আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবিসিতে হুমায়ুন আহমেদের আলাপন

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। সম্প্রতি লেখক হুমায়ূন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে এক ইন্টারভিউ দেন। বিবিসি-র পক্ষে হুমায়ুন আহমেদের সাথে কথা বলেছেন অর্চি অতন্দ্রিলা। এই লেখাটি আমি বিবিসি-র ওয়েব সাইট থেকে নিয়েছি।

মাঝে মাঝে পড়ব আর ভাবব , কি ভাবে মানুষ এতো বড় লেখক হন? বিবিসিঃ আপনি গত চার দশক ধরে লেখালেখি করছেন। এ লেখালেখির শুরুটা কিভাবে হলো? হুমায়ূন আহমেদঃ বাংলাদেশে আর ১০ টা মানুষ যে ভাবে লেখালেখি শুরু করে আমি একই ভাবেই শুরু করেছি। আলাদা কিছু নয়। তারা কি ভাবে শুরু করে? প্রথমে তারপরে স্কুল ম্যাগাজিনে লেখে, তারপর কবিতা লেখে তারপর পত্রপত্রিকায় পাঠাবার চেষ্টা করে। তারা যে ভাবে শুরু করেছে আমিও সেই ভাবেই শুরু করেছি।

আলাদা কিছু নয়। বিবিসিঃ আচ্ছা, মিঃ আহমেদ, আপনার পড়াশোনার বিষয় ছিল রসায়ন। সাধারণত মনে করা হয় এটা সাহিত্যের বিপরীতে। কিন্তু অধ্যাপনা ছেড়ে লেখার আগ্রহটা কি ভাবে তৈরী হলো? হুমায়ূন আহমেদঃ সাধারণত মনে করা হয় এটা সাহিত্যের বিপরীতে। আসলেই কি তাই? যদি সাহিত্যের পক্ষে বা সাহিত্যের স্রোতে যে সাবজেক্টগুলো আছে সেগুলো কী? তাহলে বাংলা বা ইংরেজি সাহিত্য? যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে আমার প্রশ্ন থাকবে প্রতি বছর যে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বাংলা বা ইংরেজিতে পাস করে বের হচ্ছে তাদের মধ্যে কয় জন লেখালেখি করছে? কে কি পড়ছে সেটার সাথে লেখালেখির কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।

বিবিসিঃ সাহিত্যের সাথে সাথে নাটক এবং সিনেমা পরিচালনায় আপনি কি ভাবে আসলেন? হুমায়ূন আহমেদঃ হঠাৎ করেই আসি বলা যেতে পারে। আমি দেখলাম, আমার কিছু গল্প নিয়ে ওরা বাংলাদেশ টেলিভিশন নাটক তৈরী করেছে। নাটকগুলি দেখে আমি ভাবলাম, আমি নিজেই যদি নাটক তৈরী করতে পারতাম তাহলে কি ওদের চেয়ে ভাল হত না মন্দ হত? আমি নতুন কিছু কি করতে পারতাম? ঐ আগ্রহ থেকেই আমি নাটক তৈরী শুরু করি। আর সিনেমা তৈরীর পেছনে মূল কারণটা হচ্ছে – এতো বড় একটা মুক্তি যুদ্ধ হয়ে গেছে আমাদের দেশে । কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কোন ভাল ছবি তৈরী হয়নি।

আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে একটা ভাল ছবি হওয়া দরকার। এই থেকেই আগুণের পরশমণি ছবিটা বানিয়েছি। নট নেসেস্যারি যে বিশাল কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু চেষ্টাটা ছিল আর কি। বিবিসিঃ আপনার লেখা অনেক চরিত্র মানুষকে কাদিয়েছে, হাসিয়েছে।

আপনি নিজে কেঁদেছেন কোন চরিত্রের জন্য? হুমায়ূন আহমেদঃ আমি যখন লেখালেখি করি তখন কোন একটা চরিত্র খুব ভয়াববহ কষ্ট আর দুঃখের মধ্যে পড়ে যায় তখন নিজের অজান্তেই দেখি আমার চোখে পানি আসে। কাজেই কোন বিশেষ চরিত্র নয় সব চরিত্রের জন্যই আমার চোখে পানি আসে। আর আমি তো অনেক হিউমার পছন্দ করি। যখন আমি হিউমারগুলো লিখি আমি শিওর যে তখন আমার আশেপাশে কেউ থাকলে তারা দেখবে যে আমার ঠোটের কোণায় মুচকি হাসি দেখতে পাবে তারা। ---- বিবিসিঃ আপনার নাটক কোথাও কেউ নেই –তে বাকের ভাইয়ের মৃত্যু ঠেকাতে মানুষ যখন প্রতিবাদ শুরু করল মানুষের আবেগের দিকে তাকিয়ে একবারও কি বাকের ভাইকে বাচিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয়েছিল? হুমায়ূন আহমেদঃ এই নাটকের ২টি ভার্সন ছিল শেষে।

