এইতো সেদিন দুপুরের পরে বাসায় শুয়ে ছিলাম। এক বন্ধুকে ফোন দিলাম বাসায় আসার জন্য।
আধা ঘন্টা পরে সে বাসায় আসলে টুকটাক আলাপ চলছিল। এরি ফাকে সে বললো ........তার মনেটা খুব খারাপ।
ঃ কেন?
উত্তরে যা বললো তা শুনে আমি নিজেও অবাক হলাম।
তার এক ক্লাসমেট বন্ধুর এইডস(এইচ.আই.ভি) ধরা পরেছে।
আমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম তার সম্পর্কে। তা ছিলো এরকমঃ
ছেলেটির নাম প্রান্ত (ছদ্ম নাম)। ঢাকার একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করছে। সে ছিল খুবই চঞ্চল আর প্রানবন্ত।
সকলের সাথে তার ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক। ভার্সিটিকে বলা যায় মাতিয়ে রাখতো সে।
হাসি, আড্ডা, দুষ্টামি সহ সবসময় তার প্রাণচঞ্চলে সবাই সচল থাকতো।
গত এক দুই মাস যাবত সে অসুস্থ। সুস্থ হচ্ছে না।
কি হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না। কিন্তু কয়েকদিন আগে তার ব্লাড টেষ্ট করায় ধরা পড়লো তার রক্তে এইচ.আই.ভি জীবানু বিদ্যমান। তার মরনব্যাধী রোগ এইডস ধরা পড়েছে।
এই কথা শোনার পর থেকে তার অন্যান্য বন্ধুদের মন খুব খারাপ হয়ে গেছে। কারণ তার শরীরে যে পর্যায়ে এই জীবানু প্রবাহিত হচ্ছে, তাতে বন্ধুটিকে তারা কতদিন তাদের মাঝে পাবে সন্দেহ।
আবার সকলের মাঝে কাজ করছে আতঙ্ক। কখন কিভাবে এই রোগ সংক্রামিত হয় এই ভয়ে।
তার বন্ধুটির ভাষ্য, সে একটু দুষ্ট ছিল ঠিক আছে কিন্তু কখন যে সে একটু ভিন্ন দিকে ধাবিত হলো কেউ টের পেল না।
এই ঘটনা সকলকে আতঙ্কগ্রস্থ করেছে তাদের ইউনিভার্সিটিতে।
আমাদের সমাজের দিকে তাকালে এখন এই পরিস্থিতির শিকার হওয়া অস্বাবিক নয়।
অধিকাংশ তরুন তরুনীরা আজ প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রেম ছাড়া যেন জীবন চলে না।
যদি শুধু প্রেমেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে কথা ছিল না কিন্তু আজ প্রেম মানেই মনে হচ্ছে কিছুদিন যেতেই শারীরিক সম্পর্ক।
প্রথম কয়েকদিন ফোন বা ফেবুতে চ্যাট, অতঃপর ডেটিং, ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনালাপ, আর কিছু দিন পরে হাত ধরা থেকে শুরু হয়ে সময় সুযোগ পেলেই সোজা বিছানায়।
শুনতে একটু খারাপ লাগছে কিন্তু বাস্তবতা এরকমই।
তবে সবাই এরকম তা অবশ্যই নয়।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেই এইডস নিয়ে জানতে গিয়ে যা জানলাম তাই তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য। তবে অবশ্যই আমি কোন ডাক্তার না, পড়ে য যেনেছি তাই শেয়ার করলাম।
আসুন জানি................
এইডস/ এইচ.আই.ভি কি?
