আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব শুরুর কিছ কথাঃ
ফেসবুকে এ কে এম ওয়াহিদ নামে একজন ব্যাক্তি একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। ওয়াহিদ সাহেবের লেখার সাথে আমার পূর্ব পরিচয় নেই, সুতরাং আমি ঠিক জানতামও না উনার চিন্তা, চেতনা কিংবা আদর্শের সাথে। তবে ঘন্টা খানেক আগে ফেসবুকের কোনো বন্ধুর লাইক কিংবা মন্তব্যের রেশ ধরে ওয়াহিদ সাহেবের লেখাটি আমার নজরে আসে। লেখাটির সাবজেক্ট হচ্ছে, “গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলা” এবং লেখার অবজেক্টিভ হচ্ছে এই ব্যাপারটি-ই দেখানো যে, মূলত আওয়ামীলীগ-ই আসলে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব প্রাপ্তিতে মূল ভূমিকা রেখেছে।
আমি এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের লেখাটির তীব্র প্রতিবাদ করছি কেননা এখানে সঠিক ইতিহাস লেখা হয়নি বরং ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত চতুরতার সাথে অনেক ইতিহাস লেখাও হয়নি যদিও এইসব লেখা এখানে অতি প্রাসঙ্গিক ছিলো। হয়ত একটি স্ট্যাটাসে সব ইতিহাস লেখা সম্ভব হয়ে উঠে না, এটি মানা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে মিথ্যে ইতিহাসও সেখানে থাকা অনৈতিক হয়ে দাঁড়ায় এবং সেক্ষেত্রে লেখকের ভেতরকার ইনটেনশন প্রবল ভাবে ফুটে ওঠে। সবচাইতে আতংকের ব্যাপার হচ্ছে এই লেখাটি প্রায় সাড়ে ৯৩৫ বার শেয়ার হয়েছে।
একটা প্রজন্ম সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যে ইতিহাস জেনে বড় হচ্ছে আর একজন শিক্ষক হয়ে ওয়াহিদ সাহেব সেটির রসদ যোগান দিচ্ছেন, এটি এক দিকে আইনী ভাষায় অপরাধ এবং নৈতিক ভাষায় প্রচন্ড অন্যায়। একজন শিক্ষক হিসেবে যখন একজন মানুষ মিথ্যে ইতিহাস বলেন কিংবা শেখান সেটি আইনী পরিভাষায় “স্ট্রিক্ট লায়াবিলিটির” কাতারে গিয়ে দাঁড়ায়, কেননা এখানে থ্রেশহোল্ড খুব বেশী সংকীর্ণ। একজন শিক্ষক সমাজের একজন আত্না যিনি প্রজন্মকে শেখান। এমন একটি অবস্থানে থেকে যিনি অন্যায় করেন, তখন এর দায় বয়ে বেড়াতে হয় কিন্তু পুরো দেশকেই।
ইতিহাস বিকৃতি করেই ওয়াহিদ সাহেব থেমে যান নি।
বরং তিনি আমার একটি লেখাকে সম্পূর্ন আকারের কপি পেস্ট করে তার পেইজে প্রকাশ করে ফাঁকে ফাঁকে শব্দ চেঞ্জ করে সেটি প্রকাশ করেছেন এবং আমার থেকে অনুমতি দূরের কথা আমার প্রতি সামান্যতম কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন নি। এই ব্যাপারটি উনাকে আমার একজন পাঠক নজরে আনলেও তিনি সেটা আগ্রাহ্য করে খানিকটা তীব্র কন্ঠেই সেই পাঠককে উত্তর দিয়েছেন। যেটি মিথ্যে। এর পর সেই পাঠককে ওয়াহিদ সাহেবের অনুসারীরা ব্যাঙ্গ করলেও ওয়াহিদ সাহেব সেটির উত্তর দেন নি এবং পরবর্তীতে আমি তাকে এই ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করবার পরেও তিনি আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন। অন্যায়ের পর সেটি স্বীকার করাতে মহানুভবতা রয়েছে, বাহাদুরি নেই।
কিন্তু বিষ্ময়ে হতভম্ব হয়ে দেখছি একজন শিক্ষকের এমন নৈতিকতা। কি শেখান তাহলে তিনি? এ কেমন শিক্ষক?