একটি হচ্ছে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়েছি আরেকটি হচ্ছে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়নি। বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়নি আমার খুব প্রিয় ভার্সন ছিল। কিন্তু বিটিভি শেষ পর্যন্ত ঠিক করে যেটায় ফাঁসি হয়েছে ঐটাই প্রচার করার । বিবিসিঃ কাল্পনিক চরিত্র বাকের ভাইয়ের সাথে মানুষের এমন একাত্ততা এনিয়ে আপনি কি ভাবছিলেন? হুমায়ূন আহমেদঃ আমি খুবই অবাক হচ্ছিলাম । কত রকম মানুষের ফাসি হয়ে যায়, মানুষ মারা যায় রাস্তার পাশে, নির্দোষ মানুষকে ফাসিতে ঝুলিয়ে দেয়।

এটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। এটা একটা চরিত্র, একটা কাল্পনিক চরিত্র। তার ফাসি হচ্ছে এটা নিয়ে যে এতো মাতামাতি এটা আমাকে খুব বড় রকমের ধাক্কা দিয়েছিল এই টুকু বলতে পারি । শুধু তাই নয়। মৃত্যুতে শেষ হয়ে যায়নি।

তারপর শুরু হল কুলখানি। আজ অমুক জায়গায় বাকের ভাইয়ের কুলখানি। কাল অমুক জায়গায় বাকের ভাইয়ের কুলখানি। পরশুদিন বাকের ভাইয়ের জন্য মিলাদ মাহফিল। আমি এই রকম বিস্ময়কর ঘটনা ভবিষ্যতে দেখব তা মনে হয় না।

বিবিসিঃ আচ্ছা মিঃ আহমেদ, আপনার কোন কালল্পনিক চরিত্র নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে বহুব্রীহি নাটকের কাজের ছেলে সৈয়দ বংশ হওয়া বা একজন ডাক্তারের চরিত্র বোকা ধরণের হওয়া নিয়ে আপনার পাঠকের রসবোধ নিয়ে কি বিশেষ কিছু মনে হয়? হুমায়ূন আহমেদঃ তখন মনে হয় জাতি হিসাবে আমরা খুব সিরিয়াস। প্রতি দিনের ঘটনায় যে একটা ফানি পাঠ আছে এটা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আমরা সিরিয়াস পাঠের দিকে তাকাই। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের মানুষ তো খুবই রসিক বলে আমি জানি। ওরা এই রসটা ধরতে পারে না কেন এটা নিযে আমি খুব আপসেট হই বলা যেতে পারে।

তবে বেশী পাত্তা দিই না। বিবিসিঃ আচ্ছা , আপনার উপন্যাসের একটা জনপ্রিয় চরিত্র হিমু। এটা কি নিছক কাল্পনিক না এর ভেতর আপনি আপনার পরিচিত কাউকে তুলে ধরেছেন? হুমায়ূন আহমেদঃ না, হিমুতে আমি আসলে পরিচিত কাউকে তুলে ধরিনাই। যে হিমু আমি লিখি ঐ হিমু হওয়া খুবই জটিল ব্যাপার তো বটেই। আমি মানুষের অনেক আশা –ইচ্ছা পূরণের ব্যাপার আছে মানুষ অনেক কিছু করতে চায় কিন্তু করতে পারে না।

মানুষের যে ইচ্ছাপূরণের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো আমি হিমুর মাধ্যমে ঐ ইচ্ছাপূরণের ব্যাপারগুলো ঘটাই। যে কারণেই আমার ধারণা পাঠক এটাকে এতো পছন্দ করে। এরা হতে চায়। এরা করতে চায়। এরা চায় প্রত্যেকেই যে আমার একটা আধ্যাত্বিক ক্ষমতা থাকবে।

মানুষের ভুত-ভবিষ্যত বলে দিতে পারব। সবার ভেতরে এটা একটা গোপণ বাসনা। ওদের গোপন বাসনা আমি পথে ঘাটে হেটে বেড়াবো- কেউ আমাকে কিছু বলবে না। আমাকে চাকরি করতে হবে না। কোন কিছুই করতে হবে না।