মরন ব্যাধী AIDS এর পূর্ন রূপ হলো Acquired Immune Deficiency Syndrom এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল AIDS (এইডস)। আর এইডস রোগ হয় Human Immunodeficiency Virus এর মাধ্যমে।
সংক্ষিপ্ত রূপ হল HIV (এইচআইভি)। এইচআইভির কারনে এইডস হয়। কোন রোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে এইচআইভি ক্রমান্বায়ে ধ্বংস করে দেয়। তাই, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজেই যেকোন রোগে (যেমন: নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ডায়রিয়া) আক্রান্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এইডস এর কোন প্রতিষেধক বা কার্যকর ওষুধ এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি।
একজন এইডস রোগী
এইডস এর লক্ষনঃ
মানবদেহে এইচআইভি প্রবেশ করার সাথে সাথেই শরীরে এইডস এর লক্ষণ দেখা যায় না। এইচআইভি শরীরে প্রবেশ করার ঠিক কতদিন পর একজন ব্যক্তির মধ্যে এইডস এর লক্ষণ দেখা দেবে তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। তবে এটা মনে করা হয়ে থাকে যে, এইচআইভি সংক্রমণের শুরু থেকে এইডস- এ উত্তরণ পর্যন্ত সময়ের ব্যাপ্তি সাধারণত ৬ মাস থেকে বেশ কয়েক বৎসর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ৫-১০ বৎসর অথবা তারও বেশি। এই সুপ্তাবস্থার তাৎপর্য হচ্হে, এই সময়ের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমিত একজন ব্যক্তি (যার শরীরে এইডস -এর কোন লক্ষণ যায় নি বা যে আপাতদৃষ্টিতে সুস্খ) তার অজান্তেই অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে এইচআইভি ছড়িয়ে দিতে পারে।
এইডস এর প্রধান লক্ষনসমূহ
এইডস -এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই।
তবে, এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তি অন্য যে রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে:
(১) শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পাওয়া
(২) দীর্ঘদিন (দুমাসেরও বেশি সময়) ধরে পাতলা পায়খানা
(৩) পুন: পুন: জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
(৪) অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব হওয়া
(৫) শুকনা কাশি হওয়া ইত্যাদি।
এইচআইভি কেন ও কিভাবে সংক্রমিত হয়ঃ
*বায়ু, পনি, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না।
*রোগীর সাথে কাজ , চলাফেরা বা স্বাভাবিক মেলামেশা করলে এইডস হয় না।
*রোগীর হাচি, কাশি, থুথু, বা মশা মাছির মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না।
*এইচআইভি মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) বেশি থাকে। ফলে, মানব দেহের এই তরল পদার্থগলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে।
সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হল:
১) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত বা রক্তজাত পদার্থ অন্য কোন ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে
২) আক্রান্ত ব্যাক্তি কতৃক ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ বা ঘা সৃষ্টিকারী যেমন, ছুরি, ব্লেড, ডাক্তারী কাচি অন্য কোন ব্যক্তি ব্যবহার করলে
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে)
৫) অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন করলে
৬) এইডস রোগীর সাথে কোন রকম জন্ম নিরোধক (কনডম) ছাড়া যৌন মিলন করলে।
উল্ল্যেখ যে কারো মধ্যে উপরিউক্ত একাধিক লক্ষণ দেখা দিলেই তার এইডস হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তবে, কোন ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ (বাচার উপায়)ঃ
এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা এইডস প্রতিরোধ করতে পারি। এইডস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হল:
১) অন্যের রক্ত গ্রহণ বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগে রক্তে এইচআইভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া
২) ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহার করা
৩) অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
৫) কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া
চিকিৎসাঃ
এইডস রোগের কোন চিকিতসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ঔষধ আবিষ্কার করেছে।
*প্রথম গ্রুপ এর ঔষধের নাম Nucleoside reverse transcriptase inhibitors, যা HIV সংক্রমনকে বিলম্বিত করে।
*দ্বিতীয় গ্রুপ এর নাম Protease inhibitors যা HIV ভাইরাস replication এ বাধা সৃষ্টি করে।
