বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা নিয়ে দেশের মূর্খ জনগন, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিগন বেহুদাই বেশুমার হৈ হট্টেগোল শুরু করেছে। সমস্যার মূলে কেউই আলোকপাত করতে পারে নাই। সেই আলোকপাতের কাজটিই করেছেন আওয়ামিলীগের তরুন এক এমপি, জনাব গোলাম মওলা রনি বৃহস্পতিবারের একুশে টিভির একুশের রাতে অনুষ্ঠানে। এই এমপি ভদ্রলোকটি জনপ্রিয় (কারন টক শোতে প্রায়ই তাকে ডাকা হয়) এবং জনগনের অনুভুতির প্রতি সহানুভুতিশীল বলেই ধারনাছিল। যোগাযোগ মন্ত্রির পক্ষে বলতেগিয়ে তিনি বললেন, এই মন্ত্রি সাহেব নাকি বহুকাল আগে থেকেই 'লেক্সাস' নামক একগাড়িতে চড়ে অভ্যস্ত যা নাকি ৬০০০ সি.সি. সম্বলিত এবং যাতে এমন এক ব্যালেস্স ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় যার ফলে রাস্তা যতই এবড়ো থেবড়ো এবং বন্ধুর হোক না কেন মন্ত্রি সাহেব নাকি তা টেরই পাননা।
অতএব, এমপি সাহেব খুব সস্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন হতচ্ছাড়া জনগন এত হৈচৈ না করে 'লেক্সাস' গাড়ি চড়লেই পারে। তবে তিনি এও বলেছেন মন্ত্রি সাহেবের এহেন বিলাস বহুল জীবন যাপনে ঈর্ষান্বিত হয়ে গুটিকয় সার্থান্বেশি যোগাযোগ ব্যবস্থার এই কাল্পনিক বেহাল দশার গল্প ছড়াচ্ছে। তিনি (এমপি সাহেব) অবশ্য যোগাযোগ মস্ত্রির সমালোচনা করতেও ছাড়েননি (দেখেছেন নিজ দলের হওয়া সত্বেও একজন এমপি হয়ে কিনা মন্ত্রির সমালোচনা করছেন। বুঝলেন একেই বলে গনতন্ত্র) । তিনি বললেন, মন্ত্রি সাহেব 'আব্দুল আওয়াল মিন্টু' লেভেলের একজন মানুষ তবে তিনি একটু বোকা।
তিনি আব্দুল আওয়াল মিন্টুর মেতো সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবি মহলে যোগাযোগ রাখেন না। এখানেই মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রির যোগাযোগের মূল সমস্যা। এর ফলেই যতো বিপত্তি। অন্যথায় দেশের সার্বিক য়োগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে এত হাউকাউ-এর কোনই কারন নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।