কোরিয়াতে কাজ করি, এছাড়া আমার সম্পর্কে... অনেকদিন আগে থেকেই বাংলাদেশ থেকে লোকজন আসছে। এখানে চাকুরী করা ছাড়াও বিভিন্ন উপলক্ষে বাংলাদেশীদের অবস্থান এবং আসা-যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। কোন এক ব্যাক্তি যখন দেশের বাহিরে যায় তখন তার কর্মকান্ড শুধু ব্যাক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তখন ব্যাক্তির আচার-আচরণ ও কর্মকান্ডের মাধ্যমেই তার দেশের সংস্কৃতি বা ভাবমূর্তির প্রকাশ ঘটে। সুতরাং কোরিয়াতে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি।
সম্প্রতি কোরিয়াতে অবস্থানরত কতিপয় বাংলাদেশীদের কর্মকান্ড কেবল বাংলাদেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুন্ন করে না বরং এখন অবস্থানরত অন্যান্য বাংলাদেশীকেও বিব্রতকর অবস্থানে পরতে হয়।
প্রথমত: স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য কোরিয়ান মেয়েদের সাথে ভালবাসার প্রতারণা করে বিয়ে করা। - বর্তমানে কোরিয়ান নারী সমাজে ব্যাপারটি তীব্র সমালোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এবং "বাংলাদেশী ছেলেদের থেকে দুরে থাকুন" এরকম শ্লোগান নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছে। ইন্টারনেটে ব্লগ বা কমিউনিটি তৈরী করে দুর্ভোগের শিকার বিভিন্ন নারীদেরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে।
প্রতিটি সাইটে তিন থেকে পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছে।
দ্বিতীয়ত: স্থায়ী অবস্থানকারীরা ভিষা বা ভাষাগত দক্ষতার কারনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা সরকারী কর্মসংস্থান অফিসে বাংলাদেশীদের সাহায্যকারী প্রতিনিধি হিসাবে চাকুরী পায়। এসকল প্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে। নতুন আগত বাংলাদেশীরা বিভিন্ন সমস্যায় পরে তাদের কাছে সহযোগিতা চায় আর তারা সহযোগিতার নাম করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যায়। আসলে সহযোগিতা করার কিছুই হয় না।
হুন্ডির ব্যাবসা আইনত অবৈধ। তারপরও অনেকেই এই ব্যবসায় জড়িত। কেউ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে
বাংলাদেশে টাকা পাওয়ার পর এখানে পেমেন্ট না দিলে হুন্ডি ব্যবসায়ীর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সূযোগ থাকে না। স্থায়ী অবস্থানকারীদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে হুন্ডিতে টাকা পাঠিয়ে পেমেন্ট না দেওয়ার ঘটনা অনেক বেশী।
এছাড়া নতুন ও পুরাতন কোরিয়াতে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের এমন অনেক কর্মকান্ড আছে যা দেশের ইমেজ নষ্ট করে ।
এখানে অবস্থানরত অন্য বাংলাদেশীদের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। আশাকরি সংশ্লিষ্টরা এই ব্যাপারটি একটু ভেবে দেখবেন। ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।