আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি জনগণ বলছি 01

পচা কথা বলি। আবালেরা অফ যাও।

আমার নাম জনগণ। কাশ, আমার গুহ্যদ্্বার দুইটা থাকতো। না, মলত্যাগের জন্য নয়।

ঐ কাজে আমার একটি গুহ্যদ্্বারই বরং অতিরিক্ত মনে হয়। পেটে ভাত নাই, হাগনবিলাস কি পোষায় আমার। ক্কচিৎ ক্কচিৎ চকিত তড়িৎ গতিতে ঐ কাজ সেরে ফেলি। একটা অতিরিক্ত গুহ্যদ্্বারের জন্য আমার হাহাকার বহুদিনের। আপনারা তো আবার অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকায় থাকেন, নাহলে আমার কষ্ট বুঝতেন।

একেবারে সেন যুগ থেকে হোগামারার উপরে আছি ভাই। এই যাহ, বাজে কথা বলে ফেললাম। একটা সাধু বাংলা বের করি ঐটার ... গুহ্যিকা ... কেমন শোনায়? যা বলছিলাম, যুগে যুগে বহু শাসক এসে আমাকে গুহ্যিকা দিয়েছে উপযর্ুপরি। মাঝে মাঝে যে ফোঁস করে উঠি নাই তা না, তবে বিষ না থাকলে ঐ চক্করই ভরসা। যা-ই হোক, পেছনের দিকে না তাকাই, কী আর বলবো ভাই, নিজের পেছনের দিকে তাকালেই কানতে ইচ্ছা করে।

কান্দন আহে কান্দন। এখন আপনারা বলবেন, এতো আগে থেকে গুহ্যিকা খেয়ে আসতেছি, অতোদিনেও কেন অভ্যাস হয় নাই। ভাই রে, গুহ্যিকার আকার আয়তন আইক্কা-কোএফিশিয়েণ্ট সবই বাড়ে দিনকে দিন। আগে গুহ্যিকা খেয়েও সামলায় নিতে পারতাম, ইদানীং কষ্ট হয় সাংঘাতিক। আমার রেক্টাম তো আর গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড না যে শতাব্দীর পর শতাব্দী খালি আসবেন যাবেন।

আর কতো? আরো একটা গুহ্যদ্্বার আমার লাগবে। কর্ণফুলি নদীর উপর এতোগুলি ব্রিজ তা-ও চট্টলাবাসী আরেকটার জন্য কান্দে, আর আমি জনগণ আমার সহস্রাব্দ পুরানা গুহ্যদ্্বার দিয়া আর কতো গুহ্যিকা খামু? স্বৈরাচারী গুহ্যিকার ভার সামলাইতে না সামলাইতেই গণতন্ত্রী গুহ্যিকার ধার আমারে ছারখার করে ফেলছে। উনারা খালি দ্যান আর হাসেন। বলেন, ব্ল্যাক হোল তো, যা দিমু সব হজ্জম কইরা ফ্যালো। আর আমরা দিলেই চিল্লাও ক্যান, আমাগো আগে যারা আছিলো তারা কি জাম্বাক মাখাইছে নাকি তোমারে? তারাও তো গুহ্যিকার উপরেই রাখছিলো।

অরা দিলে লীলা আর আমরা দিলেই বিলা, না? ঐসব চলবো না। দ্যাশে এখন গণতন্ত্র। যা দেই খাইয়া ফেলবা। কান্দন আহে কান্দন। আমার নাম ভাঙ্গায়া কিন্তু ব্যাবাকতে ফয়দা লুইটা লইতাছে।

হাতে গুহ্যিকা লইয়া এক একজন হাসতে হাসতে কয়, জনগণ আমাগো চায়। ভয় নাই জনগণ, এই যে আমরা আসতেছি। উন্নয়ন হবে তোমাগো। আমি সিঙ্গল গুহ্যদ্্বার নিয়া পইড়া পইড়া কোঁকাই আর শুনি। তারপর আবার গুহ্যিকা খাই।

অ্যামনেই চলতে আছে। আর কতো? আমার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডরে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন না বানাইয়া কি অরা থামবো না? আবার শুনলাম থাইল্যান্ডে জলপাইরঙের গুহ্যিকা নাইমা পড়ছে রাস্তায়। শুইনা আমিও ডরাইছি। তাই কই ভাইছাব, একটা এক্সট্রা গুহ্যদ্্বার লাগবো আমার। এই একাকী নিঃসঙ্গ ফুটায় একের পর এক জাতীয়তাবাদী, জামাতীয়তাবাদী, আওয়ামীবাদী, সামরিকবাদী গুহ্যিকা খালি দিয়াই যাইবো আর দিয়াই যাইবো, এইটা চলবো না।

কই ভাই প্রক্টলজিস্ট, হাত লাগান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.