না ছাড়া পর্যন্ত তো জামাত-শিবির থামবে বলে মনে হচ্ছে না ।
আর থামতে চাইলেও খালেদা জিয়া তা হতে দেবেন না । তিনি চাবি ঘোরাতেই থাকবেন ।
জামাত-শিবিরের তরুণরা স্বাধীনতা বিরীধী প্রবীন জামাত নেতাদের চক্রান্তের শিকার । ওই স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সার্থ উদ্ধারে এই তরুণদের ব্রেন ওয়াশ করেছে । এই তরুণরা দুষ্কৃতিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তাই অবিলম্বে জামাত-শিবিরের ছোট বড় সকল নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে ভরুন ।
এই সব নেতাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান । এদেরকে কঠোর শাস্তি দিন । একজন জামাত নেতাও যেন রক্ষা না পায় । জামাত-শিবির দ্বারা আর এক জনের সম্পদ হোক তা আমরা চাই না । যদি প্রয়োজন হ্যয় আর্মি অপারেশনের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে জামাত-শিবিরের সকল নেতাদের গ্রেফতার করুন ।
স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে গিয়ে দেশের ও সরকারি সম্পদের ওপর আক্রমণ করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক কাজ তাই রাষ্টড়দ্রোহিতার আইনেও এই সব জামাত-শিবির নেতাদের বিচার করা যেতে পারে ।
আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রীর যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা দেখে মনে হয় তাঁর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক নয় । তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, দশ বছর প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁর মতো রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যাক্তির স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে যাওয়াটা অস্বাভাবিক । তাই আমি মনে করি বিরোধী দলীয় নেত্রীর মানসিক বিকৃতি ঘটেছে । অতএব, সরকারের উচিৎ খালেদা জিয়াকে বিশেষ নিরাপত্তায় রেখে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
যতদিন না চিকিৎসা শেষ হচ্ছে তত দিন দলীয় ব্যক্তিদের সাথে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ রাখা হোক । নইলে তাঁর ভুল সিদ্ধান্তে দেশের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
সব শেষে দেশের মানুষের কাছে আমার আহবান, স্বাধিনতা বিরোধী জামাত-শিবিরকে রুখে দাঁড়ান । যেই ভাবে ১৯৭১-এ এই রাজাকারের দলের বিষ দাঁত ভেঙেছিলেন ঠিক সেই ভাবে আজ আবার এই দেশের শত্রু স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত থেকে দেশের মানুষ ও সম্পদ রক্ষা করুন । দেশের কোনও শত্রুই আপনাদের সাথে পারবে না ।
জামাত-শিবিরকে উৎখাত করে বাংলাদেশকে পবিত্র করে দিন । জয় আপনাদেরই হবে ইনশাল্লাহ । বাংলাদেশ অমর হোক । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।