গথ বাধা নিয়ম চাই না, চাই পরিবর্তন, আমূল পরিবর্তন... ২৫ আগস্ট ২০১১ ইং। জীবন নাট্যের বিশাল রঙ্গমঞ্চে পার করেছি ২০টি বছর। জানিনা আর কতদিন এই রঙ্গমঞ্চে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করতে পারব। মনে হচ্ছে এইতো সেদিন উম্ম-আল-কুওয়াইন সিটি হসপিটালে আমার জন্ম হয়েছিল। হসপিটাল টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটা স্টেট উম্ম-আল-কুওয়াইনে অবস্থিত।
তখন বাবার গাড়ি ছিল। লাল গাড়ি। বাবা নিজেই গাড়ি চালাতেন। বাবা আমাকে গাড়িতে করেই হসপিটাল থেকে আমাদের বাসায় নিয়ে যান। বাবা ওখানে একটা সরকারি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
তাই আমরা সরকারি কোয়ার্টারে থাকতাম। নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা মরুভূমির মাঝখানে অবস্থিত একা একটা বাসা। এটাই ছিল আমাদের কোয়ার্টার। আশপাশের শান্ত প্রকৃতির মতই শান্ত ছিলাম আমি। তাই কাউকে তেমন কষ্ট দিতাম না।
বয়স বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে একই হারে বাড়তে থাকে আমার দুষ্টুমি। বর্তমানে তুঙ্গে। তবে দুষ্টুমিটা আমার নিতান্তই একান্ত। আমার বাসা আর আমার বন্ধুরাই আমার দুষ্টুমির কেন্দ্রবিন্দু। সভ্য সমাজে আমি ভদ্র না হলেও ভালো ছেলে।
ওহ, এখন তো ছেলে বলা যাবেনা। যুবক। যাই হোক, প্রত্যেক মানুষের একটা সনাক্তকারি বৈশিষ্ট থাকে। আমার দুষ্টুমিই আমার সনাক্তকারি বৈশিষ্ট। এটা কখনো পরিবর্তন হবে না, ইনশাআল্লাহ।
জন্মদিনে শুভকামনা পেতে কার না ভালো লাগে। আমিতো আমার বন্ধুদের বলেছি আমাকে উইশ করার জন্য। কারণ উইশ মানে দুয়া। আর আমি যে কারো কাছে দুয়া চাইতেই পারি। কিন্তু এবারই প্রথম ১৩১! টা শুভকামনায় জর্জরিত হয়েছি।
দিনের বাকি এখনও ৫ ঘণ্টা। শুভকামনার সংখ্যা কততে দাঁড়াবে সেটা ক্যালক্যুলেটার দিয়ে হিসাব করতে হবে। ক্যালক্যুলেটার ছাড়া হিসাব করলে রোযা বাবাজীর চোখ রাঙ্গানি দেখতে হবে। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার বিশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকের বদৌলতে। এতো এতো শুভকামনায় জর্জরিত করার জন্য আমি মার্ক ইলিয়ট(ইডিয়ট) জুকারবার্গকে ধন্যবাদ নাকি গালাগালিতে জর্জরিত করব সেটা আমার মস্তিষ্কের নিউরনে অনুরনিত হচ্ছে না।
এদিকে আবার সকালে বাবাকে বললাম, বাবা আমার মাত্র ২০০ টা টাকার প্রয়োজন। বাবা বললেন, বয়স ২০ হয়ে গেছে, আমাকে কি এখনও ২০ টাকা উপার্জন করে দিতে পেরেছিস? প্রতিদিন সকালে আমার ঘুম নষ্ট করে টাকা নিয়ে যাশ। কি আর করা? মুহুর্তের মধ্যে কাউকে খুশি করায় আমি ওস্তাদ। বাবাকে আশ্বস্ত করে বললাম - বাবা, চিন্তা কর না। যেদিন চাকরি শুরু করব সেদিন আপনাকে ব্ল্যাংক চেক দিয়ে বলব ইচ্ছে মত টাকার অঙ্কটা লিখে নিয়ে যান।
বাবা খুশি হয়ে আমাকে ৩০০ টাকা দিলেন। বাবাও খুশ আমিও খুশ।
আমাকে যারা উইশ করেছেন কিংবা করবেন কিংবা করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে পারেননি, আমাকে উইশ করার জন্য আমি যে কতটা খুশি হয়েছি তাদের সবাইকে সে কথা কিভাবে বলব সেই কঠিন ভাষা আমার জানা নেই। তাই অতি সাধারণভাবেই জানাচ্ছি “অসংখ্য ধন্যবাদ”। দুয়া করবেন যাতে বাবাকে দেয়া কথা রাখতে পারি।
আর জীবনে একজন খাঁটি বাংলাদেশই মুসলিম হতে পারি।
আর দুটো কথা -
সাবধান! ২০ বছর হয় দুনিয়াতে এসেছি, মেপে কথা বলবেন।
আর আমার বয়স যখন ২০ বছর ১ ঘণ্টা, টিক তখনই একটা ছবি তুলেছি। ভাল না লাগলেও দেখে নেবেন। আল্লাহ হাফিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।