এরপর তার লেখাটির একেবারে শেষে তিনি লিখেছেন-
“মিথ্যা রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরী না করে প্রকৃত ইতিহাসটা সবাইকে জানিয়ে দিন”
এই লাইনটিকে আমার বেশ লাগলো। আমার ইদানীং একটা ছোট ভুরি হয়েছে চোখে পড়বার মত। কিছুক্ষন সেটি দুলিয়ে হাসলাম। এই হাসি বড় হতাশার।
একজন শিক্ষক যখন এই ধরনের কর্মকান্ড করে বেড়ান শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক বিশ্বাসের স্থান থেকে ইচ্ছাকৃত, তখন সেটি আসলে শুধু ওয়াহিদ সাহেবের মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং সেটি একটি দেশের মেরুদন্ডে আঘাত। কেননা শৈশব থেকেই জেনে এসেছি যে, একজন শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষক তৈরী করে আগামীর প্রজন্ম। সত্য ইতিহাস ও সঠিক ইতিহাস দিয়ে। তবে কি শৈশবের সেইসব জানা আজ বদলে যাচ্ছে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারেন না বলেই? বড় দুঃখ লাগে।
যা লিখেছিলেন ওয়াহিদ সাহেবঃ
ওয়াহিদ সাহেবের লেখাটির স্ক্রীন শট আমার এই লেখাটির স্বার্থে সম্পূর্ণ তুলে দেয়া হোলো। তার লেখাটি যদি কেউ বানিজ্যিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করতে চান, কপি কিংবা যে কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ করতে চান ব্যাবসায়ীক উদ্দেশ্যে তবে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
এ লেখার বিরুদ্ধে আমার বক্তব্যঃ বলতে গেলে ওয়াহিদের লেখার সব পয়েন্টেই ইতিহাসের বিকৃতি রয়েছে। আমি কথা না বাড়িয়ে সেসব বিকৃতির রিবাটাল কিংবা প্রতিত্তরের দিকে চলে যাই।
ওয়াহিদের ১ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
ওয়াহিদের প্রথম পয়েন্টে যে ২৮ শে এপ্রিলের কথা বলা রয়েছে এটি সঠিক নয়।
তারিখটি হবে ১৮ শে এপ্রিল। আর সে সময় গোলাম পাকিস্তানে ছিলো। লন্ডনে নয়। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারী যে দালাল আইনটি বাংলাদেশে পাশ হয় এবং এই আইনটির মাধ্যমে যেসব দালালদের গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছিলো তার ১১ নাম্বারেই ছিলো গোলাম আজমের নাম। এই নোটিশ অনুযায়ী ২২ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ পর্যন্ত যারা দালাল আইনের ট্রাইবুনালে হাজির হতে ব্যার্থ হয়েছিলো তাদেরকে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ নাগরিকত্ব্ব আদেশের ৩ ধারা অনুযায়ী ১৯৭৩ সালের ১৮ই এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৩৯ জনের নাগরিকত্ব্ব বাতিল করে দেয়া হয়।
এদের মধ্যে অন্যতম ছিলো গোলাম আজম। এর মানে দাঁড়াচ্ছে বিচারের ভয়ে গোলাম পালিয়ে ছিলো পাকিস্তানে।
ওয়াহিদের ২ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
১৯৭৬, ৭৭ এবং ৭৮ গোলাম আজম তিনবার নাগরিকত্বের আবেদন করে কিনা এটি ওয়াহিদ যেভাবে লিখেছে সেটির পক্ষে কোনো রেফারেন্স নেই। উপরন্তু ১৯৭৮ সালে একবার ভিসা পেয়ে ঐ বছরেই দেখা যায় আরো দুইবার ভিসার আবেদন করে গোলাম। এই ১৯৭৮ সালের আগে গোলাম কতবার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছে এটা খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশ ভার্সেস গোলাম আজম মামলায় [link|http://juddaporadh1971.blogspot.co.uk/2011/12/blog-post_4520.html|[1994, 23 CLC (AD),Supreme Court Appellate Division, (Civil)]] লেখা রয়েছে “সেভারেল” টাইম।
