আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অজিত কাকার স্মৃতিসৌধ

একবার আপনারে চিনতে পারলে রে , যাবে অচেনা রে চেনা ১৫ আগস্ট সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা অজিত রায়ের সাথে। পাগলাটে এই মানুষটা এসেছেন দিনাজপুর থেকে। উঠেছেন আমাদের বাসায়। উনি আমার আব্বার অফিসে চাকরি করতেন একসময়।

বড় কোন চাকরি করতেন না। ফিল্ডম্যান ছিলেন। তবে সে সময় চিনিকলের ঐ তথাকথিত ছোট চাকুরেরাই মূলত দেশের চিনিশিল্পের বারোটা বাজিয়ে নিজেদের আঙ্গুল গুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কলাগাছ বানাতে পারতো। অজিত কাকা যে ব্যতিক্রম ছিলেন তা তার চিরকালীন দুরবস্থাই প্রমান করে। আব্বার সাথে তাঁর সখ্যতার হয়তো এটাই ছিল কারণ।

দুজন আপাত বোকা দুস্থ মানুষের সহাবস্থান। ধর্ম ছাড়াও অফিসার-কর্মচারীর সামজিক ব্যবধান এখানে তুচ্ছ ছিল। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারো তিনি আব্বাকে খুঁজে বের করলেন। আশির দশকের শেষের দিকটায় আমাদের পরিবারে অনেকগুলো বিপর্যয় নেমে আসে। খারাপ একটা অসুখে আব্বা চোখের দৃষ্টি হারাতে শুরু করেন।

তখন তিনি তার দাপ্তরিক অনেক কাজ করতেন এই মানুষটার সহায়তায়। কত রকম দুঃসময়ে তিনি এগিয়ে এসেছেন। আব্বাকে হাতে ধরে কত জায়গায় নিয়ে গেছেন! সব মনে পড়ছে। ডাক্তাররা বলেছিলেন আব্বার চোখের অসুখটি ভাল হবার নয়। সম্পূর্ণ বিজ্ঞাণমনস্ক এক কালের কমিউনিস্ট মানুষটি চোখের সমস্যায় দিশেহারা হয়ে গিয়ে সে সময় কত রকম অযৌক্তিক কান্ড যে করেছেন! অজিত কাকা কিছুটা আধ্যাতিক ধরণের মানুষ।

আব্বাকে কিছুদিন পরপর বলতেন “স্যার অমুক যায়গায় এক হুজুর আছেন....(নয়তো কবিরাজ আছেন......অথবা সাধু) আমি আপনাকে নিয়ে যাব,চলেন স্যার”। আব্বা ছুটতেন। সে যে-সে জায়গা নয়। দু’দিন দু’রাতের জার্ণি। তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আজকের মত ছিল না।

১৯৮৭-৮৮ সালের ঘটনা। আম্মা আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের পাখির বাচ্চার মত আগলে রাখতেন। রাতের বেলা ৮টা বাজলেই আমরা খেয়ে দেয়ে সবাই এক বিছানায় শুয়ে অপেক্ষা করতাম আব্বার জন্য। একদিকে ছিল ডাকাতের ভয়(দিনাজপুরে তখন ডাকাতি ছিল একটা নিয়মিত ঘটনা। আমাদের বাসার আশেপাশেও কোন জনবসতি ছিলনা সেসময়।

)। আর অন্যদিকে ছিল একটা মিরাকলের জন্য অপেক্ষা। বিছানায় শুয়ে চোখ বুজে কল্পনা করতাম আব্বা ঘরে ঢুকেই বলবেন…এই তোরা শোন খুব কামেল এক হুজুরের কাছে গেসিলাম। আমার চোখ ছুঁয়ে দোয়া পড়ে দিল আর আমার সব কিছু পরিষ্কার। এতদিন দেখতাম আবছা আবছা ,কুয়াশার মতন।

এখন পরিষ্কার। এরকম স্বপ্ন অসংখ্যবার দেখেছি। অজিত কাকা এই স্বপ্ন দেখার উপলক্ষ্য নিয়ে আসতেন আমাদের কাছে। হোকনা তা অসম্ভব স্বপ্ন। স্বপ্ন তো স্বপ্নই।

অজিত কাকার অনেক পাগলামির কথা মনে পড়ছে। একবার হলো কি অজিত কাকা অনেক দিন ধরে নাই, লাপাত্তা। কি হলো? তিনি এই চাকরি করবেন না। “বা…..এর চাকরি। যতসব চোর বাটপারের কারবার”।

