আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেটির এলেবেলে জীবন



ববার ইচ্ছে ছিলো ছেলেটা উকিল হোক। মা চাইতেন, বড় সড় কোনো সরকারি চাকুরে হবে তার ছেলে। ছেলের ইচ্ছে ছিলো- আঁকিয়ে হবে। এটি ছেলেটির তরুন বয়সের গপ্পো। ৭ / ৮ ক্লাসে পড়ার সময় থেকে ছেলেটি টুকটাক লেখালেখিতে জড়িয়ে পড়ে।

প্রথমে সিনে সাপ্তাহিক পূর্বাণীতে তার লেখা ছাপা হয়। এরপর চিত্রালী। এক সময় চিত্রালী পাঠক সংগঠন ‘ চিপাচস’ এর সাথে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ? ছেলেটির লেখালেখি চলতে থাকে... বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা, বিচিন্তা, মৌচাকে ঢিল, যাযাদি, ভোরের কাগজ, প্রথম আলো কত্তো কী ?? পড়াশুনায় খারাপ ছিলো না সে। অথচ ! সব শিকেয় উঠলো।

বাউন্ডুলে জীবন তার। কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে পড়ে যখন-তখন। কোনভাবে ১২ ক্লাস পাশ দিয়ে ঢাকায় এসে ভর্তি হয়, রাষ্ট্রবিগ্যানে। এম এ শেষ করা হয় না তার। ১৯৯০ সালে চাকরী নিয়ে চট্টগ্রাম।

এরশাদ সরকারের পতন শেষে চাকরী ছেড়ে আবার ঢাকায়। ৯৩ সালের দিকে আবার চাকরীতে ফেরা। এক নাগাড়ে ২০০১ পর্যন্ত চাকরীতে। আবার চাকরী ছেড়ে বেকার ! ঘরে তার স্ত্রী আর ৪ মাসের ছেলে। মনটা থিতু হয়না কোথ্থাও।

২০০১, ২০০২, ২০০৩... এটা সেটা ! ছেলে বড় হচ্ছে। বাপ তার ছন্নছাড়া ! ঘুরাঘুরি অবিরাম। এ জেলা সে জেলা। সারাদেশ। দেশ থেকে দেশান্তর।

কিছুতে কিছু হয়না। রক্তে যার অস্থিরতা...তাকে কী করে, কে বেঁধে রাখে ?? অবশেষে আল্লার পাগল আল্লাই সামলালো। ২০০৪ থেকে নেহায়েত ভদ্দরলোক বনে গেল। নতুনভাবে চাকরীতে যোগ দিলো। পরিবারের সবাই অবাক।

আবার আতংকিতও। এই বুঝি ছুটলো !!!! কোনো এক অজানায়.... ছেলেটি ভাবে, এই বেশ ভালো আছি। একটাইতো জীবন...কাটুক না হাসি আর আনন্দে...যদ্দিন কাটে...মন্দ কী ??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।