ইহা একটি বিতর্কহীন ব্লগ বলেছিলাম বউএর কথা লেইখ্যা ব্লগ ভইরা ফেলব, কিন্তু নানান কারনে অনেকদিন লেখাই হয় নাই। আজ আবার সবাইরে বিরক্ত করতে বসলাম।
তাহার সাথে প্রথম দেখা
তাহার সাথে প্রথম দেখা -২
জয়ের পথে : ঝামেলা থেকে শামেলা
এখন তিনি আমাকে চেনেন, কার্জনে আসতে তার আর বোনের (আমার বান্ধবী) ভায়া হয়ে আসতে হয় না। মাঝে মধ্যেই তিনি আসেন, বেশির ভাগ সময়ই কোচিং ফাকি দিয়ে (পড়ালেখার ব্যাপারে তিনি বরাবরই ফাকিবাজ, আমি বা কার্জন উছিলামাত্র)। আসলে পড়ায় ফাকি দিয়ে কোথাও সময় কাটানোর জায়গা দরকার, আর ধারে কাছেই যেহেতু আমি আছি আর আমাকে ডাকলেই পাওয়া যায় (ওর জন্য কখনই আমার সময়ের অভাব হয় নাই), তাই কার্জন হয়ে গেল তার ফাকিবাজির অন্যতম জায়গা।
তেমনি একদিন, ওর জরুরী কল পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব (শহীদুল্লাহ হল থেকে কার্জনে যেতে মাত্র ৪০ মিনিট লেগেছিল) তার সামনে উপস্থিত হইলাম। দেখি কার্জনের শ্বেত পাথরের সিড়ির উপর হাত পা ছরিয়ে বসে তিনি ইয়া মোটা একখান বই পড়তেছেন। আমারে দেইখ্যাই দাত মুখ খিচিয়ে একটা ভেটকি মারার চেস্টা করতেছিল……………..মনে হইল এই সুযোগ দেয়া যাবে না। তার আগেই মুখে একটা গভীর গম্ভীর ভাব এনে বললাম কি সব হাবিজাবি বই পড়, ক্লাসের বই তো পড়বানা (পুরাই গার্জেন টাইপ ফাপর) ইত্যাদি ইত্যাদি। ও উলটা ফাপর নিয়া কইল, এই বইরে হাবিজাবি কইবেন না, আগে পইড়া দেখেন পরে বইলেন।
তার পুস্তক প্রেম দেখে তো আমি পুলকিত (পড়তে আমারও ভীষন ভাল লাগে, সারাজীবন চেয়েছি আমার বউ ও যেন বইএর পোকা হয়, আল্লাহ আমার আশা পুরন করেছেন)।
বললাম, ঠিক আছে, ঠিক আছে, বইটা আজ রেখে যাও। দেখি কি সব পড়। পরে কথা হবে , এই ব্যাপারে। বইয়ের নাম ডি দা ভিঞ্চি কোড।
পড়া শুরু করতেই হারিয়ে গেলাম, অন্য এক জগতে…………….খুবই ভালো লাগছিল পড়তে…………….আর ঘন্টায় ঘন্টায় ভালো লাগাটা ওর সাথে শেয়ার করছিলাম……………। ওর সাথে দীর্ঘ ফোনালাপের শুরু এইভাবেই…………… যা ওর সামনে আমার নিজেকে উপস্থাপন করতে অনেক সাহায্য করেছিল……………।
আমাদের সম্পর্ক বা প্রেমের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মনে হয় ড্যান ব্রাউনের (উনি কি জানেন?)। আরও পরিষ্কার করে বললে তার লেখা ডি দ্যা ভিঞ্চি কোডের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।