সুতরাং এইভাবে তিনবার সুনির্দিষ্ট করে বলাটাও সঠিক তথ্য দেয়া নয়। ইনফ্যাক্ট মিথ্যা তথ্য। এখানেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে ওয়াহিদ।
ওই একই রায় থেকে জানা যায় যে, সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া ১৯৭৬ সালের ১৭ জানুয়ারীতে নাগরিকত্ব ফেরত দেবার একটি প্রেসনোট জারি করে যার সুযোগ নিতে চায় গোলাম আজম। এই প্রেসনোটের সুযোগ নিয়ে গোলাম আজম ২০ শে মে ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নাগরিকত্বের জন্য কয়েকটি আবেদন করে এবং তা প্রত্যাখাত হয়।
১৯৭৮ সালের মার্চে তার আরেকটি নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল হয় কিন্তু গোলাম আজম বাংলাদেশে আসবার ভিসা পায় ১৯৭৮ সালে ১১ জুলাই অসুস্থ মাকে দেখতে আসবার কথা বলে, যদিও সেটি সাময়িক ভাবে ৩ মাসের ভিসা দেয়ার মাধ্যমে। ওই একই বছর তার ভিসা দুইবার রিনিউ করা হয়। ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে গোলাম তার নাগরিকত্ব্ব দেয়ার জন্য পুনরায় আবেদন করে এবং পাকিস্তানী পাসপোর্ট সারেন্ডার করে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
ওয়াহিদের ৩ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
ওয়াহিদ বলেছে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ প্রধান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে সমর্থনের জন্য গোলাম আযমের ধর্না দিলে গোলাম আযম বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করার উৎসাহ পান এবং ১৯৯২ সালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হন।
ওয়াহিদের এই তথ্যটা মিথ্যে।
প্রথমত বলতে হয় ওয়াহিদের শুরুতেই তথ্যে বিভ্রাট বরাবরের মতন। গোলাম জামাতের আমীর হয় ১৯৯১ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর। এবার আসুন বিচারপতি বদরুলের জবানিতেই আমরা জেনে নেই ঘটনা-
কলামিস্ট ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বিচারপতি বদরুল হায়দার বিষয়েও দৈনিক ইত্তেফাকে গত ১৬ই জানুয়ারী ২০১১ সালে একটি লেখা লিখেন। তিনি সেখানে এই আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর গোলাম আজমের বাসায় ধর্না সংক্রান্ত পুরো ব্যাপারটিকেই মানুষের সামনে নিয়ে এসে একটি ধোঁয়াশা মিথ থেকে আমাদের মুক্তি দেন। তিনি সেখানে লিখেন যে-
“বিচারপতিকে তার জয় কামনা করে একটা ছোট্ট চিঠি লিখেছিলাম এবং জানতে চেয়েছিলাম, সংসদের বিরোধী দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন কিনা? তিনি কয়েকদিন পরেই আমার চিঠির উত্তরে জানালেন, তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাননি এবং পাননি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী লন্ডনে এসেছিলেন। এসেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সেন্ট্রাল লন্ডনে বেকার স্ট্রিটের কাছে 'রাজদূত রেস্টুরেন্টে' আমাদের সাক্ষাৎকার ঘটে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এবং রাজদূত রেস্টুরেন্টের মালিক আতাউর রহমান খান। বিচারপতির কাছে আমার প্রথম প্রশ্নই ছিলো, বদরুল ভাই, আপনি গোলাম আজমের মতো লোকের কাছে ভোটের জন্য ধর্না দিলেন কিভাবে?
