আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব ব্যাপারটি কি করে এতদিন মানুষের চোখ এড়িয়ে গেলো আমি জানিনা। ইনফ্যাক্ট আমিও আসলে ঠিক ওইভাবে লক্ষ্য করিনি কখনো। ইতিহাস বিকৃতকারী শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামানের মিথ্যাচারের উত্তর দিচ্ছিলাম গতকাল। সেই প্রশ্নের উত্তরে এই ইতিহাস বিকৃতকারী তার ফেসবুকে নানাবিধ কল্পকথা লিখে ভরিয়ে ফেলেছে।
ওয়াহিদের মূল বক্তব্য হচ্ছে গোলাম আজম যে বাংলাদেশে নাগরিকত্ব পেয়েছে এটা আদালতের রায়। যদিও প্রথম দিকে ওয়াহিদ এই নাগরিকত্ব প্রাপ্তির পুরো ব্যাপারটি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো আওয়ামীলীগের উপর। কিন্তু আমি তাকে তথ্য উপাত্ত সহ চেপে ধরি। ব্যাকফুটে এসে ওয়াহিদ আমাকে তার ফেসবুক থেকে ব্লক করে, সেই উত্তর টি পাবেন এখানে-
আজকে ওয়াহিদ আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে। ভোল পালটে ওয়াহিদ বলছে যে গোলামের নাগরিকত্ব দিয়েছে আদালত এবং বলছে পুরো ইস্যু থেকে সরে গিয়ে শেখ সেলিমের প্রসঙ্গ এনেছে এবং আওয়ামীলীগ নাকি জামাতের সাথে আঁতাত করেছিলো পূর্বে সেসব কথাও এনেছে।
আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে গোলামের নাগরিকত্ব মামলা। এটা নিষ্পত্তি করেন আগে। তারপর আমি বসব একটা একটা করে সব ইস্যুতে। মিমাংশা হবে ইতিহাসের। কিন্তু সেটি না করে ওয়াহিদ কেবল পিছলায়।
টিপিকাল জামাতী এপ্রোচ। এই কথা পড়তে পড়তে আপনাদের একটা বিষয় জানিয়ে দেই ১৯৯৬ সালে কি সত্যিই কি আওয়ামীলীগের সাথে জামাতের কোনো সমঝোতা হয়েছিলো কি না। এই বিষয়ে আমি লিখেছি। পাবেন এইখানে
আমার এই লেখাটি পড়বার আগে আপনারা গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার খুঁটি-নাটি এবং সে বিষয়ে জামাতের প্রোপাগান্ডার কথাগুলো দয়া করে এখান থেকে জেনে নিন।
এবার চলুন দেখে নেই ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ডের পর রাজাকারদের বিচার নিয়ে জিয়ার ভূমিকা আসলে কি ছিলো?
১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর বিচারপতি সায়েমের সরকার দালাল আইন বাতিল করে দালালদের বিচার বন্ধ করে দেয়।
সেই দালাল আইন রদের ডকুমেন্টটি দেখুন-
প্রথমেই আপনাদের প্রশ্ন উঠতে পারে, দালাল আইন তো বাতিল করেছে সায়েম। কারন তখন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। জিয়ার ভূমিকা কি? এ কথা সকলেই জানেন যে, ৬-নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সায়েম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও পেছনের মূল ভূমিকায় ছিলো তৎকালীন আর্মি চিফ জিয়া। এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। আমি ইতিহাস থেকে আপনাদের কয়েকটি বিবরণ দিব রেফারেন্স সহ।
জিয়ার অর্থমন্ত্রী শিক্ষাবিদ জনাব এম এন হুদা'র বক্তব্য দেখা যাক তাহলে-
[সূত্রঃ এম এন হুদার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ। ৭-৮-১৯৮৮, কথ্য ইতিহাস, জাতীয় জাদুঘর প্রকল্প]
এবার দেখা যাক খোদ প্রেসিডেন্ট সায়েম কি বক্তব্য দিয়েছেন-
[সূত্রঃ বিচার পতি সায়েমের সাক্ষাৎকার। নিয়েছেন অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ। ৩১ শে মার্চ ১৯৮৭] [সূত্রঃ বাংলাদেশের তিন রাষ্ট্রপতির আত্নকথন। লেখকঃ মোহাম্মদ সেলিম]
এই ডকুমেন্ট গুলোই এই লেখার জন্য যথেষ্ঠ মনে করি সায়েমের উপর জিয়ার একচ্ছত্র প্রভাব ছিলো সেটি বুঝবার জন্য।
এবং খোদ জিয়ার অর্থমন্ত্রী-ই তো যা বলার বলে দিলেন। এবার দালাল আইন বাতিলের যেই ডকুমেন্ট উপরে দিয়েছি সেখানকার ২য় ছবিটির হলুদ মার্কার দিয়ে রঙ করা অংশটি দেখুন। পড়ুন...পড়েছেন?
কি লেখা রয়েছে সেখানে???
