পহেলা বৈশাখের আগে আম গাছে আম যত বড়ই হোক না, দাদু খেতে দিত-না। কারণ হিসেবে অজুহাত এখনো আমের বিয়ে হয়নি। তাই অনেক প্রতীক্ষা আমের বিয়ের দিন আসার জন্যে। আজ সেই পহেলা বৈশাখ আমের বিয়ের দিন।
তখন বয়স ১২ কি ১৩ সদ্য আম গাছে উঠতে শিখেছি, কিন্তু গাছে আমের বিছি শক্ত হয়ে যাচ্ছে তারপর ও আমের বিয়ের অজুহাতে গাছে উটে আম খেতে না পারা খুব কষ্টেরই বটে।
যদি লুকিয়ে লুকিয়ে মরিচ লবণ দিয়ে কচি আম খেয়ে কোন রকম পাতলা পায়খানা বাধিয়ে পেলা হতো, তাহলে হাতে নাতে ধরা, নিশ্চয় চুরি করে আম খেয়েছি!
পহেলা বৈশাখ আমের বিয়ের দিন, হিন্দুদের বাড়ির সামনে গড়ইয়া অর্থাৎ বৈশাখী মেলা, অনেক দিনের জমানো টাকা দিয়ে চক চকে ছুরি কিনে, গাছে উঠে একা একা কখনো বন্ধুদের কে সাথে নিয়ে বাতাসে দুলতে দুলতে মনের সুখে আম খাওয়া কতটা না আনন্দের ছিল!
মক্তবের হুজুর আগ থেকেই সতর্ক করে দিতেন হিন্দুদের গড়ইয়ায় যেন কেউ না যায়। তারপর ও ছুরি কিনতে সাথে বাঁশি বেলুন কিনতে যে ভাবে হোক যেতামই যেতাম। অবশ্য পরদিন সকাল বেলায় ধরা খেলে বেতও খেতে হয়েছে অনেক। গড়ইয়াতে হিন্দুদের কে নতুন পোশাক পরে পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে দেখা যেত এবং গড়ইয়া হতো অভিজাত হিন্দু বাড়ির সামনে, হিন্দু বাড়ির লোকজন পূজা দিত তুলসী অথবা বট গাছের নিছে। গড়ইয়া বা মেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে মুসলমান ছেলে পেলেরাই কেনা কাটার জন্যে যায়।
গড়ইয়া হিন্দুদের হলেও ঐ খানে ক্রেতা বিক্রেতার অধিকাংশই মুসলমান কিন্তু হুজুরের কাছে কোন যুক্তিই টিকানো সম্ভব হতো না। ( কিন্তু ঐ হুজুরই সিনেমা হলে, আমার জীবনে প্রথম সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ করে দিয়েছেন!)
ছুরি কিনে এনে চলতো কথার বড়াই, কে ঠকলো কে জিতল, কার ছুরি কত ভাল এই নিয়ে বড় ভাইদের মন্তব্য, ঠকে গেলে মন খারাপ, জিতলে অবশ্য আনন্দও কম হতো না।
যেহেতু আমের বিয়ে হয়ে গেছে সেহেতু দাদুর বাহানার দিনও শেষ, প্রতি দিনের পাহারা দিয়ে রাখা গাছের সদ্য বড় হওয়া আম গুলো এক বার পেড়ে এনে সবাই আনুষ্ঠানিক ভাবে লবণ মরিচ দিয়ে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্বে গুড় দিয়ে মেখে খেতে কি মজা, যারা খেয়েছে তাদের জিবে পানি না এসে পারেনা। মাখা আমের বর্তার বাটি নিয়ে কাড়া কাড়ি করে খাওয়ার আনন্দ আমরা মফস্বলের কৈশোররা বেশি পেয়েছি।
আম যখন একটু পাকতে শুরু করে তখন স্কুলও বন্ধ দিতো আম খাওয়ার জন্যে।
তখন গড়ইয়া থেকে কিনে আনা ছুরির শত ভাগ ব্যবহার হতো।
বন্ধুরা মিলে ইরি ধান কাটা মাঠে ঘুড়ি বানিয়ে ঘুড়ি উড়ানোর সময়, আম পেড়ে কলার বরগে/ কলার পাতায় দুপুরের রোদের সময় আমের বর্তা যেন এখনো জিবে লেগে আছে।
জীবনের সেরা সময় সেই কৈশোর কত যে আনন্দের ছিল, তা কি আর পিরে পাব।
এখন প্রবাসে থাকি দেশ থেকে কাঁচা আম পাঠায়, কিন্তু কত শখের আম ফ্রিজে আইচ হয়ে পচে থাকে কিন্তু সেই সাধ পাইনা! কখনো এক দুই টুকরা মুখে দিলে দাঁত গুলো যেন বিদ্রোহ করে উঠে।
পহেলা বৈশাখের আগে আম গাছে আম যত বড়ই হোক না, দাদু খেতে দিত-না।
কারণ হিসেবে অজুহাত এখনো আমের বিয়ে হয়নি। তাই অনেক প্রতীক্ষা আমের বিয়ের দিন আসার জন্যে। আজ সেই পহেলা বৈশাখ আমের বিয়ের দিন।
তখন বয়স ১২ কি ১৩ সদ্য আম গাছে উঠতে শিখেছি, কিন্তু গাছে আমের বিছি শক্ত হয়ে যাচ্ছে তারপর ও আমের বিয়ের অজুহাতে গাছে উটে আম খেতে না পারা খুব কষ্টেরই বটে। যদি লুকিয়ে লুকিয়ে মরিচ লবণ দিয়ে কচি আম খেয়ে কোন রকম পাতলা পায়খানা বাধিয়ে পেলা হতো, তাহলে হাতে নাতে ধরা, নিশ্চয় চুরি করে আম খেয়েছি!