তিনি আমার প্রশ্ন শুনে গভীরভাবে লজ্জিত হয়েছিলেন।
বলেছিলেন, "সংসদে জামায়াতের বেশ কয়েকজন সদস্য আছেন। তাদের ভোটটা বিএনপি’র প্রার্থীর কাছ থেকে ভাগ করতে পারলে হয়তো জয়ী হয়ে যাব বলে ভেবেছিলাম। " আমি তাকে বলেছি, আপনি জামায়াতের ভোটে জয়ী হলে সেটা কি গৌরবের জয় হতো ? না কি পরাজিত হলে সেটা গৌরবের পরাজয় হতো? তিনি বলেছেন, "তুমি ঠিকই বলেছো, জামায়াতের ভোটে জয়ী হলে সেটা আমার জন্য গৌরবের জয় হতো না। আমি শুধু ভুল সিদ্ধান্ত নয়, গর্হিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। "
এতেই প্রমাণিত হয় যে, বিচারপতি বদরুল নিজ ইচ্ছায় জামাতের কাছে ভোট চেয়েছে।
এখানে কোনোভাবেই আওয়ামীলীগ সভানেত্রী হাসিনা গোলামের কাছে ধর্না দেয়নি এবং তিনি এই ব্যাপারে দায়ীও নন। এই ব্যাপারটি যে সত্য তা আমি নীচের কয়েকটি ঘটনা দিয়ে এখন যৌক্তিক ভাবে প্রমাণ করব। এই বিষয়ে পুরো ব্যাপারটা আরো একটু জানি আসুন-
১৯৯১ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর গোলাম জামায়াতের আমীর নিযুক্ত হয়। এই আমীর হওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ জাতীয় সংসদেই তাদের ক্ষোভের কথা জানায়ে। ২ জানুয়ারী ১৯৯২ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরী সভায় গোলাম আজমকে জামাতের আমীর করবার ব্যাপারে সরকারী ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
১১ ও ১২-ই জানুয়ারী ১৯৯২ এই নিয়ে সংসদে তুমুল বিতর্ক হয়। [রেফারেন্সঃ ১, বিচিত্রা। বর্ষপত্র ১৯৯৩]
আবার অন্যদিকে সে সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের প্রগতিশীল মানুষ। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ২০ জানুয়ারী ১৯৯২ সালে ১০১ সদস্যের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। [রেফারেন্সঃ১, বিচিত্রা।
বর্ষপত্র ১৯৯৩]
১৯৯২ সালের ২৬ শে মার্চ যেদিন গণ আদালতে বিচার হয়, সেদিনো আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বলেন- “জনতার রুদ্ররোষ থেকে বাঁচার জন্যই সরকার গোলাম আজমকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে। [রেফারেন্সঃ আজকের কাগজ, ২৬ শে মার্চ, ১৯৯২]
আওয়ামীলীগ থেকেই যদি ফর্মাল প্রতিবাদ এবং এই ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনার মাধ্যমে বলা হয় তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোলামের কাছে ধর্না দিয়েছে কথাটা মিথ্যে প্রমাণিত হয়। ঠিক নয় কি? আসুন আমরা এও জেনে নেই যে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে গোলাম আজম কে নিয়ে কি ভাষন দিয়েছিলো জাতীয় সংসদে। ১৯৯২ সালের ১৬ –ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এই ভাষনটিই দিয়েছিলো শেখ হাসিনা । (আমি শেখ হাসিনার বক্তব্যের কিছু অংশ দিলাম।
পুরোটি আমি ছবি আকারে তুলে দিব পরে)
“গোলাম আযম ও সহযোগীদের বিচার করতে হবে
এই মহান সংসদের সে অধিকার রয়েছে। জাতি সেই অধিকার দিয়েছে। এই সংসদ সার্বভৌম সংসদ। সেই লক্ষ্যে- একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণ, যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সাধন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের সাথে জড়িত থেকে বাংলাদেশের বিরোধিতা, বিদেশী নাগরিক হওয়া স্বত্বেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে বেআইনী রাজনৈতিক তৎপরতায় লিপ্ত পাকিস্তানী নাগরিক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ জনগণের যে মতামত প্রতিফলিত হয়েছে তাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আন্তর্জাতিক ক্রাইম অ্যাক্ট ১৯৭৩ (Act XIX of 1973) অনুসারে ট্রাইবুনাল গঠন করে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ বিচারের জন্য আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি আপনার মাধ্যমে এই সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মামলা দায়ের ও বিচারের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব রাখছি।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদে জনগনের এই মতামত প্রতিফলনকারী গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে জারীকৃত অসম্মাণজনক মামলা দায়ের করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমি আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
..... আমি আশা করি, আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে না থেকে শত শহীদের আত্মার প্রতি সম্মাণ জানিয়ে শত লাঞ্ছিত মা বোনের ইজ্জতের প্রতি সম্মাণ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্যকে প্রতিষ্ঠিত রেখে একটা নরঘাতক গোলাম আযমের বিচারের প্রশ্নে আর কোনো দ্বিমত কেউ রাখবেন না। এই আশা পোষন করে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ” [জাতীয় সংসদের ধারা বিবরণী, এপ্রিল, ১৯৯২
