এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবারহ করা হবে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন।
সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রতি উপজেলার দু'টি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবারহ করা হচ্ছে। এজন্য ওইসব বিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষককে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই তাদেরকে সোলার প্যানেল সরবরাহ করা হয়েছে।
“আগামী বছর আরো ১০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দেয়া হবে।
২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের আওতায় আসবে। ”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের ২০ হাজার ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে।
মোতাহার বলেন, সব উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসি) ডেক্সটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেয়া হয়েছে। সেখানেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) মাধ্যমেও শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এর ফলে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৩ হাজার ৮৬৫টি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনের মধ্যে ২২ হাজার ৯৮১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হবে। আর ২০১৫ সালের মধ্যে বাকি বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আসবে।
নিয়োগ পাচ্ছে ৪৮ হাজার শিক্ষক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে উল্লেখ করে মোতাহার বলেন, এই শ্রেণির জন্য আগামী বছর আরো ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
এছাড়া পুলে নিয়োগ পাওয়া ১৫ হাজার শিক্ষককেও শূন্য পদের বিপরীতে আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর বাইরে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে একজন শিক্ষকের বিপরীতে ৪৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে জানিয়ে মোতাহার বলেন, “আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪০ করতে চাই। ”
এজন্য ২০১৮ সালের মধ্যে আরো এক লাখ শিক্ষক নিয়োগে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে একটি আলাদা বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া ‘অনেক দূর’ এগিয়েছে বলেও জানান মোতাহার।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর (ন্যাপ) একটি উইংয়ের মাধ্যমে বোর্ড গঠনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ পেলে অবকাঠামোসহ অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।