............................................ আমার মনের দুইটা সিজন। সাধারণত সব মানুষেরই দুইটা সিজনই থাকে। একটা হলো ভালো লাগার সিজন আরেকটা হলো খারাপ লাগার সিজন। ভালো লাগার সিজনে খুব খুশি লাগে। যা দেখি তাই ভালো লাগে।
পড়ালেখা করতে ভালো লাগে, গান শুনতে ভালো লাগে, গল্প করতে ভালো লাগে, ঘুমাতে ভালো লাগে, প্রতিটা মানুষকেই ইন্টারেস্টিং লাগে। এই সময় যত বড় মন খারাপের ঘটনা ঘটুক না কেন সেই তুলনায় মন খারাপ হয় কম। এই সময় আমার সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তাকে মাফ করে দিতে পারি খুব সহজে। আমি শিওর যে ভালো লাগার সিজনে আমাকে কেউ খুন করলে, আমি খুনিকেও মাফ করে দিতে পারবো। কিন্তু এই সময় সমস্যা একটাই আমার শুধু হাসি পায়।
সারা বছর নিজের মধ্যে গাম্ভীর্য আনার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।
এর মধ্যে একটা হলো লবঙ্গ পদ্ধতি। লবঙ্গ পদ্ধতিতে মুখের ভিতরে দুইটা তিনটার মতো লবঙ্গ রাখতে হবে। যখনই হাসি পাবে তখনই লবঙ্গে কামড় দিতে হবে। এতে করে ঝালের জন্য পুরো হাসিই যাবে উড়ে।
চোখেও পানি এসে যেতে পারে। চোখে পানি আসলেও এখানে রিস্ক নাই বললেই চলে। এটা ক্লাস করার সময় করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ক্লাসে হাসাহাসি সবচেয়ে অভদ্রতা।
হাসি বন্ধের আরেকটা পদ্ধতি আছে বেশ কমন।
হাসি পেলে দুই হাতে মুখ চেপে আচ্ছা মতো কাশি মারতে হবে। ভাবটা হবে এমন যে কাশতে কাশতে শেষ হচ্ছি। সবসময় তো আর সাথে লবঙ্গ থাকেনা। সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটা বেশ ভালো।
কিন্তু এগুলোই চিরস্থায়ী সমাধান না।
চিরস্থায়ী হাসি বন্ধের জন্য অনেক ভালো অভিনেত্রী হতে হবে। আমাকে দিয়ে দুইটা কাজ কখনোই সম্ভব না। একটা হলো নাচানাচি আরেকটা হলো অভিনয়!
মন খারাপের সিজনটা খুব খারাপ যায়। এতোটাই খারাপ যে মরে যেতেও ইচ্ছা হয় মাঝেমাঝে। নিজেকে আমি ভীষণ ভালোবাসি নাহলে হয় তো কোনো এক মন খারাপের সিজনে মারা যেতাম! উপদেশ সহ্য হয়না।
বকা ঝকা তো একেবারেই না। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কথা বলতে বলতে বেলাইনে চলে যাই। কথা বলতে বলতে ভুলে যাই। পড়ালেখা টাইপ যেকোনো কাজের সময় অস্থির লাগে খুব।
নিজেকে নিয়ে খুব হতাশ লাগে। এটা করতে পারতাম, ওটা করা যেত, কেন ঐটা হলো না, এটা কেন হচ্ছে না এই টাইপ আফসোস মনের মধ্যে বিরাজ করে। এই সময় আমি রেগে গেলে সেই রাগও হয় চিরস্থায়ী। যতোই ভালো লাগার সিজন আসুক না কেন সেই রাগ কিছুতেই যায় না। যার উপর রাগ লাগে তার যেন মুখোমুখি হতে না হয় সেরকম একটা পার্মানেন্ট ব্যবস্থা নিয়ে ফেলি।
অবশ্য যাকে গোণায় ধরি না তার ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা নেই না। এইগুলো শুধুমাত্র ফাউল লোকজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
তবে আজকাল মনেহয় আমার সহনশীলতা অনেক বেড়ে গেছে। আগে এতো সহনশীল ছিলাম না। এজন্য রাগ তাড়াতাড়ি পড়ে যায়।
রাগ হলে ভীষণ অশান্তি লাগে বলে ফেলে দেই।
রাগ ফেলার আগে ভাবি আমার কি কি দোষ ছিল… আর সেই মানুষটার কি কি দোষ ছিল। আমার দোষ থাকলে তখন রাগটা উদাস হয়ে যায়। তখন উইকেন করার চেষ্টা করি আমার দোষটা। এরপরই কিভাবে কিভাবে যেন রাগটা একেবারে পালিয়ে যায়।
তবে আমার লজ্জা লাগে তখন
কিন্তু ইদানীং মনটাকে বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে মনেহয় এই কাজটা করলে আমার ভালো লাগবে কিন্তু করার পর দেখি না, ভালো লাগছে না। আবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও একটা কাজ করার পর দেখি খারাপ লাগছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।