১৯৯২ সালের ১লা জুলাই থেকে টানা ১০ দিন আওয়ামীলীগ সংসদ বর্জন করে গোলামের বিচার চেয়ে। এইক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দাবী ছিলো ৪ টা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো গোলাম আজমের বিচার করতে হবে, জাহানারা ইমামসহ বিশিষ্ট ২৪ নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা উঠিয়ে নিতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, ১৯৯১ সালে গোলাম আযমকে দলের প্রধান হিসেবে রাজনীতি করতে দেয়ার শর্তে বিএনপিকে সমর্থন দেয় জামায়াত এমন একটি কথাই মূলত সে সময়কার রাজনীতিতে প্রবল ভাবে চারিদিকে শোনা যেতে থাকে। সেটির প্রমাণ শুধু আমরা ১৯৯১ সালেই নয় আমরা ১৯৭৬ থেকেই পাই।
১৯৭৬ সালে জিয়ার প্রচ্ছন্ন কলকাঠিতেই বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তিত হয়ে দেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করবার সুযোগ তৈরী হয়। মূলত জামায়াত ইস্লামীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তখন থেকেই ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিতে থাকে গোপনে ।
এটি ছাড়াও ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাইতে ১ম সংশোধনীর ৪৭ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে ৩৫ ও ৪৪ ধারাতে বর্ণিত যুদ্ধাপরাধীদের মৌলিক অধিকার ভোগের অনধিকারকে বাতিল করে অধিকারে পরিবর্তন করা হয় । ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দালালদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবার কোনো উপায় ছিলো না, কিন্তু তার পরিবর্তন ঘটিয়ে দালাদের ভোটাধিকার তথা সব নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয় তরিত গতিতেই । ১৯৭৯ সালের ৫ ই ইপ্রিল সংসদে ৫ম শংশোধনীর নামে রাজাকার আল বদর এবং বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্বার্থে এতোদিনের সকল বাতিল অধ্যাদেশ গুলোকে আইনে প্রণীত করা ।
এটি ছাড়াও আরো কয়েকটি যৌক্তিক প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে যাতে করে প্রমাণিত হয় যে বি এন পি-ই আসলে গোলামকে জামাতের আমীর করে তাদের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিলো। লক্ষ্য করে দেখুন
প্রমাণ নাম্বার-১
১৯৯১ সালে বি এন পি জামাতের জন্য দুইটা মহিলা আসনের সিট ছেড়ে দেয়।
প্রমাণ নাম্বার-২
গোলাম আজমের বিরুদ্ধে গন আদালত করেছে বলে বি এন পি সরকার জাহানারা ইমাম সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়। জাহানারা ইমামকে রাস্তায় নির্যাতন করে পুলিশ দিয়ে।
প্রমাণ নাম্বার-৩
১৬-ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে পূর্ত মন্ত্রী ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার অনেক বই নিয়ে সংসদে ঢোকেন। বক্তৃতা দেবার সময় তিনি সংসদেই প্রমাণ করে দেবার চেষ্টা করে যে গোলাম আজম একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী নয় এবং তার কাঁধে সুপরিয়ার রেসপন্সিবিলিটির দায় বর্তায় না। একইভাবে তথ্য মন্ত্রী নাজমুল হুদা জমিরুদ্দিনের এই কথা সমর্থন করে আদালতের মত দীর্ঘ সাবমিশান দিতে থাকে।
[রেফারেন্সঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ১৯৯০-৯৯, মোহাম্মদ হান্নান,মাওলা ব্রাদার্স]
প্রমাণ নাম্বার-৪
১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামের আমির ঘোষণা করা হয়। গোলাম আজম জামাতের আমীর নির্বাচিত হয় অবৈধ ভাবে। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকেরাই এই দেশে সংঘ গঠন কিংবা সমিতি করার অধিকার রাখে [যুক্তি সংগত বাঁধা নিষেধ সাপেক্ষে]
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে গোলাম আজম ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলোনা। তখনও গোলাম বাংলাদেশে অবৈধ। সুতরাং গোলামের এই অবৈধ কাজের পর, তথা সংবিধান ভঙ্গের সামিল।
সংবিধানের ৭ক(১)(খ) ধারা অনুযায়ী গোলাম আজমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এই অপরাধের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা না করবার কারন কি? উলটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হোলো জাহানারা ইমাম সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে? কিভাবে সম্ভব? সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকলেই আইনের দৃষ্টিতে সমান। তাহলে কয়টি অনুচ্ছেদ এখানে সরকার ভঙ্গ করলো?
