আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরদোগান তুমি এগিয়ে চলো, সেক্যুলারিজম ধ্বংস করো

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] আজ সকালে যখন বাংলানিউজ ব্রাউজ করছিলাম তখন একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো, আজব এক দেশে বসবাস করছি। খবরটি হলো, তুরস্কের আন্দোলনে সংহতি ছাত্র ও যুব ইউনিয়নের। তাদের ভাষ্যমতে, তুরস্কের সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তি গড়ে তোলার জন্য আন্দোলনকারীদের উপর দমন-পীড়ন শুরু করেছে।

তাই তারা এই সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাবেশ করছে। এই বাম কুলাঙ্গারদের চোখে আর কোন অন্যায় ধরা দেয়নি। নিজ দেশে এত সমস্যা সেগুলো তাদের চোখ সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। তা তো যাবেই, তাদের দোস্তরা তো এখন গদিতে। আমাদের পূর্বে মায়ানমার নামক দেশে যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মেরে কেটে দেশ ছাড়া করা হচ্ছে সেটাও তারা দেখে না।

আর দেখলেও সেটা নিয়ে কোন সমাবেশ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে না। কেনইবা করবে, মায়ানমার সরকার তো তাদের চাইনিজ কম্যুনিস্ট প্রভুদের দয়া দাক্ষিণ্যে চলে। ওদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করা আর প্রভুর বিরুদ্ধে সমাবেশ করাতো একই কথা! এত বড় পাপ তাদের মত ধোয়া তুলশী পাতাদের পক্ষে শোভা পায় না। প্রিয় পাঠক, এরা সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নয়, এরা ইসলাম বিরোধী। পৃথিবীর কোন প্রান্তে যদি ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত সরকার শক্তি সঞ্চয় করে, ঠিক তখনই এদের দেহ মনে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।

আমি বরাবরই বলে আসছি, এদের থেকে সাবধান। আপনারা যদি তুরস্কের ইতিহাস নিয়ে একটু পড়ালেখা করেন, তাহলে জানতে পারবেন যে, কামালের দ্বারা তুরস্কে যে কট্টর সেক্যুলারিজমের সূত্রপাত হয় তা সময়ের সাথে সাথে তুরস্কে শক্ত ভিত গড়ে তুলে। এ কট্টর সেক্যুলারিজমের ভিত নড়বড়ে হতে শুরু করে যখন এরদোগানের নেতৃত্বে একে পার্টি ক্ষমতায় আসে। গত তিনটি নির্বাচনে একে পার্টি জনগণের বিপুল ভোটে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হয়েছে। এরদোগানের নেতৃত্বে গত এক দশকে তুরস্কে অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

অথচ ঠিক একই সময়ে ইউরোপ জুড়ে চলেছে অর্থনৈতিক মন্দা। গত এক দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তুরস্কের ভূমিকা ঈর্ষণীয়। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত এই ইসলামী শক্তি এখন পূজীবাদী ও বাম, উভয় সাম্রাজবাদীরই চক্ষুশূল। তারা নানা কূটকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। কামালের প্রেতাত্না এখনো তুরস্কের আকাশে বাতাসে ঘুরপাক খাচ্ছে।

এরদোগানের উচিৎ হবে পরিবেশবাদীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা, এ থেকে যেন কেউ ফায়দা নিতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। কিন্ত্ত সেক্যুলারিস্টদের প্রতি কঠোর হতে হবে, এদের কে শক্ত হাতে দমণ করতে হবে, তুরস্ক থেকে সেক্যুলারিজমের ভূত, কামালের প্রেতাত্নাদের তাড়াতেই হবে। তথ্যসূত্রঃ তুরস্কের আন্দোলনে সংহতি ছাত্র ও যুব ইউনিয়নের Is Turkey in turmoil?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।