কৌতুক পরতে সবারই কত না ভাল লাগে
আর যদি সেটা ১৮+ হয় তবে তো কথায় নেই ।
আশা করি কেউ হতাস হবেন না ।
মেয়েঃ তুমি কি আমাকে তোমার পরিবার থেকে বেশি ভালবাসনা?
ছেলেঃ না
মেয়েঃ কেন!
ছেলেঃ
যখন আমি হাটা শুরু করি পড়ে যাই তখন কেউ ছিলোনা আমাকে ওঠানোর জন্য!! কিন্তু আমার মা ছিল!
...আমি যখন ঘরের বাইরে যেতাম তখন যার হাতে পরম নির্ভরতা খুঁজে পেতাম সে আর কেউ না আমার বাবা!
আমি যখন কাদতাম তখন তুমি আমাকে খেলনা এগিয়ে দাও নি!! আমার ভাই বোন দিয়েছিলো!!
আমার পরিবার আমার কাছে সবচে মূল্যবান এই পৃথিবীর সব কিছুর চেয়েও!!♥
আসুন সবাই আমাদের পরিবারের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি!!
বাবা মা ভাই বোনের চেয়ে আপন কেউ হতে পারে না । বিপদে পরলে কে আগে এগিয়ে আসে সবাই জানি নিজের বাবা-মা ভাই বোন ।
তবে হ্যা স্ত্রী অনেক ভালবাসতে পারে আপনাকে আপনিও ভালবাসতে পারেন কিন্তু বাবা-মার ভালবাসার কাছে কি সেই স্ত্রীর ভালবাসা সমান হতে পারে?? যদি সমান না হয় তবে কেন আমরা বিয়ের পর বাবা-মা কে ছুরে ফেলে দিতে চাই কোন ডাস্টবিনে হয়তো বৃদ্ধাশ্রমে নয়তো স্ত্রীর সব কথাকে মূল্য দেয় বাবা-মার কথাকে মূল্যহীন বিবেচনা করি তাদের সাথে রাগারাগি করি খারাপ ব্যবহার করি ।
আমাদের ১ স্যার বলেছিলেন স্ত্রী বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্বামীকে যা বলে স্বামীরা তাই করে । কারন তখন দুনিয়ার সব চেয়ে সুখের অনুভবে আপনি আছেন । ভুলে যাবেন না ঐ সুখের চেয়ে বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মার মুখে একটু হাসি কিংবা তাদের প্রতি আপনার একটু সেবা যত্ন আপনাকে হাজার গুন পরিতৃপ্তি দিবে । যা কোন সুখের সাথে তুলনা হতে পারে না ।
আপনাদের কি মনে পড়ে কিংবা মনে হয় বাবা-মা কত কষ্ট করে আপনাকে মানুষ বানিয়েছে ।
অনেকে অবশ্য মানুষ হয় নি মানুষরুপি পশু হয়েছে । বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে যারা নিজের বাব-মা কে পাঠায় তারা কি মানুষ হিসাবে নিজেকে বলার যোগ্যতা রাখে ??
আব্বু " ঐটা কিনে দাও না না এখনই কিনে দাও " ।
এ মাসে টাকার সংকট সেটা আর বিবেচনা করে নি আপনার জেদকেই কিংবা নিজের কোন চাওয়াকে বিসর্জন দিয়ে ঠিক ঐ জিনিসটাই কিনে দিয়েছে ।
আম্মু " আব্বুকে বলে আমাকে ঐটা কিনে দিত বল । না কিনে দেওয়া পর্যন্ত ভাত খাব না কিন্তু বলে দিলাম " ।
অন্যায় আবদার হলেও মা ঠিকই বাপকে রাজি করিয়েছেন ।
একটু জ্বর-সর্দি হলে বাবা-মার কত রাগারাগি তোকে বৃষ্টিতে ভিজতে মানা করি নাই । এখন তো ওষুখ বাধালি ।
তারপর কতই না তাদের সেবা যত্ন ।
বাবা আজ আমার জন্য খোরমা আনবা ।
অন্য সব কিছু ভুললেও খোরমা আনতে ভুলেন নি ।
তবে আপনি এখন অনেক কিছু ভুলে গেছেন হয়ত ।
অবশ্য আপনার ভোলার অধিকার আছে কারন বাবা-মা ই তো শিখিয়েছে অতীত ভুলে যেতে বর্তমানে আরও ভাল কিছু করতে !!
