বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] তুর্কী প্রধাণমন্ত্রী এরদোগান গত ১৯শে আগস্ট দুর্ভিক্ষ কবলিত সোমালিয়ায় পৌছান। ইস্তাম্বুলে ওআইসির সদস্যরাষ্ট্রসমূহের বৈঠকের পর তিনি সোমালিয়া সফরে গেলেন। ওআইসির এই বৈঠকে দুর্ভিক্ষ পীড়িত সোমালিয়াকে ৩৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দেশটির ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় স্বচক্ষে দেখার জন্য এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সোমালিয়ার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্যই তিনি এই সফর করছেন। তার সাথে তার স্ত্রী, তার কন্যা, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও তাদের পরিবার সফর সঙ্গী হয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে তুরস্কের দূতাবাস খুলে দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণের মাঝে ত্রাণ কার্য পরিচালনা করা হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এরদোগান ও তুরস্কের একে পার্টির একজন ভক্ত। তুরস্কে ইসলামের পূণর্জাগরণে একে পার্টির ভূমিকা অপরিসীম।
বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে এরদোগানই সবচেয়ে যোগ্য নেতা। এর আগে ফিলিস্তিন ইস্যুতেও তার ভূমিকা ছিল সোচ্চার। বিগত বিশ বছরের মধ্যে আফ্রিকার বাইরের একজন নেতা হিসেবে তুর্কী প্রধাণমন্ত্রী এরদোগানই প্রথম দেশটি সফর করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বার্তা সংস্থা এএফপি কে তিনি বলেন, এই বিয়োগান্তক ঘটনা সভ্যতা এবং সমসাময়িক মূল্যবোধের জন্য একটি পরীক্ষা। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,একটা ধারণা ছিল যে কেউ মোগাদিসুতে যেতে পারে না, আমরা সেই ধারণা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছি।
আমরা এসেছি - অন্যরাও আসতে পারেন।
শাবাশ একে পার্টি, শাবাশ এরদোগান। তোমরা এগিয়ে চলো, আমি আছি, আমার মত আরো কোটি কোটি মুসলিম আছে তোমাদের সাথে।
তথ্যসূত্রঃ
http://www.bbc.co.uk ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।