আমরা খবর পেলাম অজিত কাকা ইন্ডিয়া চলে গেছেন। তারপর নিজেই একদিন আধ্যাতিক সাধক হয়ে গেলেন। ইয়া বড় চুল দাড়ি রেখে পুরোই তান্ত্রিক সাধু। ভবিষ্যৎ বাণী ও করেন। বিশাল তার পসার।

আব্বা বলতেন “অজিত বাবু। চালায়ে যান। এই লাইনে প্রসপেক্ট আছে হা হা হা …। ” অজিত কাকার কোন কিছুতেই যে প্রসপেক্ট নাই সেটা আব্বা ও বুঝতেন। সবই আসলে তার খেয়াল।

তিনি হঠাৎ এই লাইন ও ছেড়ে দিলেন। অনেক দেন-দরবার করে পুরনো চাকরি আবার পুনরোদ্ধার করলেন। সরকারি চাকরি কিনা! তাছাড়া তাঁর ও জীবন মরণ সমস্যা। বউ সহ চার ছেলেমেয়ে তার পোষ্য। খেয়ালীপনা করে আর কত দিন! অজিত রায় নামের এই মানুষটা যে একজন খাঁটি সোনা তা তখন বুঝিনাই।

এই ক্লান্ত সময়ে এসে সেটা খুব বুঝতে পারি। দু বছর আগে তিনি ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ট্রোক করেন। হার্টের ভালবেও সমস্যা। দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি পিজিতে একটা সিট পেয়েছেন।

কিন্তু ওষুধ কেনার, পরীক্ষা নিরীক্ষা করার টাকা নেই। অজিত কাকা একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সম্মুখ যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ও হয়েছিলেন। পেপারের একটা ছোট্ট কলামের শিরোনাম হলেন তিনি, ভেতরের পাতায়। সচরাচর যেমনটা দেখে আমরা অভ্যস্ত।

দুটো টিভি চ্যানেলও ইন্টারভিউ করেছে। একটা চ্যানেল তার ভাংগা বেড়ার ঘরের ফুটেজ দেখিয়েছে। তারপর অনেক মন্ত্রী মিনিস্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর তাঁর খোজ খবর নিতে লাগলেন। সময়টাও অনুকূলে ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের তখন সিজন।

আমাদের পাগলাটে অজিত কাকা হঠাৎ করে সেলিব্রেটি হয়ে গেলেন। সবাই তাকে নানা রকম কথা বললেন, তার সুস্থতা কামনা করলেন, নানা রকম আশ্বাস দিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হিতৈষী হতে পারলে ও আজকাল অনেক লাভ আছে। তাছাড়া এটা ফ্যাশন ও। অজিত কাকা সবার নাম ঠিকানা ফোন নম্বর টুকে রাখলেন।

একটু সুস্থ হওয়ার পর কাকা এক কান্ড করে বসলেন। সরকারের কাছে দেশের সকল দুস্থঃ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে কিছু দাবী জানিয়ে তিনি অনশনে বসলেন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। শুরুতে একা তারপর আরো কয়েকজন। শেষে প্রধানমণ্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে তিনি অনশন ভাঙলেন। প্রধানমণ্ত্রীর অনুরোধের বার্তাটি নিয়ে এসেছিলেন ভিসি আ আ ম স।

এই হলো অজিত কাকা। অজিত কাকা গত ১৪ই আগস্ট ঢাকা এলেন। উঠলেন আমাদের বাসায়। ১৫ আগস্ট তার আমন্ত্রণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে টিএসসিতে, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে। স্বয়ং ভিসি মহোদয় তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

অজিত কাকা ভেতরে ভেতরে কিঞ্চিত উত্তেজিত। তবে বুঝতে দিতে চান না। ১৫ আগস্ট সকালে আমি তাকে বললাম “চলেন কাকা আমি আপনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাব”। মানুষটা ভাল করে হাঁটতে পারেনা। একলা ছেড়ে দেই কি করে।

তাছাড়া একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান করার এই সুযোগটা ছাড়ি কি করে? আমি নিজে তাকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলাম। কাকা আপ্লুত। গাড়িতে বসে কত কথা বলতে লাগলেন। সেই ছোট বেলার কথা। আর বার বার বলেন “কত বড় হয়ে গেছো উজ্জ্বল! সেই ছোট্ট উজ্জ্বল”! আর একটা কথা বললেন “উজ্জল, বাবা আমি এবার একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকায় আসছি।