আমার জীবন চলবে জীবনের মতো। কোন বাড়ির সামনে গিয়ে যদি দাড়াই ওরা আমাকে খাবার দিবে। এই যে গোপন ইচ্ছেগুলো যেগুলো থাকে সেই ইচ্ছেগুলি আমি পূরণ করি হিমু উপন্যাসে। কাজেই কারো সাথে যে মিল আছে এটা মনে হয় না। বিবিসিঃ আচ্ছা মিঃ আহমেদ, এই হিমু তো পাঠকদের কাছে প্রায় অনুকরণীয় একটা চরিত্র হয়ে দাড়িয়েছে।

এই হিমুকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস সম্পর্কে কোন বিশেষ কোন ঘটনা আছে কি যা আপনাকে নাড়া দিয়েছে? হুমায়ূন আহমেদঃ হ্যাঁ, একটা বলা যেতে পারে। আমি হঠাৎ করে ইয়ে থেকে একটা ম্যাগাজিন পেলাম রাশিয়া এম্বাসী থেকে। ও ই ম্যাগাজিনে দেখি কি ওদের রাশিয়াতে একটা হিমু ক্লাব আছে। ওই হিমু ক্লাবের সদস্যরা সবাই কিন্তু রাশিয়ান; বাংলাদেশী ছেলে-পেলে না। ওরা একটা অনুষ্ঠান করেছে সেই অনুষ্ঠানে সব এম্বাসেডরদের ডেকেছে।

এম্বাসেডরদের হলুদ পোশাক পরতে হবে। তারা জানে এম্বাসেডররা হলুদ পোশাক পরবেন না। কাজেই ঐ ক্লাবের তরফ থেকে প্রতিটি এম্বাসেডরকে একটি করে হলুদ নেকটাই দেয়া হয়েছে। তারা এই হলুদ নেকটাই পরে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এটা শুনে বা বইয়ের লেখাতে পড়ে আমি খুবই একটা ধাক্কার মতো খেয়েছিলাম।

আরেক বার ধাক্কা খেয়েছি জার্মানীতে। জার্মানীতে গিয়েছিলাম আমি ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলায়। সেখানে একটা বাসায় একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে। এক ছেলে এসে আমাকে বলল যে, স্যার, আমি কিন্তু হিমু। হলুদ একটা কোট গায়ে দিয়ে আসছে।

আমি বললাম, তুমি হিমু। হিমুর তো খালি পায়ে থাকার কথা। এই প্রচন্ড ঠান্ডা জার্মানীতে। তোমার কি খালি পা? বলল, স্যার, দেখেন। তাকিয়ে দেখি তার খালি পা।

ওই দিনও আমি ধাক্কার মতো খেয়েছিলাম। বিবিসিঃ বাংলাদেশে সাধারণত দেখা যায়, যারা নতুন লেখালেখি শুরু করে নতুন বই প্রকাশ করতে তাদেরকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়। আপনি যখন প্রথম উপন্যাস লিখেছিলেন তখন সেটা প্রকাশ করতে কি আপনার কি রকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল? হুমায়ূন আহমেদঃ খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে আমাকে তেমন কোন প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমার প্রথম উপন্যাসের নাম “নন্দিত নরকে”। এটি প্রকাশ করতে খুব একটা সমস্যা হয়েছে আমি মনে করি না।

কারণ, আহমদ ছফা বলে এক জন ছিলেন আমাদের দেশের খুবই স্পিরিটেড এক জন মানুষ। তিনি উপন্যাসটি পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন। এই উপন্যাসটি যে কোন কারণেই তার খুব মনে ধরেগিয়েছিল। তিনি জান দিয়ে ফেললেন এটি প্রকাশ করার জন্য। এই উপন্যাসের পান্ডুলিপি বগলে নিয়ে তিনি প্রায় প্রতিটি প্রকাশকের ঘরে ঘরে গেলেন।

আমি তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তো। আমি ব্যাপারটি জানিই না। শুধু ছফা ভাইয়ের সাথে দেখা হয় । ছফা ভাই খবর দেন – আজকে অমুকের কাছে গেছি, কালকে অমুকের কাছে গেছি। এভাবে বলে বলে তিনি এক জন প্রকাশককে মোটামুটি কনভিনসড করে য়েললেন যে উপন্যাসটি প্রকাশ করতে হবে।

কাজেই উপন্যাস প্রকাশিত হয়ে গেল। উপন্যাসটি প্রকাশিত হবার আগে প্রকাশকের সাথে আমার পরিচয়ও হয়নি । আমি লাজুক টাইপের তো । যাইনি। লজ্জা লাগত খুব।