সেখানে লেখা রয়েছে যে, এই দালাল আইন ১৯৭২ বাতিল করা হলেও, এই আইনে দন্ডিত, মানে কনভিক্টেড যারা রয়েছেন তাদের দন্ড চলতে থাকবে এবং তারা এই বাতিলের আওতাভুক্ত না। ভালো করে উপরের ছবিটার শেষের হলুদ অংশের দিকে লক্ষ্য করুন। সেখানে বলা হচ্ছে-
৩য় উপ-অনুচ্ছেদের প্রথম অংশ অর্থাৎ 'ক'-তে বলা হয়েছে- যারা দালাল আইনে ইতোমধ্যে দন্ডিত হয়েছে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে আপিল করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই বাতিল অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হবে না।
[2. (3) Nothing in sub-section (2) shall be deemed to affect -
(a) the continuance of any appeal against any conviction or sentence by any Tribunal, Magistrate or Court under the said Order;
এর মানে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে নিহত করবার ঠিক আগ পর্যন্ত, মানে ১৯৭৫ সালের ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত দালাল আইনে ৭৫২ জন ব্যাক্তি দন্ডিত হয়। যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামী ছিলো। জিয়ার এই দালাল আইন বাতিল করবার পরেও কিন্তু সেই ৭৫২ জন কোনোভাবেই উপরের ডকুমেন্টস অনুযায়ী মুক্তি পেতে পারেন না। কিন্তু সেই ৭৫২ জন, মানে ২০ জন ফাঁসির আসামী সহ সবাই জিয়ার আমলেই জেল থেকে কি করে বের হয়ে গেলেন? কোন যাদুবলে?
১৯৫ জনের কথা আগেই বলেছি, এইবার কেউ কি আমাকে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন যে, জিয়া কি করে ৭৫২ জন দেশে আটক কৃত রাজাকার-আলবদরকে ছেড়ে দিলো। কিভাবে?? কোনো যুক্তিতে??
এবার আসা যাক খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গেঃ রাজাকারদের বাঁচাতে খালেদার ভূমিকা আসলে কি? দেখা যাক তার কিছু বিবৃতি আর বক্তব্যের মাধ্যমে।
সূত্র -১ সূত্র-২ সূত্র-৩ ,
সূত্র-৪ ,সূত্রঃ ৫
কিন্তু কথা এখানে না। কথা হচ্ছে আদালতই মূলত তার এই অবস্থানকে আমাদের সামনে তুলে ধরে ১৯৯৪ সালে, গোলাম আজমের নাগরিকত্বের মামলায়।
এখানে একটি কথা জানিয়ে রাখা ভালো যে, গোলাম আজম গ্রেফতার হয়ে জেলে প্রেরিত হয় ১৯৯২ সালের ২৪ শে মার্চ এবং শুরু হয় তার নাগরিকত্বের মামলা। গোলামের এই নাগরিকত্বের মামলা প্রথমে যায় হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে। এখানে দুইজন বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
তাদের প্রথম জন হলেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন সরকার এবং বিচারপতি জনাব বদরুল ইসলাম চৌধুরী। এদের দুইজনের মধ্যে বিচারপতি জনাব ইসমাইল গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ বহাল রাখেন এবং অন্য বিচারপতি জনাব বদরুল গোলামের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেবার পক্ষে রায় দেন ১৯৯৩ সালের ২২ শে এপ্রিল।
রায় যেহেতু দুইজন বিচারপতির রায়ের ভিন্নতা ছিলো সুতরাং এই মামলা নিষ্পত্তি করবার জন্য সেটি চলে যায় হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চে, যেখানে বিচারপতি ছিলেন জনাব আনোয়ারুল হক চৌধুরী। বিচারপতি আনোয়ার, বিচারপতি বদরুলের রায়কে সমর্থন করে গোলামের নাগরিকত্বের পক্ষে রায় দেন এবং এই রায়ের বিপক্ষে আবেদনকারী সরকারী পক্ষ হাইকোর্টের এপিলেট ডিভিশানে যায়। চারজন বিচারপতির সমন্বয়ে গড়া এই বেঞ্চটিতে ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান, এ টি এম আফজাল, মুস্তাফা কামাল, লতিফুর রহমান।
এই চারজন বিচারপতি গোলামের নাগরিকত্বের পক্ষে দেয়া পূর্বতন হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায় (বিচারপতি আনোয়ারের রায়) বহাল রাখেন। এই রায়টি দেয়া হয় ১৯৯৪ সালের জুন মাসের ২২ তারিখে।
এই মামলায় গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব কেন দেয়া হবে না এটির ক্ষেত্রে অনেক যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে আবেদনকারীরা, এইসব যুক্তি তর্কের সাথে সাথে আইনজীবিরা এটাও বলেন যে গোলাম আজম মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে কি কি করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পরেও কিভাবে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, এই নাগরিকত্ব বাতিল করেছে সরকার আবার আদালতেও এসেছে সরকার সম্পূর্ণ ভাবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও জাতীয় সমন্বয় কমিটি এবং সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রবল জনরোষে পড়ে। কিন্তু এই ব্যাপারটি বিচারপতি এটিএম আফজাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা এই রায়ে বলেন, যেই কথা শুনে আসলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়।
এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এ টি এম আফজাল এই রায়ের ৮৮ নাম্বার প্যারায় বলেন-
Frankly speaking, I do not find any basis for this submission because the Government have not made out any case on facts in that behalf in its Affidavit‑in‑opposition. Rather the Government have chosen to make "no comments" on the assertion of the respondent that before formation of Government Begum Khaleda Zia personally met the respondent for the support of his party in forming the Government In other words, there is already a tacit recognition by the Government of the respondent's being a member of the political community of the country.