যেহেতু এদের শুধু যে কোন একটি গ্রুপ এর ঔষুধ একা শরীরে কার্যকর হয়না, তাই সম্বিলিত ঔষধ দেয়া হয়। এই চর্চাকে বলা হয় HAART, Highly Active Antiretroviral Therapy. যদি ও HAART এইডস উপশম করেনা, তবে এইডস রোগীর মৃত্যুসংখ্যা কমাতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।
তবে এইডস রোগী সুস্থ হয়েছেন এমন উদাহরণ হলোঃ
টিমোথি রে ব্রাউন ছিলেন লিউকেমিয়া এবং এইডস রোগে আক্রান্ত। ২০০৭ সালে জার্মানীতে তাকে বোন মেরো স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এই ট্রান্সপ্লান্ট এসেছে একজন এইডস প্রতিরোধক ব্যক্তির কাছ থেকে, (এমন এইডস প্রতিরোধক লোক পাওয়া যায় ককেসিয়ানের মধ্যে ১%)।
ডক্টররা পরে দেখলেন ব্রাউনের শরীরে কোন এইচআইভি ভাইরাসের অস্তিত্ত্ব নেই, তিনি আর কোন ঔষধও খাচ্ছেন না, এবং পরবর্তীতে তার আর এইডস রোগে আক্রান্ত হবারও কোন সম্ভাবনা নেই।
যৌনরোগ এবং এইচআইভিঃ
ইংরেজি শব্দাবলী Sexually Transmitted Disease এবং Sexually Transmitted Infection এর সংক্ষিপ্ত নাম যথাক্রমে এসটিডি (STD) এবং এসটিআই (STI)। এসব রোগ বা সংক্রমণ সাধারণত অনিরাপদ যৌনমিলনে মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। কিছু কিছু যৌনরোগ যৌনমিলন ছাড়া অন্য উপায়েও সংক্রমিত হতে পারে। যৌনরোগসমূহ ভাইরাসঘটিত অথবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত হতে পারে।
এ ধরনের প্রধান রোগগুলো হল: গনোরিয়া, সিফিলিস, ক্ল্যামিডিয়া, এইচআইভি, জননেন্দ্রিয়ের চর্মরোগ ও ফোঁড়া, হেপাটাইটিস-বি ইত্যাদি। এসব রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হল: যৌনাঙ্গ বা এর আশেপাশে ঘা/চুলকানি হওয়া, প্রসাবের সময় ব্যথা ও জ্বালা করা, যৌনাঙ্গ থেকে পুঁজ পড়া ইত্যাদি।
যৌনরোগ এবং এইচআইভির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। যাদের কোন যৌনরোগ রয়েছে তাদের এইচআইভি দ্বরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেকগুণ বেশি।
এইডস অক্রান্ত ব্যাক্তির পরিচর্যাঃ
মরণব্যাধি এইডস এর পরিণতি আমরা জানি।
একজন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজেই অন্যকে সংক্রমিত করে না এবং অক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে না। তাই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমাদের সামাজ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। তাকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করতে হবে।
সুতরাং তাদের প্রতি আমাদের করনীয় হবে:
১) এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করা,
২) তাদেরকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করা এবং তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া,
৩) তাদেরকে অন্যান্য সবার মত সমান সুযোগ দেয়া,
৪) এইচআইভি আক্রান্তদের নিত্য-নৈমিত্তিক কাজ থেকে বঞ্চিত না করা,
৫) পরিবারের ও সমাজের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক এদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
৬) পার মহল্লা বা অন্য কেউ আক্রান্ত হলে অবহেলা বা দুর্বব্যবহার না করে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করা।
এইডস এর উৎপত্তিঃ
এইডস একটি ভয়ানক ব্যাধি। ১৯৮১ সালে এই রোগ প্রথম সনাক্তকরণ হয় যুক্তরাষ্ট্রের সি ডি সি (Center of Disease Control and Prevention) দ্বারা। Pneumocystis carinii এবং Kaposi's sarcoma নামে দূটি বিরল রোগের ভয়াবহ বৃদ্ধি CDC কে সতর্কিত করে। অবশেষে ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এই মহামারী রোগের ভাইরাস সনাক্ত করেন। ফ্রেঞ্চ বৈজ্ঞানিকরা এর নাম দেয় Lymphadenopathy-associated virus (LAV)।
আর যুক্তরাষ্ট্র এর নাম দেয় Human T-cell Lymphotropic virus, strain III (HTLV III)। ১৯৮৬ সালে এই ভাইরাসের পুনঃনামকরণ হয় Human ImmunoDeficiency Virus (HIV)। HIV ভাইরাস মানুষের শরীরের T-helper cell কে আক্রান্ত করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যে অতীব প্রয়োজনীয়।
এইডস এখন বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরেছে। ২০০৭ সালে শুমারি অনুযায়ী বিশ্বব্যাপি আনুমানিক ৩৩.২ মিলিয়ন মানুষ এইডস এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে যার মধ্যে ৩৩০,০০০ জন ছিলো শিশু।
এর ত্রি-চতুর্থাংশ মৃত্যুই ঘটেছে আফ্রিকার সাব-সাহারান অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধি অঞ্চলে।
কেস স্টাডিঃ
১. মুছে দিয়েছি
২. মুছে দিয়েছি
তথ্যসূত্রঃ
১. ইউকিপিডিয়া
২. ruralinfobd.com
৩. সামুর ব্লগার হিমেল চৌধুরীর পোষ্ট..এইডস, কারণ ও প্রতিকার...
৪.amaderrajshahi.com
৫. আর গুগল মামা।
অনেক বড় হয়ে গেছে লেখাটা । যারা পড়বেন তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।