প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। সবাই বলে ভূত আছে আবার ভূত নেই । কোন একজনও বলে নি আমি ভূত ছিলাম।
পৃথিবীতে যত মানুষ আছে , তত মানুষকে আমি প্রশ্ন করলাম - ভূত আছে ? উত্তর এল - আছে আবার নাই ।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ বলে নি - আমি ভূত ছিলাম ।
ভূত নিয়ে গবেষণার শেষ নেই । মানুষকে আরও হাজার বছর পর যদি প্রশ্ন করা যায় - ভূত আছে ? উত্তর আসবে - আছে আবার নাই ।
কেননা যারা মরেছে , তারাতো ভূত হয়ে মানুষের কাছে এসে বলে নি - সে ভূত হয়ে গেছে ।
প্রতিদিন কত মানুষ মারা যায় , কই , কেউ তো ভূত হয়ে দেখা দিয়ে বলছে না যে সে ভূত হয়ে গেছে ?
তাহলে সত্যটা কি ?
চোখের সামনে একটা অঙ্ক বই আছে । জানা থাকলে অঙ্ক করতে পারবো ।
জানা না থাকলে পারবো না । একটা অঙ্ক আবার অনেক পদ্ধতিতে করা যায়। কিন্তু জানা থাকা দরকার । জানা না থাকলে সবই অন্ধকার ।
ভূত নিয়ে যাই কিছু বলুক না মানুষ , সত্যকারের ভূত মানুষের কাছে অন্ধকার হয়ে থাকবে ।
মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কি হয় , কেউ যে কিছু বলে নি ।
মানুষ ভূত নিয়ে ভাবতে পারে আবার নাও ভাবতে পারে -
সবাই ভূতের কথা বলে । আর সেই ভূত হল - মানুষ মরলে ভূত হয় । আমি এই কথা বিশ্বাস করলাম ।
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোন মানুষ প্রশ্ন করে নি - শুধু মানুষ মরণের পরে ভূত হবে কেন ? অন্য প্রাণীদের ভূত হতে বাধা কোথায় ? গাছেরও প্রাণ আছে ।
তবে গাছ মরলে ভূত হবে না কেন ?
কোন উত্তর নেই । কেবল মানুষকে নিয়ে ভূতের কথা বলা হয়েছে ।
যদি কল্পনা হতো , তাহলে মানুষ এতদিনে অন্য প্রাণীকে নিয়ে ভূতের কথা বলতো । মানুষ কিন্তু সেটা করতে পারে নি ।
মানুষ তাহলে এতদিনে বাঘ -ভূত , গাছ-ভূত , সাপ-ভূত নিয়ে গল্প লিখতে বসে যেতো ।
মানুষ সেটা কল্পনাতে আনতে পারে নি ।
মানুষ এবং অন্য প্রাণীরা হল- Open Thermodynamics System , Heat Engine . মানুষই ভূত হয় , অন্যেরা নয় । কারণ আছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।