তোমাকে সব বলব”। আমি উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। না জানি কি আবার কি কান্ড ঘটান তিনি। অনুষ্ঠান শুরু হলো। আমার খুব গর্ব হচ্ছিল যখন আমি তাকে হাতে ধরে মঞ্চে নিয়ে গেলাম।

ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বক্তৃতায় আবেগ আপ্লুত হয়ে বললেন মুক্তিযোদ্ধা অজিত রায় এই শরীর নিয়ে সুদুর দিনাজপুর থেকে চলে এসেছেন আমাদের ডাকে। আজকের অনুষ্ঠানের এটাই সফলতা। আমাদের হাজার মানুষের সমাবেশ এর চেয়ে এই একটা মানুষের উপস্থিতিই অনেক বেশী মূল্যবান আমাদের কাছে। অজিত কাকা লজ্জা লজ্জা মুখে আমাকে বলেন “ভিসি সাহেব এসব কি বলেন ….” । অনুষ্ঠানশেষে কাকা এগিয়ে গেলেন ভিসি সাহেবের দিকে।

আমি অপেক্ষা করছিলাম কাকা আজ কি কান্ড ঘটায় তা দেখার জন্য। ভিসি সাহেব হাত মেলালেন কাকার সাথে। “আপনি আসছেন আমি খুব খুশী হয়েছি। আপিনি ডেকেছেন আমি আসবোনা !স্যারআমার একটা খুব জরুরী কথা আছে আপনার সাথে। ভিসি সাহেব ঘড়ি দেখলেন।

আজকে আমার অনেকগুলো অনুষ্ঠান আছে। এখান থেকে যেতে হবে বত্রিশ নম্বরে। তারপর…..আপনি কাল আমার অফিসে আসেন। ওকে স্যার, ওকে স্যার, আমি কাল আসবো, নিশ্চয় আসব। আজ আপনি অনেক ব্যস্ত।

সরি স্যার। ভিসি সাহেব চলে গেলেন্। কাকা আমাকে বললেন “ভিসি সাহেব খুব ব্যস্ত, বুঝলে বাবা। অনেক অনুষ্ঠান,উনারা তো আর যা তা মানুষ না…….”। আমি বললাম চলেন আপনাকে নিয়ে আজ সারা দিন ঘুরব, চলেন।

….. অজিত কাকাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরলাম ঢাকা শহরের নানা প্রান্তে। কাকা গাড়িতে বসে বললেন তার উদ্দেশ্যের কথা। তিনি একটা স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছেন সেই স্বপ্নটার কথা বললেন। আমি অবাক হয়ে লোকটার কথা শুনলাম। পরদিন কাকার মিশন সফল করার দিন।

কাকা রাতে বসে লিস্ট করলেন আগামীকাল কোন কোন বিশিষ্ট,আর ক্ষমতাবানের সাথে দেখা করবেন। কয়েকজন বিশিষ্টকে ফোন ও করলেন। আমরা কাকার কানেকশন দেখে অবাক হলাম। পরদিন কাকা সকাল সকাল বেরুলেন। আজ অনেক কাজ।

সবার সাথে দেখা করে তিনি তার ইচ্ছার কথা জানাবেন। “বুঝলে বাবা, আমি তো আর বেশীদিন বাঁচবোনা। এই দেশকে সামর্থ অনুযায়ী যতটুকু পেরেছি দিয়েছি। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি যা পেয়েছি আমার মত মানুষের জন্য যথেষ্ঠ।

ছেলে মেয়েরা মোটামোটি করে খাচ্ছে। আমার এই শেষ জীবনে একটাই ইচ্ছা । আমাদের বাড়ির পাশের গ্রামে, চড়ার হাটের নাম শুনেছ বাবা? এই চড়ার হাট গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা আর সাধারণ মানুষকে লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছিল পাকিস্তানীরা। আমার ২৭জন সহযোদ্ধা মারা গেছে। প্রায় ১০০জন নিরীহ গ্রামবাসী।

পুরো গ্রাম পুরুষ শূন্য করে দিয়েছিল জানোয়ারগুলো। ” অজিত কাকা বলতে থাকেন। “ আমি গ্রামের সেই বদ্ধভূমির সামনে একটা স্মৃতিসৌধ করতে চাই। আমি হিসেব করে দেখেছি মাত্র ৫০ হাজার টাকা হলেই হয়ে যাবে। আমি নিজের জন্য কিছু চাইনা বাবা।