যে দিন প্রকাশিত হল সে দিন গেলাম। গিয়ে কিছু বইপত্র নিয়ে আসলাম ওনার কাছ থেকে। বিবিসিঃ মিঃ হুমায়ূন আহমেদ, সাহিত্যিক হিসাবে গত কয়েক দশক ধরে আপনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তুমুল জনপ্রিয়তা অনেক সময় বিড়ম্বনার কারণ হয় বলে শোনা যায়। আপনার ক্ষেত্রেও কি তাই হয়? হুমায়ূন আহমেদঃ যে অর্থে বিড়ম্বনার কথা বলা হচ্ছে সে অর্থে আমি বিশেষ বিড়ম্বনার ভিতর যে পড়ি তা নয়।

যদি বই মেলাতে যাই তখন পাঠকদের হুড়াহুড়িটা দেখে একটু ইয়ে লাগে- সামান্য ভয় ভয় লাগে। এছাড়া তো আমি নরমালি ঘোরাফেরা করি। আমি দোকানে যাই । বাজারে যাই। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরি।

কোন সমস্যা তো দেখি না আমি। যেটা হয় সাধারণত বই মেলাতেই হয়। বই মেলার বাইরে ধর, এগোরাতে গেলাম বাজার করতে। সেখানে দুই এক জনকে পাওয়া যায় তারা আমার সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চায় । এটা তো খুবই স্বাভাবিক।

এটা তো বিড়ম্বনা ধরার কিছুই না । তাই না? বিবিসিঃ আচ্ছা আপনি লেখালেখি থেকে অবসর নেবার কথা কি কখনো ভেবেছেন? হুমায়ূন আহমেদঃ যখন খুব লেখালেখির চাপ যায় যেমন ধর, বই মেলার সামনে বা ঈদ সংখ্যার সামনে খুবই যখন চাপের ভিতর থাকি তখন দেখা গেল শেষ হয় যে দিন সে দিন মনে হয় এখন থেকে আমি অবসরে । আর লেখালেখির ভিতরে নাই। বাকি সময়টা আরামে থাকব, সিনেমা দেখব, গল্পের বই পড়ব। সে দিন মনে হয় ।

তারপরের দিন মনে হয় । কিন্তু ২য় দিন থেকে আবার মনে হয় আমার যেন কিছুই করার নেই । আমি মারা যাচ্ছি। এক্ষুনি বই/ কিছু একটা লেখা শুরু করতে হবে। লেখা শুরু করি ।

সঙ্গে সঙ্গে একটা স্বস্তি ফিরে আসে। হ্যা, আমি অবসর নিব। আমি ঠিক করেছি অবসর নিব। মৃত্যূর ঘন্টা খানেক আগে অবসর নিব। তার আগে নিব না।

আমি চাই মৃত্যুর ১ ঘন্টা বা ২ ঘন্টা আগে আমি যেন এক লাইন বাংলা গদ্য লিখে যেতে পারি। বিবিসিঃ এটা কি মৃত্যুর সময়? আপনি কি ভাবে বুঝতে পারবেন? হুমায়ূন আহমেদঃ বোঝা যাবে। বোঝা যায় না? অনেকেই তো বলে টের পায় যে আমি মারা যাচ্ছি। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। ওই যে কি শেষ নিঃশ্বাস ফেলার জন্য শারীরিক প্রস্তুতি।

মৃত্যু তো শুধু হার্ট বন্ধ হয়ে যায় তা না। মৃত্যু তো প্রতিটি জীবকোষ – প্রতিটি কোষ মারা যায়। প্রতিটি কোষের মৃত্যু তো একটি ভয়াবহ ব্যাপার। বুঝতে পারার তো কথা। বিবিসিঃ তো আপনি শেষ পর্যন্ত লেখালেখি চালিয়ে যেতে চান? হুমায়ূন আহমেদঃ আমি পারব কিনা আমি জানি না ।

আমার গোপন ইচ্ছা এবং প্রগাঢ় ইচ্ছা হচ্ছে যে মৃত্যুর এক/দেড় ঘন্টা আগে যেন আমি এক লাইন বাংলা গদ্য লিখতে পারি। যেন হা হুতাশ করে না মরি। এই মইরা গেলাম রে, বাঁচাও রে। এই আল্লাহ-খোদাকে ডাকাডাকি করতেছে। এটা না করে আমি প্লেন এন্ড সিম্পল লাস্ট একটা ওয়ান লাইন আমি লিখতে চাই।

এখন তুমি যদি বল কি সেটা – সেটা আমার মাথায় আছে; তোমাকে আমি বলব না। বিবিসিঃ অনেক ধন্যবাদ। আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য । হুমায়ূন আহমেদঃ অর্চি , তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ। তুমি অনেক ভাল থাক এবং মানুষের ইন্টারভিউ নিয়ে ব্যস্ত থাক।

যাও। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.