হা হা হা
হাসি দিয়েই শুরু করলাম। আজকাল টেলিভিশন দেখে দেখে কিছু ডায়লগ মুখস্ত হয়ে গেছে। শিরোনামে তার দুই লাইন তুইলা দিছি।
চিন্তা করেন আমরা আমজনতা নাকি সকল শক্তির উৎস!!
সত্যিই তো !!! আমরা তো সকল শক্তির উৎস !! ??
আর আমরা এই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মহানন্দে প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর ঈদের আনন্দের মতো হেলে খেলে দুলে প্রাণ প্রিয় নেতাকে ভোট দিয়ে শক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ দেই। কতো শক্তিমান আমরা !!
আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতারা সংসদে যান আর মনের আনন্দে গালিগালাজ পারেন।
কি মহতী কাজ !!
আর বিরোধীদল ক্ষমতা হারিয়ে দুঃখে কষ্টে বারবার মূর্ছা যান
ক্ষমতা পেয়ে আবার হারানো যে কতো কষ্টের আমাদের দুই লীলাবতীর চেয়ে ভালো কে বুঝে।
যাই হোক। আবার হরতালের চাঁদ সর্বদিকে ভেসে উঠেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে এই অবস্থা দীর্ঘ ১ বছর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে!!
আর দুঃখের বিষয় হল এইবারো আমজনতা তাদের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারেনি। দুই দলই তাদের টানা হিঁচড়া করতে করতে মুমূর্ষু করে ফেলেছে।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ লাগে আর প্রাণ যায় প্রজার। আমরা যুদ্ধে মারা গেলেও বিপদ বেঁচে থাকলেও বিপদ। উভয়সঙ্কট
আমরা ডাবল ট্রিপল টাকা খরচ করে গন্তব্যস্থলে যাই তাও নাকি আমরা হরতাল সমর্থনে রাস্তায় নেমে এসেছি। কতো টাকা আমাদের !!! মনের খুশিতে হরতাল সমর্থনে প্রচুর টাকা খরচ করি !!
শেষমেশ একটা পরিচিত কৌতুক দিয়ে শেষ করি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেশের শান্তি নিয়ে চিন্তিত।
তাই স্রষ্টার কাছে গেলেন জানতে কবে তাদের দেশে শান্তি আসবে।
প্রথমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন করলেন, হে ঈশ্বর আমার দেশে কবে শান্তি আসবে? ঈশ্বর বললেন, ৫০ বছর পর তোমার দেশে শান্তি আসবে। এই শুনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতাশ হয়ে বললেন, এতদিন কি বাঁচব?
এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন করলেন,হে ঈশ্বর আমার দেশে কবে শান্তি আসবে? ঈশ্বর বললেন, ১০০ বছর পর তোমার দেশে শান্তি আসবে। এই শুনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতাশ হয়ে বললেন, এতদিন কি বাঁচব?
এবারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন,হে ঈশ্বর আমার দেশে কবে শান্তি আসবে? এই শুনে ঈশ্বর উত্তর না দিয়ে নিজেই কাঁদতে লাগলেন??
আমাদের দেশে আসলেই কবে শান্তি আসবে ??? কবে কবে কবে ?? !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।