প্রতিবারের মতো এবারো সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করছে দেশের বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার খবরের উপর ভিত্তি করে এসব গ্রামে রোজা শুরু ও ঈদ পালিত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। এর ধারাবাহিকতায় এবারো এসব গ্রামে সারা দেশের চেয়ে একদিন আগে অর্থাৎ ১ অগাস্ট থেকে রোজা রাখা শুরু হয়। এ মতবাদের প্রবর্তক চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের প্রয়াত পীর মাওলানা ইসহাক। এছাড়া নতুন করে এই মতবাদ চালু হয়
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় যেখানে ১২ গ্রামের শতাধিক মানুষ মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করেছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর, শ্রীপুর, হরিণাকুন্ডু, শুড়া, চিথলিয়াপাড়া,পার্বতীপুর, তাহেরহুদা, বলরামপুর, বৈঠাপাড়াসহ আরো কয়েকটি গ্রাম।
আমার প্রশ্ন হল তারা যে সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে রোজা শুরু এবং ঈদ করেন তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। আবার তারা নামাজ পড়ার সময় কেন বাংলাদেশের সময় মেনে চলে?এবং কেন সৌদি আরবে যখন ফজরের নামাজ পড়ে তখন পড়ে না?
তারা যে ভুল করছে তার প্রমাণ হাদিস থেকে দিতে চাই........
আবু দাউদ শরিফের তৃতীয় খন্ডের ২০২ অনুচ্ছেদ এর ২৩২৬ নং হাদিসে বলা হয়েছে...
মূসা ইব্ন ইসমাইল... কুরায়ব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মে ফাযল বিনত আল-হারিস তাকে মু'আবিয়ার নিকট শাম(সিরিয়া) দেশে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়া পৌছে, তার প্রয়োজন পূর্ণ করি।
আমি সিরিয়া থাকাবস্থায় রামাযানের চাঁদ ওঠে এবং আমরা উহা জুমাবার (শুক্রবার) রাত্রিতে অবরোকন করি। এরপর আমি রামাযানের শেষের দিকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি। ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাকে সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিশেষ করে চাঁদ দেখা সম্পর্কে বলেন, তোমরা রামাযানের চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বলি, আমি তা জুমাবার(শুক্রবার) রাতে দেখিছি। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি নিজেও কি তা দেখেছিলে? আমি বলি ,হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেরাও দেখে এবং তারা রোজা রাখে, এমনকি মু'আবিয়াও রোজা রাখেন। তিনি বলেন, আমরা তো তা শনিবারে দেখেছি।
কাজেই আমরা ত্রিশ রোজা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখব অথবা আমাদের এখানে শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখে যাবো। আমি জিজ্ঞাসা করি, মু'আবিয়ার দর্শন ও রোজা রাখা কি এ ব্যাপারে যথেষ্ট নয়? তিনি বলেন, না। আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরুপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উক্ত হাদিস থেকে আমার বলতে পারি যারা আজ ঈদ পালন করছে তারা ভুলের মধ্যে আছে। তাদের কে আমাদের সঠিকটা বুঝাতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।