অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।
আজকে অসম্ভব গরম পড়েছে। চৌচল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সব কিছু কেমন যেন মৃত লাগছে। কাঁচের দরজা দিয়ে লাউ পাতা দেখছি, বাতাস বয়ে নোয়ানো মাথার পাতাগুলোকে শুধু একটুখানি নাড়িয়ে যাচ্ছে। সবুজ ঘাস সূর্য্যের তাপে হলুদ হচ্ছে।
আর আমার তোয়ালে হলুদ থেকে সাদা হচ্ছে! একটু আগে এক গাদা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা সত্যেও মনে হচ্ছে গত এক সপ্তাহ পানি ছুঁই নি। তাই পৃথিবীর কথা প্রানপণে ভুলে থাকার চেষ্টা করছি।
সকাল থেকে অনেকক্ষন মজা করে কেমিস্ট্রি পড়লাম। কেমিস্ট্রি যে মজা করে পড়া যায়, সেটা আগে কখনও বুঝিনি। এক বোতল পানি, দশ বারোটা বিভিন্ন রঙের কলম, দুটো বই, আরেকজনের নোট ও আমার নোট নিয়ে সাড়ে ছয়টায় তুমুল উৎসাহে টেবিলে বসলাম।
প্রতিটা জিনিস পুরোপুরি বুঝতে পারার পর একটা অন্যরকম অনুভূতি হলো। তারপর সারা সকাল পড়ে টড়ে আমার মনে হলো, আমার মতো মেয়েকে যদি চার পাঁচ ঘন্টা টেবিলে বসিয়ে রাখার মতো অসম্ভব কিছু সম্ভব করে ফেলতে পারি, তাহলে আমার পক্ষে যে কোন অসম্ভব কিছুকেই সম্ভব করে ফেলা সম্ভব হবে।
আজকাল কেউ যদি আমাকে বলে, আমি কখনও মেডিসিনে চান্স পাবো না, কখনও এটা করতে পারবো না, ওটা করতে পারবো না - আমার অত বেশি খারাপ লাগে না। কারন, আমি এখন নিজে আসলেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে আমি পারবো। কয়েকদিন আগেও ভেবেছিলাম নিজেকে নিয়ে কখনোই খুশি হতে পারবো না।
কিন্তু এই মূহুর্তে, আমার মনে হচ্ছে আমার চেয়ে খুশি ও সুখী কেও নেই।
নিজের উপর বিশ্বাস আনার ব্যাপারটা ভীষণ অদ্ভুত। অন্যকেও দু'তিনবার বললেই একটা কথা সহজেই সত্যি মনে হয়। সেই মানুষটা সত্যবাদী হলে আরও শক্ত ভাবে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে। আর সেই মানুষটা যদি খুব কাছের হয়, তখন মনে হয়, পৃথিবীর বাকি ৬৭০৬৯৯৩১৫১ মানুষের চেয়ে ঐ একজন মানুষের মত অনেক, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।