গতবছর প্রাইম মিনিস্টার আমাকে বলেছিলেন আমার চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা তিনি নিবেন। আমার শরীরের যা অবস্থা এরচে খুব বেশী ভাল থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না,আমি বুঝে গেছি। স্ট্রোক হয়েছে, ব্রেইনে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। হার্টের ভাল্বে ফুটো হয়েছে। যে বয়স, অপারেশন ও সম্ভব না।

অহেতুক চিকিৎসার পেছনে পয়সা নষ্ট করে কি লাভ। এর চে বরঙ আমার এই ইচ্ছেটা পূরন হলে আমি শান্তিতে মরতে পারি। একটা স্মৃতি সৌধ আমি করবই। ” আমি অবাক হয়ে তার দিকে চেয়ে থাকি। আমার অবাক লাগে মানুষটা বলে কি?এত শক্তি সে পায় কোথা থেকে? অজিত কাকা বলে চলেছেন, “আমি এটা করবই ।

ভিসির কাছে যাব। স্পীকারের কাছে যাব। গত বছর আমার অসুখের সময় স্পীকার আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন কোন প্রয়োজন মনে করলেই আমি যেন তাকে জানাই। আমি আগামীকাল সবার সাথে দেখা করব।

প্রয়োজনে প্রাইম মিনিস্টারের কাছে যাব। পরদিন অজিত কাকা একাই বের হলেন। আমি আমার কাজে বেরিয়ে গেলাম। কাকার সাথে থাকতে পারলে ভাল হতো, কিন্তু সম্ভব না। আজ তো আর হলিডে না।

অজিত কাকা দিনমান কোথায় কোথায় যেন ঘুরলেন! আমি যখন সন্ধ্যে বেলায় ঘরে ফিরি দেখি কাকা বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ক্লান্ত পায়ে আস্তে আস্তে হেটে যাচ্ছেন। -“কাকা্ চলে যাচ্ছেন? কাজ কতদূর হলো”? কাকাকে একটু বিমর্ষ দেখালো । মনে হল যেন পরাজিত খেলোয়াড় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে । -“না বাবা কাজ তেমন একটা হয়নি।

কেউ খুব একটা আগ্রহ দেখাল না। সবাই বলে স্মৃতিসৌধ তো একটা আছেই। জায়গায় জায়গায় করার কি দরকার”? “তুমি বল বাবা এত গুলো মানুষ মারা গেল আশেপাশের ইয়ং ছেলে পেলেরা কেউতো এসব জানেনা। একটা সৌধ হলে ওরাতো জানবে এখানে কি হয়েছিল । ছোট খাট একটা হলেও তো হয়।

যাস্ট একটা নামফলকক থাকবে। আমার সহযোদ্ধাদের জন্য আমি এটুকু করবো না”? আমি চুপ করে গেলাম। ৫০ হাজার টাকা। আমি জানি এটা ঢাকা শহরের অনেক মানুষের ঘন্টা দুয়েকের ইনকাম। -“আমি আজ রাতের ট্রেন ধরবো বাবা।

আগেই টিকেট কাটা ছিল। তোমরা ভাল থেকো। তোমার আব্বার প্রতি যত্ন নিও। আর তোমাকে বলি । আমি মাস খানেক পর আবারো আসব ঢাকায়।

আমি হাল ছাড়ছিনা। দেখিনা কি হয়। অগত্যা যদি কিছু না হয়, আমি আমার ভিটা বাড়িটা বেচে দিব। ক’দিন আর বাচবো বলো? মরে গেলে এই ভিটা বাড়ি দিয়ে কি করবো? ছেলের জন্য কিছু রেখে যেতে পারবোনা। এই যা……।

আমি কিন্তু সত্যি সত্যি তাই করব….তাই করব। একটা স্মৃতিসৌধ আমি করবই”। আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। অবাক হয়ে শুধুই ভাবছি এই মানুষটা এত শক্তি পায় কোথায়? আমি বললাম, “কাকা, আপনি চিন্তা করবেন না। আমি আমার বন্ধু বান্ধবদের জানাব।

সবাই মিলে ৫-১০ হাজার করে দিলে ও তো হবে। ব্যবস্থা একটা হবেই, আমি আপনার পাশে আছি। চলেন কাকা, আপনাকে স্টেশনে দিয়ে আসি। ” অজিত কাকার চোখে খুশীর হীরে চকচক করতে থাকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।