আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে নতুন সরকার আসছে। আর সেটা ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বলে ঘনিষ্ট সুত্রে প্রকাশ ।

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার পরিবর্তনের লক্ষে আগামী তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ন। এ সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হতে পারে। আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে। এরপরে অনিয়মতান্ত্রিক ধারায় সরকার পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়াশিংটনে ঘনিষ্ট যোগাযোগ আছে এমন সূত্র থেকে প্রবাসী বার্তা কতৃপক্ষ এ খবর জানতে পারে।

বর্তমানে চলমান উইকিলিকস সূত্রের খবরের ধারাবাহিকতায় এ মাসেই আসবে শেখ হাসিনা, জয়, শেখ রেহানা ও মন্ত্রিপরিষদের দুর্নীতির খবরাখবর। এর মধ্যে দুর্নীতিবাজদের ব্যাংক হিসাবের বর্ণনাও থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি একটি লবির কাছে হাসিনা পরিবারের ব্যাংকের হিসাব ইতোমধ্যেই জমা হয়েছে। ১/১১ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো "জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি"র অযুহাত। এবারে হয়ত এর চেয়ে বড় কিছু থাকবে।

বত্রিশ মাসের আওয়ামীলীগের শাসনে ইতোমধ্যে দেশের জনগন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় জনরোষ ফুঁসে উঠতে পারে এমন খবর এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর বিদেশ দফতরেও পৌছে গেছে। প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় বিরোধী দল নির্মুলে চরমনীতি, সীমাহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, অকার্যকর পার্লামেন্ট, সংবিধান পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্রে ফিরে যাওয়া, রাশিয়ার সাথে ব্যবসা বানিজ্যের সম্প্রসারণ, হিলারী ক্লিনটনের অনুরোধ উপেক্ষা করে নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুসের সাথে চরম অসভ্য আচরণ, পুলিশের অত্যাচারে মাইনরিটি দলের চীফ হুইপ আহত এবং সাবেক ডেপুটি এটর্নী জেনারেলের মৃত্যু ইত্যকার ঘটনায় মার্কিনীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ডঃ ইউনুসকে অসম্মানজনকভাবে পদচ্যুতির ঘটনার পরে ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট অফিসিয়াল ব্রিফ করেন, এতে দু'দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে, ডঃ ইউনুস ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতা কাটিয়ে ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট, বিশেষ করে হিলারী ক্লিনটনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের। এ লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। মাস তিনেক আগে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্নধার আহমেদ আকবর সোবহান শাহআলমের অর্থ সাহায্যে শেখ পরিবারের একজন সদস্য নিউইয়র্কপ্রবাসী বাংলাদেশী লবিষ্ট গোলাম মেহরাজের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কংগ্রেসম্যানদের মাধ্যমে হিলারী ক্লিনটনের আনুকুল্য লাভের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা তেমন ফলপ্রসু হয়নি। বর্তমান সরকারের সাথে ষ্টেট ডিটপার্টমেন্টের সম্পর্ক খুবই শীতল প্রতীয়মান হয়, যখন ১৭ মার্চ জাতিসংঘ কতৃক লিবিয়ায় 'নো-ফ্লাইং জোন' ঘোষনার সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপুমনির নিউইয়র্ক সফরকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরকালে ২৫ আগষ্ট কোনো প্রকার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই স্টেট ডিপার্টমেন্টে যান হিলারী ক্লিনটনের সাথে দেখা করতে। সেখানে তিনি কোনো সাক্ষাৎ পাননি। তবে পথিমধ্যে দেখা হয়েছে এবং হাই-হ্যালো হয়েছে। সেখানেই দীপুমনিকে হিলারী জানান, আগামী বছর বাংলাদেশে যাওয়ার ইচ্ছার কথা। পরের দিন দীপুমনি বাংলাদেশ মিশনে সাংবাদিক ডেকে ঘটা করে এ তথ্যটি জানান।

কিন্তু আসলে হিলারী ক্লিন্টনের সাথে দিপু মনির আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক হয়নি। ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছেন, হিলারী ক্লিটনের বাংলাদেশ সফরটি হবে তবে সেটা নতুন সরকারের সময়ে। আর সে লক্ষে দেশে বিদেশে কাজ এগিয়ে চলছে। Click This Link ****************************************************** আসলেই সত্য? নাকি আওয়ামী-বাকশালীদের করা র্দূনীতি, কু-শাসন ও জুলুমকে আগে ভাগে মোকবেলার কৌশল? অপেক্ষায় রইলাম!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.