posondo kori,kintu bortoman bd er rajnite neya hotas. শেখনিউজ রিপোর্টঃ অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর পাঁচ মিলিয়ন ডলার ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ আদালতের রায়ে প্রমানিত হলো। খবরটি প্রকাশ করার দায়ে দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়ে আদালত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রকাশক হাসমত ও প্রতিবেদক এম আবদুল্লাহকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। এতেই প্রকারন্তরে প্রমানিত হয়েছে যে মামলাটির বিষয়বস্তুর সত্যতা।
২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
গতকাল উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত মামলাটি চলতে পারে না মর্মে আদেশ দিয়ে তা খারিজ করে দেন। আদালতের এই আদেশের পর সচেতন মহল ধারনা করছে যে আওয়ামী সরকারের দাপটের দিন আদালত থেকে সরে যাওয়া শুরু হয়েছে।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, জয় ও তৌফিক এলাহীর ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে আমার দেশ-এ প্রকাশিত সংবাদটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে ও তার মানসম্মানে আঘাত এসেছে উল্লেখ করে এ মামলাটি করেছিলেন। কিন্তু আদালত এ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশি কোম্পানি সেভরনকে বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য তৌফিক এলাহী পাঁচ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন।
এখান থেকে তিনি দুই মিলিয়ন ডলার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়কে দিয়েছিলেন। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ সংবাদটি আমার দেশ প্রকাশ করেছে। সরকার মামলা দিয়ে ও রিমান্ডে মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন করেছে।
গতকাল ঢাকার ১ নম্বর এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির রাজ ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারার বিধান মোতাবেক মামলাটি খারিজ করে দেন।
মাহমুদুর রহমান ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন পত্রিকাটির সাবেক প্রকাশক আলহাজ হাসমত আলী ও প্রতিবেদক এম আবদুল্লাহ। মামলাটি দায়েরের পর বাদি তৌফিক এলাহী চৌধুরী মাত্র একবার আদালতে হাজির হন। এর পর থেকে গত ১৩টি ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি। গতকাল এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে মাহমুদুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
পত্রিকাটির প্রকাশক আলহাজ মো. হাসমত আলীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। অপর আসামি প্রতিবেদক এম আবদুল্লাহ আদালতে হাজির ছিলেন।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসীন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসীম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ প্রমুখ।
২০০৯ সালের গত ১৭ ডিসেম্বর আমার দেশ পত্রিকায় ‘প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বর্তমান সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বিনা দরপত্রে একটি কাজ মার্কিন কোম্পানি শেভরনকে পাইয়ে দিতে পাঁচ মিলিয়ন ডলার টাকা ঘুষ নিয়েছেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাদী ঘুষের পাঁচ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে দুই মিলিয়ন ডলার ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর টেক্সাসে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দিয়েছেন।
শুনানিতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টটি শতভাগ সত্য। অযথা হয়রানির উদ্দেশ্যেই রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বাদী এখন নিজেও মামলাটি চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে তিনি এখন আর আদালতে হাজিরও হচ্ছেন না। আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
আর এই খারিজের মাধ্যমেই প্রমানিত হল সংবাদটির সত্যতা। আগামী সরকারের সময় এই মামলায় বিচার হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না বলে সচেতন মহলের ধারনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।