হা বর্তমানে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য দামি দামি মুন্নি বদনাম হুয়ি নয়তো শিলা কি জওয়ানি শাড়ি কেনায় ব্যাস্ত ।
ছেলেমেয়েদের চাওয়া যাতে অপূর্ন না থাকে সে দিকেও আপনার কড়া দৃষ্টি ।
আপনার সময় নেই হয়ত মনে নেই বাপ-মায়ের জন্য কিছু কেনার ।
মনে থাকলেও বা কি ২ বছর আগে তো ১ সেট বাবাকে পান্জাবি-পান্জাবি ও মাকে শাড়ি দিছি । বৃদ্ধ বয়সে আর কত লাগে ।
আজ আমি অনেক বড় চাকরি করি বাবা-মা গ্রামেই ভাল থাকেন । ঈদে যাই দেখি করে আসি । শহরে তো তাদের রাখা যাবে না নিজেদের স্ট্যাটাস বলে ব্যাপার আছে তাছারা মান-সম্মানের ব্যাপারও আছে ।
কখন কার সাথে কি বলেন তখন করিম সাহেব কটাক্ষ করবেন !!!
আপনি ছোটবেলায় যখন পায়খানা করছেন মা নিজ হাতে তা পরিস্কার করছেন , বাবার শার্টে পেসাব করছেন । সঙ্গে সঙ্গে শুকনা জামা কাপড় পড়িয়েছেন । তারা অবশ্য এসব করতে লজ্জ্বাও পাননি ঘৃনাও করেন নি ।
তবে আপনি এখন অনেক বড় হয়েছেন আপনার ব্যাপার স্যাপারই আলাদা ।
যা ছোট চাকরি করি ছেলে মেয়ে স্ত্রী নিয়ে মাসে টানাটানি যায় মা-বাবাকে আমার কাছে রাখা সম্ভব না ।
হা ঠিকই বলছেন সম্ভব না কারন তারা তো বোঝা এখন ।
কত কষ্টের টাকা দিয়ে আপনাকে এত বড় করছেন সেটা মনে না থাকাই ভাল কারন আপনার মাসে যে টানাটানি যায় ।
মা আমার কাছে থাকে বাবা ছোট ভাইয়ের কাছে থাকে ।
জি আপনি অনেক উদার মাকে নয়ত বাবাকে সাথে রাখছেন ।
বৃদ্ধ বয়সে বাপ-মা একসাথে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই ।
বাব-মা ২ জনেই আমার সাথে থাকে ।
জি আপনি সবচেয়ে মহান মানুষ ।
তাদের হয়ত একজন চাকরের চেয়ে একটু বেশি মর্যাদা দিয়ে রাখেন তার চেয়ে কি বেশি কিছু করেন ??
কেউ কি কোনদিন বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করেন " মা আজ কি খেতে মনে চাচ্ছে বল তো "
" বাবা তোমার চোখে সমস্যা হচ্ছে চলো তো আজ ডাক্তারের কাছে যাই "
" আজকে ভাত খাওয়ার পর ওষুধটা ঠিকমত খাইছ তো "
" মা-বাবা তোমাদের কোন কষ্ট হচ্ছে না তো "
স্ত্রীর কানে কানে যা বলল তাই আমি বিস্বাশ করে অনেক দিন মার সাথে কথা বলি না । কারন মা এত বড় অন্যায় করল কেন ।
জি আপনি ঠিকই করেছেন এত বড় অন্যায় মা কেন করবেন ??
বিবেক বিবেক বিবেক !!! হয়ত মনে হবে এটা আবার কি জিনিস ।
কারন বিবেক বলতে কিছু অবশিস্ট নাই আমাদের ।
বাবা-মা হল ২য় ঈশ্বর । এটা মনে রাখার কি অদ্য কোন দরকার আছে ??
নাহ নাই ।
নিজেকে কি কখনও জিঞ্জেস করার দরকার আছে বাবা-মা এই জীবনে আমাকে যা দিয়েছেন তার কি ১চুল পরিমান তাকে ফেরত দিতে পারতেছি ??
নাহ দরকার নাই ।
এসব বলে কি লাভ ।
কেউ শুনবে না । কারণ আমাদের আর বিবেক বলতে কিছু না ।
আপনার ভোতা বিবেককে যদি একটিবারের জন্য একটি মানুষের মধ্যে যদি জাগিয়ে তুলতে পারি তবে আমার এ পোস্ট সার্থক হবে । পোস্ট যদি কেউ পড়েন তবে দয়া করে তা ফেসবুকেও শেয়ার করবেন । কারন একটি লোকও যদি এ পোস্ট পড়ে একটিবারের জন্য কেউ যদি বাবা-মাকে নতুনভাবে উপলদ্বি করে তবে আমার চেয়ে খুসি কেউ হবে না ।
এই ঈদ হোক আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের অবশ্যই বাবা-মার সাথে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্যে দিয়ে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।