পহেলা বৈশাখ আমের বিয়ের দিন, হিন্দুদের বাড়ির সামনে গড়ইয়া অর্থাৎ বৈশাখী মেলা, অনেক দিনের জমানো টাকা দিয়ে চক চকে ছুরি কিনে, গাছে উঠে একা একা কখনো বন্ধুদের কে সাথে নিয়ে বাতাসে দুলতে দুলতে মনের সুখে আম খাওয়া কতটা না আনন্দের ছিল!
মক্তবের হুজুর আগ থেকেই সতর্ক করে দিতেন হিন্দুদের গড়ইয়ায় যেন কেউ না যায়।
তারপর ও ছুরি কিনতে সাথে বাঁশি বেলুন কিনতে যে ভাবে হোক যেতামই যেতাম। অবশ্য পরদিন সকাল বেলায় ধরা খেলে বেতও খেতে হয়েছে অনেক। গড়ইয়াতে হিন্দুদের কে নতুন পোশাক পরে পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে দেখা যেত এবং গড়ইয়া হতো অভিজাত হিন্দু বাড়ির সামনে, হিন্দু বাড়ির লোকজন পূজা দিত তুলসী অথবা বট গাছের নিছে। গড়ইয়া বা মেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে মুসলমান ছেলে পেলেরাই কেনা কাটার জন্যে যায়। গড়ইয়া হিন্দুদের হলেও ঐ খানে ক্রেতা বিক্রেতার অধিকাংশই মুসলমান কিন্তু হুজুরের কাছে কোন যুক্তিই টিকানো সম্ভব হতো না।
( কিন্তু ঐ হুজুরই সিনেমা হলে, আমার জীবনে প্রথম সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ করে দিয়েছেন!)
ছুরি কিনে এনে চলতো কথার বড়াই, কে ঠকলো কে জিতল, কার ছুরি কত ভাল এই নিয়ে বড় ভাইদের মন্তব্য, ঠকে গেলে মন খারাপ, জিতলে অবশ্য আনন্দও কম হতো না।
যেহেতু আমের বিয়ে হয়ে গেছে সেহেতু দাদুর বাহানার দিনও শেষ, প্রতি দিনের পাহারা দিয়ে রাখা গাছের সদ্য বড় হওয়া আম গুলো এক বার পেড়ে এনে সবাই আনুষ্ঠানিক ভাবে লবণ মরিচ দিয়ে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্বে গুড় দিয়ে মেখে খেতে কি মজা, যারা খেয়েছে তাদের জিবে পানি না এসে পারেনা। মাখা আমের বর্তার বাটি নিয়ে কাড়া কাড়ি করে খাওয়ার আনন্দ আমরা মফস্বলের কৈশোররা বেশি পেয়েছি।
আম যখন একটু পাকতে শুরু করে তখন স্কুলও বন্ধ দিতো আম খাওয়ার জন্যে। তখন গড়ইয়া থেকে কিনে আনা ছুরির শত ভাগ ব্যবহার হতো।
বন্ধুরা মিলে ইরি ধান কাটা মাঠে ঘুড়ি বানিয়ে ঘুড়ি উড়ানোর সময়, আম পেড়ে কলার বরগে/ কলার পাতায় দুপুরের রোদের সময় আমের বর্তা যেন এখনো জিবে লেগে আছে।
জীবনের সেরা সময় সেই কৈশোর কত যে আনন্দের ছিল, তা কি আর পিরে পাব।
এখন প্রবাসে থাকি দেশ থেকে কাঁচা আম পাঠায়, কিন্তু কত শখের আম ফ্রিজে আইচ হয়ে পচে থাকে কিন্তু সেই সাধ পাইনা! কখনো এক দুই টুকরা মুখে দিলে দাঁত গুলো যেন বিদ্রোহ করে উঠে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।