রাত ঠিক ১২ টায় রোব বার চলে আসবে। ভালবাসা দিবস শেষ হবে। তাই, শেষ বারের মত, ভালবাসা দিবস কে নিয়ে টানা হেচড়া করতে ইচ্ছা হল।
তো , পড়ুন । লেখাটি দুই ভাগে বিভক্ত ।
প্রথমে আছে, ভালবাসা দিবসের কাহিনী, পরে , বাংলাদেশ এটি কিভাবে এল তা নিয়ে ক্ষুদ্র আলোক পাত।
ভালবাসা দিবসের ইতিহাস:
ভ্যালেনটাইন এর অনেক গুলি ইতিহাস আছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
গল্পটি শুরু হয়েছিল ২৬৯ খ্রীস্টাব্দে। রোমের তরুন চিকিৎসক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেনটাইন এর চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলেন নগর জেলারের দুহিতা। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল ভালবাসার অমরগাথা।
এই অপরাধে ১৪ ফেব্রুয়ারী তাকে ফাসী তে ঝুলিতে হয়। অতঃপর এই ভালবাসার স্বীকৃতী পেতে তাকে ২ শতাব্দী অপক্ষা করতে হয়। ৪৯৬ খ্রীস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিন টিকে ভ্যালেনটাইন হিসাব ঘোষনা করেন। গ্রীক ও রোমানদের এই উপকথা এর মত অসংখ্য গল্প গুজব ছড়িয়ে আছে ভুবন ময়। কে এই ভ্যালেনটাইন , তা আজও রহস্যাবৃত ।
ক্যাথলিক এ্যানসাইক্লোপিডিয়া মতে, তিন জন সেন্ট ভ্যালেনটাইন এর সন্ধান পাওয়া যায়। তারা সবাই ১৪ ফেব্রুয়ারী আত্নহত্যা করেন।
যাইহোক, ১৯ শতকে কিছু ব্রিটিশ দের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকায় এই দিন টি চালু হয়। ১৮৪৭ সালে আমেরিকায় এই দিবসে ব্যাপক হারে কার্ড বিনিময় শুরু হয়।
ইতিহাসবিদ দের মতে, দুটি প্রাচীন প্রথা থেকে এই দিবসের সুচনা হয়।
বাংলাদেশ এই দিবস কিভাবে এল:
আমাদের দেশে বিগত দেড় দশক আগে এই দিবস টির সুচনা করেছিল, সাপ্তাহিক যায়যায়দিন। বংগীয় রীতে বাংলাদেশ এ এই দিন টি পালন করা হয়।
শেষ কিছু কথা ;
১. প্রতি ৪ জন মার্কিন এর মধ্যে ৩ জন এই দিন পালন করে।
২. এই দিনে ১৬ কোটি কার্ড, ১৩ কোটি গোলাপ বিনিময় হয়।
সবাইকে শুভ রাত।
ভাল থাকবেন.........................
[লেখাটি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।