ওয়াহিদের ৪ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
এই পয়েন্টে যা বলা দরকার উপরে তা কাভার করেছি। তারপরেও কিছু কথা বলি। এই নিয়ে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আন্দোলোনে ফেটে পড়ে এবং সরকার ১৯৯২ সালের ২৩শে মার্চ গোলামকে শো-কজ নোটিস পাঠায় গোলামকে এটি জানিয়ে যে, কেন ১৮ ই এপ্রিল ১৯৭৩ এর গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী গোলামকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া হবে না। এই শো-কজের পর পরই ২৪ শে মার্চ ১৯৯২ সালে প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বি এন পি গোলামকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।
এবং তার পর-পরই দাবী ওঠে গোলাম আজমের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে গঠিত হয় গোলাম আজমের বিরুদ্ধে গণআদালত যেখানে গোলাম আজমের ফাঁসির আদেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে এই গণ আদালত গঠন করার প্রতিশোধ হিসেবে বি এন পি সরকার জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেয় যা ইতিহাসে অন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে আজও বিবেচিত হয়।
লক্ষ্য করে দেখুন যে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আন্দোলনের আগ পর্যন্ত বি এন পি কোনো ব্যাবস্থাই নেয়নি গোলামের বিরুদ্ধে। উলটো জাতীয় সংসদে সিট ছেড়ে দেয়া, জমিরুদ্দিন, নাজমুল হুদার দালালির কথা তো জানলেনই উপরে। সেই সাথে আছে জাহানারা ইমাম সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।
বি এন পি কোনো উপায় অন্তর না দেখে গোলামকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়।
ওয়াহিদের ৫ পয়েন্টের রিবাটাল এর আপাতত দরকার দেখিনা
ওয়াহিদের ৬ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
৬ নাম্বার পয়েন্টের মধ্যে একটি যায়গায় ওয়াহিদ বলেছে যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গোলাম আযম সম্পর্কে যে সকল তথ্য বর্তমানে ব্লগে বা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়, তার প্রায় সবকিছুই সেই সময়ের এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের গবেষনা, সংগ্রহ ও গ্রন্থনার অবদান। এটাও একটা দূর্দান্ত মিথ্যাচার। কোনো সন্দেহ নেই এটর্নী আমিনুল হক গোলামের মামলার সময় গোলাম সম্পর্কে রিসার্চ করেছেন। কিন্তু ওয়াহিদ ভুলে গেছে যে তারই আগে ১৯৯২ সালের ২৬ শে মার্চ গণ আদালতে গোলামের বিচার হয়েছে জনতার মাধ্যমে।
সে বিচারের সময়ই গোলাম সম্পর্কে প্রচুর রিসার্চ করা হয়।
গণ আদালতের ডিটেইল যারা যারা দেখতে ও জানতে চান তারা এখানে ক্লিক করে যেনে নিন ।
ওয়াহিদের ৭ নাম্বার পয়েন্টের রিবাটালঃ
এই পয়েন্টে এসে ওয়াহিদ মোটামুটি রাতকে দিন করে ফেলেছে। এই রিট পিটিশানের প্রসেডিংসে ওয়াহিদ কি করে যেন বিচারপতী শাহাবুদ্দিন এবং বিচারপতি মুনীররেজা চৌধুরীকে নিয়ে এসেছে। দিন দুপুরে এক ভয়াবহ মিথ্যাচার।
সম্পুর্ণভাবে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ওয়াহিদ বিভ্রান্ত করেছে এই দেশের তরুন সমাজকে এবং বিকৃত করেছে ইতিহাস। আসুন যেনে নেই কে কে ছিলো এই পুরো প্রসিডিংসের বিভিন্ন স্টেজে।
গোলামের এই নাগরিকত্বের রিট পিটিশান প্রথমে যায় হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে। এখানে দুইজন বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রথম জন হলেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন সরকার এবং বিচারপতি জনাব বদরুল ইসলাম চৌধুরী।
