আমি একা তুমি একা অথচ দুজন পাশাপাশি মাঝখানে যা তা হলো দাবার দান...... চেক দিও না মন্ত্রি যাবে ভালোবেসো না খেলায় হারবে...... মাননীয় আদালত আমি একটা স্টাটাস দিতে চাই।
ফেইসবুকের কল্যানে সমাজের ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, উদার-নির্দয়, ছাত্র-শিক্ষক সবাই এক একজন স্টাটাসের মালিক। আগে যা শুধু ধনী বা সেইসকল ক্লাস মানুষের জন্য সীমাবদ্দ ছিলো। বলেন সত্য না মিথ্যা। বংশগত ভাবে আমার মায়ের কাছ থেকে চেহারা, রঙ, আর যা পেয়েছি তা হলো তার রোগ গুলো, এর মাঝে প্রেশারের রোগ একটা বিরাট সমস্যা।
যখন যা বলতে চাই তা বলতে না পারলেই আমার প্রেশার বাড়ে। এবং বাড়তে বাড়তে এটা ১৮০ ছুই ছুই করে ফেলে আর আমার মার ২০০(আমি এখনো তার সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারি নি)। সে যাই হোক আমার মায়ের যখন প্রেশার বাড়ে তখনকার নিয়ম অনুযায়ী সে যাই বলবে তাই রাইট। আমরা ঘার নেরে যাবো। ঘাড় না নারালেই তার প্রেশার বাড়ে।
কিংবা তর্ক করতে গেলে। তো বংশ পরস্পরায় যেহেতু তিনি আমাকে সব ই দিয়ে যাচ্ছেন এই গুনটাও দিয়ে দিয়েছেন। আমি যাদের সাথেই থাকি তাদের আগেবাগে বলে দেই রাগ উঠলে যেনো আমাকে বলতে দেয়া হয় না হলে খুনাখুনি হয়ে যাবে আমার। পরে তারাই পস্তাবে । সেই হিসাবে যেসব মানুষের সামনে কিছু বলতে পারি না তাদের উপর রাগ ঝাড়তে আমি ফেইসবুকে এসে লিখে দেই “অমুক তুই গু খা” কিংবা অমুক তোমার পিন্ডি তুমি ছটকাও, মহান ফেইসবুক আমারে বাধা দেয় না্ উলটা অই কথাতে কেউ কোন কথা বললে আমারে নোটিশ করে বলে অই শোনছো এ এই কথা বলে গেলো গো।
এতে আমার প্রেশার অনেকটা কমে যায়। মাননীয় আদালত আমি যা বলতে চাই তা বলতে পারলেই সুস্থ থাকি না বলতে পারলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি এক গাদা ঔষধ নিয়া নাচানাছি করতে হয়। আমার কথা একজন মানুষ হিসাবে আমার একটা ভাষা জ্ঞান আছে, আমার ব্যক্তিগত অধিকার আমারে বলতে দেন। আপনি কি আমার ডায়েরী তেও কয়দিন পরে হাত বসাইবেন? বলবেন, যারা যারা নিয়মিত ডায়েরি লেখেন তারা স্তানীয় থানায় আপনার ডায়েরী জমা দেন এবং ক্লিয়ারেন্স সারটিফিকেট নিয়া বাকী লেখা লিখেন, আপনি সেটা করতেই পারেন সেই হেতু আমি আপনার সামনে আমার ডায়েরী খানা আগেই পেশ করতে চাই আপনি সহি দিয়া দিলে আমি বাকী টুকুন লিখিবো।
যেমন গত কালকের প্রথম আলো পড়ার পরে দেখলাম লিখা আছে আমাদের আবুল সাহেব দাত খিলাইয়া বলেছেন “গত ১০০ বছরে রেল মন্ত্রনালয়ের এমুন উন্নতি সাধিত হয় নাই” আমি তার উত্তরে লিখেছি “হ রেললাইন তো বানাইছেন ই আপনি ।
এইবার যদি একটু সড়ক গুলার দিকে নজর দিতেন ১০০ বছর পরে মানুষ কইতো আপনের কথা্ । হারামজাদা তর লজ্বা শরম নাই”
বলেন মাননীয় আদালত আমি কি খারাপ কথা বলেছি, বললে আমি আপনার সামনে মুখ ধুইয়া তওবা করি্। ।
কিছু ঘেউ ঘেউ করা মানুষ টাইপ কুত্তা দেইখা আমি আমার ডায়েরীতে লিখেছি
“ছোটো কালের মাইনষের বাচ্ছা কুত্তার বাচ্ছা দুইটারেই কিউট লাগে, বড় হইলে কুত্তার বাচ্ছা কুত্তা হয়া যায়। ।
আবার আজিব জিনিষ হইলো কিছু কিছু মাইনষের বাচ্ছাও কুত্তা হয়া যায়........................... কি আজিব ব্যাপার..........” বলেন মাননীয় আদালত ভুল বলেছি?
একের পর এক ঘাড়ি উলটে আর মানুষ মরে দেখে আমি স্টাটাস দেই
“আপনার দাত আছে বলেই আপনি আর দাঁত খিলায়া হাসতে পারেন না, মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী। বিশ্বের সেরা বেহায়া মন্ত্রী হিসাবে আপনার নাম গিনেজ বুকে দেয়ার দাবী রাখী”
মাননীয় আদালত আমার প্রেশার এখন আলহামদুলিল্লাহ কোন প্রকার সমস্যা করে না। আপনে যদি বলেন ঠিক আছে তবে আশা করি আমি সুস্থ থাকিবো, আমারে সুস্থ রাখুন কারন আমি আপনার দেশের একজন ভবিষ্যত (ভবিষ্যতে পোলা মাইয়ার বাপ হমু তারা আপনার পোলা মাইয়ারে ভোট দিবো --বিচারপতির পুত্র কন্যারা ভালো রাজনীতি বুঝে লগের সাঙ্গ পাঙ্গো দেইখা বুঝি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।