আপনারাই পড়ে দেখুন কি বলেছেন বিচারপতি আফজাল। এরপর আসলে কথা বলাই অর্থহীন।
খালেদা জিয়া যে রাজনৈতিক ভাবে গোলাম আজম কে পুনর্বাসিত করেছিলো এবং সেই খালেদা জিয়া আবার আইনজীবি দিয়ে নাগরিকত্বের মামলা লড়িয়েছিলো। এবং এই আইনজীবিরাই যখন আবার গোলামের মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ডের কথা আদালতে তুলে ধরেন তখন যে কন্ট্রাডিকশান তৈরী হয় এই কথাই বিচারক তার রায়ে বলেছিলেন। সরকারই যেখানে গোলামকে পুনর্বাসিত করেছে সেখানে নাগরিকত্ব মামলায় গোলাম তো জিতবেই।
সম্পূর্ণ ভাবেই এটি কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট ।
যেখানে খালেদা জিয়া জামায়াতকে সমর্থন করেছে বলে আদালত তার রায়ে বলেছে সেখানে আবার গোলামই হচ্ছে জামাতের আমীর। সুতরাং সরকার কি কোনোভাবে চাইবে গোলাম আজম মামলায় হেরে যাক? এই সহজ ব্যাপারটা না বুঝবার তো কিছুই নেই।
এবং আর একটি ব্যাপার এখানে মনে রাখতে হবে যে, গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিল ও তার যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে আন্দোলোন হয়েছিলো, সেটির বিরোধিতা করে সরকার শহীদ জননী সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রোদ্রোহিতার মামলা পর্যন্ত দিয়েছিলো। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বি এন পি সরকার কি পরিমাণ ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ ছিলো এই যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীর বিরুদ্ধে ও নাগরিকত্ব বাতিলের দাবীর বিরুদ্ধে।
তবে এক্ষেত্রে একটি কথা অবশ্যই বলে রাখা উচিৎ যে তৎকালীন এটর্নী জেনারেল আমিনুল হক সরকারের এই পুরো কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করেছেন এমনকি তিনি এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেয়া হয়েছে শুনে এটর্নী জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগও করেন। উল্লেখ্য যে, যে সাবমিশান দেয়া হয়েছিলো গোলামের নাগরিকত্ব মামলার ক্ষেত্রে সেখানে সবচাইতে বড় জটিলতা ছিলো গোলাম আজমকে দেয়া সর্বশেষ নোটিশের ক্ষেত্রে। যেটি নিয়ে সকল বিচারপতিরাই কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং এই মামলার যেটি ছিলো একটা বড় এডমিনিস্ট্রেটিভ ফ্লস। যেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো যে, কেন ১৮ ই এপ্রিল ১৯৭৩ এর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তার নাগরিকত্ব আবেদন বাতিল করে ডিপোর্ট করা হবে না। এই আদেশের ভেতর কিছু আইনি জটিলতা ছিলো যেটির কারনে মামলা হেরে যাবার সম্ভাবনার কথাও বীর মুক্তিযোদ্ধা এটর্নী জেনারেল জনাব আমিনুল হক বার বার বলেছিলেন বলে জানা যায়।
কিন্তু সরকারের প্রশাষনিক চামচা আর সরকার তোষনকারীদের ভীড়ে এই ব্যাপারে তিনি আর অগ্রসর হতে পারেন নি। আরেকটি কথা পাঠকদের জানিয়ে দেয়া ভালো যে এই এটর্নী জেনারেল আমিনুল হক কিন্তু আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল তাহেরের আইনজীবি ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সরকারী এত চাপে এবং সরকারের পা চাটা ব্যাক্তিবর্গের কারনে তার কাজ করবার ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে যে কারনে তিনি পদত্যাগ করে তার সম্মান সমুন্নত রাখেন।
এ থেকে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, তৎকালীন বি এন পি সরকার তার দলীয় আইনজীবিদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলো যে যাতে করে ভুল সাবমিশন ও ভুল ভাবে গোলাম আজমের মামলা লড়া হয়। যার প্রমাণ আমরা পাই বিচারকদের রায়ে এবং সকল আইনজীবিদের বিভিন্ন যুক্তি তর্কে এবং উপরের উক্ত মন্তব্যের মাধ্যমে এটি রায়ের মাধ্যমেই জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে থাকলো যে, খালেদা জিয়া রাজাকারদের বন্ধু শুধু আজকে থেকে নন আরো কয়েক যুগ আগের থেকেই।
আর সেই বন্ধুত্বের কথা আদালত তার রায়ে ব্যাক্ত করে সারা জীবনের জন্য প্রমাণ রেখে দিয়েছেন।
চলবে- ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।