বার্তাবাহী মেঘগুলো আজ কার খবর ছড়িয়ে দেবে? আমি গতকাল দুপুরে একচিলতে রোদ চামচে উঠিয়ে রেখেছি, এভাবে জমিয়ে রেখেছি কত শত পূর্নিমা আমার চিলেকোঠায় সূর্য এবং বৃষ্টির যুগপথ ক্রীয়ায় রচিত হচ্ছে জন্মান্তরের দিনলিপি। এভাবেই বেড়ে চলি আমরা সাজ্জাদ, শরীফ কিংবা রিয়াদ ভাগবসানো সিগারেট, কিংবা ২:১ চায়ের কাপে মশগুল কোনো রমনীর বস্ত্র উন্মোচনে কিংবা নিখাদ ভালবাসায় বিরক্ত আকাশ হয়তো কান্নায় জন্ম দেয় চিত্রা কিংবা কর্নফুলী। দু-একটা স্ল্যাং অনেক সন্ধায় কত অবহেলায় ঝরে পরে প্রতিকূল আবহাওয়াতেও রচিত হয় ফ্রাস্টেটেড নতুন গল্প কেউবা কিছুই হচ্ছেনা জেনেও আমার মত কবিতা লেখে এ বর্ষায় ধুযে যাচ্ছে কত লাদেন, ওবামা, ডান কিংবা বাম। এরই মাঝে বারবার তুমি ক্যানভাসে, আঁধভাঙ্গা শার্সিতে চায়ের স্যাকারিন কাপে, কুন্ডুলী পাকানো সিগারেটের ধোঁয়ায়- আর তুমি না হলে আর কেউ নয়, কিচ্ছু নয় এক ফোঁটা বৃষ্টিও যেন না ঝরে ঘোর বর্ষায়। মাঝে মাতাল মি্তুল মলিন মিতালী মাঝরাতে কামিজ কিংবা সেলোয়ার অথবা আটপৌঢ়ে শাড়ি বাঁধভাঙ্গে বিদগ্ধ বিহঙ্গ বিরান বাথানে বিবমিসায় ব্রীজ পেরোলে কুমারী বাঁকে জলধারা উতসূক। এভাবেই নিত্য বাতাসগুলো ভেজা কাপড় শুকিয়ে দেয় হাসগুলো পানিতে এবং কবুতরগুলো আকাশে ভাসে সুহাসিনী প্রতিদিন আরও মলিনভাবে হাসে আর বিনয়বাবুর চশমা হয় আরেকটু ঝাপসা কিংবা বিব্রত। তবু স্বপ্ন দেখা এবং ঘুড়ি ওড়াবার সাধ ক্রমশ বেড়েই চলে কত সংক্ষিপ্ত ঘটনা ইতিহাস হয়ে যায় আদিক্ষেতায় এক সময় পেছন থেকে উঁকি মারে দূরন্ত শৈশব স্বপ্নগুলো আর দেখা হয়না ঘুড়িগুলো ভোকাট্টা হবার আশংকায়। কিন্তু, বার্তাবাহী মেঘগুলো আজ কার খবর ছড়িয়ে দেবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।