এদের দুইজনের মধ্যে বিচারপতি জনাব ইসমাইল গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ বহাল রাখেন এবং অন্য বিচারপতি জনাব বদরুল গোলামের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেবার পক্ষে রায় দেন ১৯৯২ সালের ১২ ই অগাস্ট।
রায়ে যেহেতু দুইজন বিচারপতির রায়ের ভিন্নতা ছিলো সুতরাং এই মামলা নিষ্পত্তি করবার জন্য সেটি চলে যায় হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চে, যেখানে বিচারপতি ছিলেন জনাব আনোয়ারুল হক চৌধুরী। বিচারপতি আনোয়ার, বিচারপতি বদরুলের রায়কে সমর্থন করে গোলামের নাগরিকত্বের পক্ষে রায় দেন ১৯৯৩ সালের সালের ২২ শে এপ্রিল এবং এই রায়ের বিপক্ষে আবেদনকারী সরকারী পক্ষ হাইকোর্টের এপিলেট ডিভিশানে যায়। চারজন বিচারপতির সমন্বয়ে গড়া এই বেঞ্চটিতে ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান, এ টি এম আফজাল, মুস্তাফা কামাল, লতিফুর রহমান। এই চারজন বিচারপতি গোলামের নাগরিকত্বের পক্ষে দেয়া পূর্বতন হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায় (বিচারপতি আনোয়ারের রায়) বহাল রাখেন।
এই রায়টি দেয়া হয় ১৯৯৪ সালের জুন মাসের ২২ তারিখে।
এটি ছাড়াও ওয়াহিদ আরো কিছ অনৈতিক কাজ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৭১ এর ঘাতক নুলা মুসাকে নিয়ে একটি লেখা আমি আমার ফেসবুকে লিখি। এই লেখাটি ওয়াহিদ আমার অনুমতি না নিয়ে তার ফেসবুকের পেইজে প্রকাশ করে। এটি হয়ত বা ওভারলুক করা যায় কিন্তু আমার একজন পাঠক তাকে এই ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলায় তিনি বেশ রাগত প্রক্রিয়ায় সেই পাঠককে জবাব দেন এবং এক পর্যায়ে আরো কিছু পাঠক সেই প্রশ্নকারীকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে।
আমার একজন পাঠক কে এভাবে অন্যায়ভাবে অপমান কিংবা অপদস্থ করাটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই নৈতিক ভাবে আমি মানতে পারিনি। তাই আমিও ওয়াহিদ সাহেবের কাছে জানতে চাই কেন তিনি এমন করেছেন। উত্তরে তিনি আমাকে বলেন আমি যাতে তাকে দেখাই কোথায় তিনি আমার লেখা হুবুহু ছাপিয়ে দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হোলো আমার লেখা পুরোটাই তিনি তুলে দিয়ে মাঝে মধ্যে কয়েকটি শব্দ ব্র্যাকেট দিয়ে তার ইচ্ছেমত লাগিয়ে দিয়ে আমার বলা “হুবুহু” শব্দ দিয়ে তিনি শব্দের মার প্যাঁচ খেলা শুরু করেছেন নিজের অন্যায় ঢাকবার জন্য।
এসব সব আলোচনার প্রেক্ষিতে একটা কথাই বলা যায় আসলে যে ওয়াহিদ সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবেই খুব সম্ভবত ইতিহাস বিকৃত করতে নেমেছেন।
হতে পারে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি সমর্থন করেন না বা ভালোবাসেন না। হতে পারে তিনি বি এন পি ঘরানার আদর্শে বিশ্বাসী। কোনো রাজনৈতিক আদর্শ অপছন্দ করবার মানে এই নয় যে আপনি দেশের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করবেন। একজন শিক্ষক হয়ে অনলাইনে মিথ্যাচার করা রীতিমত অপরাধ। আপনার কাছে তাহলে শিক্ষার্থীরা শিখবে কি? মিথ্যা বলা? ইতিহাস বিকৃতি?
আমি আশা করব এই লেখার পর ওয়াহিদ সাহেব জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং ভবিষ্যতে ইতিহাস বিকৃতি করবেন না বলে সকলকে প্রতিশ্রুতি দিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।