সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ দ্বারা যে প্রযুক্তি পণ্যটি বেশি ব্যাবহার হচ্ছে তা মোবাইল ফোন ।
আমরা যেমন মোবাইল ফোন ব্যাবহার করছি ,তেমনি প্রয়োজনের তাগিদেই তা আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতেও তুলে দিচ্ছি । তাও আবার মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ।
( চায়নার তৈরি কিছু মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন মাত্র ১৩/১৪ শ টাকায় পাওয়া যায় ।
শস্তা ও সহজ লভ্যতার কারনে তরুণদের কাছে এই সব ফোন বেশ জনপ্রিয় ।
)
কিন্তু আমরা কখনও কি ভেবে দেখেছি এই সব মাল্টিমিডিয়া ফোন দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা কি করছে ?
আমার পরিচিত এক বন্ধু মেমোরি কার্ড লোড এর ব্যবসা করত ।
আলাপ প্রসঙ্গে সে জানালো ,মেমোরি কার্ড লোড় করতে আসা প্রায় টিনেজারএর (৩ জন মেয়েও ছিল) মেমোরি কার্ডেই আগে থেকেই কিছু না কিছু পর্ণ ছবি বা ফিল্ম লোড় করা থাকতো ।
মেমোরি কার্ড লোড় করতে এসে তারা বলত আগের গুলি কেটে কিছু 'ওগুলি '' দিয়ে দিবেন ।
কিছু টিনেজার আবার নির্দেশ দিত 'এই' ফোল্ডার টা ডিলিট করবেন না।
এরকম একটা "এই " ফোল্ডার ওপেন করে দেখা গেল মেমোরি কার্ডএর মালিক নিজেই যেন ইমরান হাশ্মি ।
বিবেকের তাড়নায় আমার ঐ বন্ধুটি তার ঐ ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে ।
ভাবার বিষয় হল আমাদের এই সব কিশোরদের ইভটিজার অথবা ইমরান হাশ্মি অথবা নীল ছবির নায়ক হওয়ার পেছনে অভিভাবকদের কি কোন হাত নেই ??
এর দায় কিছুতেই তারা এড়াতে পারবেননা ।
প্রয়োজনের তাগিদেই যদি মোবাইল ফোন দিতে হয়, মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন কেন ?
গান শোনা বা দেখার জন্য এইতো ?
কেন? গান শোনা বা দেখার কি আর কোন মাধযম নাই?
প্রয়োজনের তাগিদ অর্থ তো গান শোনা বা দেখা নয়।
মোবাইল ফোন সংক্রান্ত অপরাধ দমনে সরকার পুলিশকে মোবাইল ফোন জব্দ করতে বলেছে এটাও কোন সমাধান নয়। এতে পুলিশকে শুধু পাবলিক হয়রানির শত উসিলার সাথে আরও একটা উসিলা যোগ করার সুযোগ দেয়া হল ।
এ ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে ভিডিও রেকর্ডিং ক্যামেরা সমৃদ্ধ মোবাইল ফোন ব্যাবহারে অভিভাবক কতৃক টিনেজারদের নিরুতসাহিত করা।
এবং সরকারী ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেমোরি কার্ড লোড এর দোকানে অভিযান পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তির বিধান করা ।
না হয় সমাজে ইভটিজার ,ইমরান হাশ্মি্দের সংখ্যাই বাড়বে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।