টেলিভিশন সাংবাদিকতা
এবং
মাল্টিমিডিয়া ও অনলাইন সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার কোর্স
(দু’মাসব্যাপী পৃথক দুটি প্রশিক্ষণ কোর্স)
‘শান্তির জন্য সাংবাদিকতা’- এই আদর্শকে সামনে রেখে ইনস্টিটিউট অব ইনোভেটিভ মিডিয়া অ্যান্ড ই-জার্নালিজম (ইমেজ) এর কর্মপ্রয়াস নিবেদিত। ২০১২ সালে সালের ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকতার চলমান ধারায় একটি ইতিবাচক ও শান্তিময় ধারা প্রবর্তন করাই ইমেজের মূল লক্ষ্য।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্যক্রম ছাড়াও সমাজ ও গণমাধ্যম বিষয়ক গবেষণা, ফেলোশিপ, মেন্টরশিপ, সমসাময়িক বিষয়ে সংলাপ, সেমিনার আয়োজনসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট নানা অঙ্গনে ইমেজ অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে কর্মযাত্রা শুরু করে।
একটি গণতান্ত্রিক, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে এবং ব্যক্তির মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।
আর তাই গণমাধ্যমের যুগোপযোগী মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমেজ গণমাধ্যম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যম বিষয়ক গবেষণা, প্রকাশনা ও পরামর্শ সহায়তা-সেবার মাধ্যমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার সম্ভাব্য সকল অঙ্গণে অবদান রাখতে ইমেজ দৃঢ়-প্রত্যয়ী। ইমেজ এর কার্যক্রম তাই মানবিক সৃজনশীলতা, মুক্তি, ক্ষমতায়ন, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি অর্জনের নিরন্তর প্রচেষ্টায় নিবেদিত।
কেন ক্যারিয়ার কোর্স ?
প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশের সম্প্রচার ও নয়ামাধ্যম সাংবাদিকতা’র পরিসর। দেশে টিভি চ্যনেলের সংখ্যা এখন ২৬। সম্প্রচারে রয়েছে ২০টির মতো এফএম এবং কমিউনিটি রেডিও।
সারাদেশে বড়-ছোট প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংখ্যা সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে ক্রমপ্রসারমান সম্প্রচার জগত। শ্রমঘন গণমাধ্যম শিল্পের সুষম বিকাশের জন্য দক্ষ ও যোগ্য সংবাদকর্মীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কাক্সিক্ষত জনবলের অভাব লক্ষ্যণীয়। বাস্তবতা হলো, দেশে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনের বাইরে সাংবাদিকতায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দক্ষতার উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ যথেষ্ঠ সীমিত। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং মানগত মূল্যায়নে প্রশ্নাতীত নয়।
এমতাবস্থায় দেশে-বিদেশে সংবাদ মাধ্যমের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে নিয়োজিত এবং টিভি ও অনলাইন সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষকদলের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স দুটির কার্যক্রম আয়োজন করেছে ইমেজ।
● সার্বক্ষণিক পেশাদার সংবাদকর্মী তৈরি;
● হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা;
● বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে/অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণার্থীদের ক্যারিয়ার পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান;
● সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার উপযোগী মৌলিক বিষয়ের ওপর অ্যাকাডেমিক ধ্যান-ধারণা দেওয়া এবং কারিগরি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের যোগ্য করে তোলা।
কোর্সের সময়সীমা :
কোর্সের সময় ২ মাস; সপ্তাহে ২দিন (শুক্র ও শনিবার) । প্রয়োজনানুসারে কর্মদিবস পরিবর্তনযোগ্য।
কোর্সের বৈশিষ্ট্য:
● আধুনিক ও বাস্তবমুখী কোর্স মডিউল;
● অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং স্মার্ট ফোনে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি প্রশিক্ষণ;
● ক্যামেরার সামনে নিবিড় অনুশীলনের সুযোগ;
● এডিটিং প্যানেলে সংবাদ সম্পাদনা;
● মাঠ থেকে তথ্য ও চিত্র সংগ্রহ করে সংবাদ তৈরির যোগ্যতা অর্জন;
● বিশুদ্ধ উচ্চারণ, মার্জিত ভাব-ভঙ্গি, ও পেশাগত আচরণের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ;
● কোর্স শেষে সমাপানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গ্রেড-ভিত্তিক সার্টিফিকেট প্রদান;
● দক্ষতানুসারে প্রথম তিনজন অংশগ্রহণকারীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রদান;
প্রশিক্ষকবৃন্দ:
উল্লিখিত কোর্স দুটি পরিচালনায় খ্যাতনামা টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিক, বিশ্ব^বিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক, ক্যামেরাপার্সন, ভিডিও এডিটর এবং উচ্চারণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সমন্বিত প্রশিক্ষক-পার্সন পুল গঠন করা হয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা:
টিভি বা অনলাইন সাংবাদিকতায় প্রকৃত আগ্রহীদের জন্য এ কোর্সটি উন্মুক্ত । তবে আবেদনকারীকে ন্যূনতম উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ অথবা স্নাতক শ্রেণী/পর্যায়ের শিক্ষার্থী হতে হবে। সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা অনাবশ্যক।
কোর্স ফি:
● টেলিভিশন সাংবাদিকতা: (৮,৫০০/-) আট হাজার পাঁচশত টাকা মাত্র; উদ্বোধনী কোর্স উপলক্ষ্যে ৬,৫০০/- টাকা।
● মাল্টিমিডিয়া ও অনলাইন সাংবাদিকতা: (৬,৬০০/-) ছয় হাজার ছয়শত টাকা মাত্র।
যোগাযোগ :
প্রশিক্ষণ বিভাগ, ইমেজ: ১৮ দিলু রোড, লেভেল-৫, ইস্কাটন, ঢাকা-১০০০। ফোন : +৮৮-০২-৯৩৫৫১৫৬, মোবইল : ০১৯১৫২৩০৯৭৯
ই-মেইলঃ
ওয়েবসাইটঃ http://www.iimej.com
ফেসবুকঃ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।