বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,অধিকাংশ মানুষ অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যান। কেউ কেউ এ উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ এমনভাবে করেন যে, যার ফলে সৃষ্টি হয় শারীরক সমস্যা। পারিবারিক অশান্তি বৃদ্ধি পায়, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার উত্তেজনাকে চেপে রাখে, এর ফল আরও মারাত্মক হতে পারে। কখনও কখনও নার্ভাস ব্রেক ডাউন বা হার্ট এ্যাটাকর শিকার হতে হয়।
উত্তেজনাকে পালন করতে থাকলে শেষ পরিনতি আত্মহত্যা বা অপমৃত্যু।
উত্তেজনার জম্মদাতা হলো, ক্রোধ, অংহকার, হার্ড পার্সোলালিটি, সন্দেহ, ভয়, ফোবিয়া, টেনশন ইত্যাদি। উত্তেজনা যে কোন বয়সে সৃষ্টি হতে পারে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ এর থেকে রেহাই পায় না। যখন শিশুরা তাদের পছন্দ মতোন খেলনা বা খাবার পায় না তখন তারা উত্তেজিত হয়।
কখনও কখনও জিনিষ পত্র ছুড়ে পেলে, ভেঙ্গে ফেলে, কামড় দিয়ে উত্তেজনা প্রকাশের চেষ্টা করে।
বড়দের ক্ষেত্রেও নিজেরদ পছন্দ মতোন কিছু না হলে, ইগোতে কেউ আঘাত দিলে, রেগে গেলে, কারো প্রতি সন্দেহ দেখা দিলে, ভয়ের জিনিষগুলো সামনে এলে, অভিমান হলে, যে সব জিনিষের প্রতি ফোবিয়া সে সব জিনিষ দেখলে উত্তেজনা জাগে। উত্তেজনা যত বেশি বাড়বে হাইপারটেনশন ততই বাড়বে। হাইব্লাডপ্রেসার, আর্থরাইটিস, অনিদ্রা, মাথাব্যথা, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়াসহ বহু ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আমাদের বেশিরভাগ রোগই মনের।
অর্থাৎ মানসিক। মানসিক রোগকে কন্ট্রোল করতে পারলে শারীরিক রোগ থেকে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মুক্ত থাকা যাবে। এমনিতে চিকিৎসা খরচ এখন ব্যয় বহুল। ওষুধের দাম নাগালের বাইরে। সুস্থ শরীরের অধিকারী হয়েও অযথা উত্তেজনার কারনে, উত্তেজনা প্রশমিত না করার কারনে অহেতুক রোগের শিকার হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে প্রতিবছর ভূল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে কয়েক লাখ মানুষ। আমাদের দেশের কথা আর নাই বললাম। তবে উত্তেজনা চেপে রেখে বেশিরভাগ মহিলা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি। মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার পেছনের কারনও নাকি উত্তেজনা চেপে রাখা। নিজের ভালোটা কিসে হবে তা বুঝতে পারলে অনেক ভালো থাকা যায়।
আমাদের সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমরা বুঝতে পারি না,মন মানসিকতা কিভাবে শরীরের রোগকে বৃদ্ধি করছে। মনকে যেহেতু দেখা যায় না, সেহেতু ক্রিয়া বিক্রিয়া শরীর দিয়ে অনুভুত হয়। মনের শক্তিকে বাড়াতে পারলে সকল ফোবিয়া দুর হয়ে যায়। আর ভয়..এই পৃথিবীতে পাপকে ছাড়া আর কিচুকে ভয় পাবার কোন কারন দেখি না। পাপে পাপ বাড়ায়, তাই পাপ থেকে দুরে থাকার জন্য ব্যারিকেড সৃষ্টি করা দরকার।
উত্তেজনার বাহ্যিক প্রকাশ নয়, সমস্যা কাউকে খুলে বলুন..নইলে ডায়রি লেখুন। মানুষতো সবচেয়ে নিজেকেই ভালোবাসে, তাই যদি হয় তাহলে উত্তেজনাকে জয় করুন,সুস্থ থাকুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।