পাইকগাছার এতিম মেয়ে জেসমিন ঢাকায় কাজ করতে গিয়ে অবশেষে লাশ হয়ে ফিরে এসেছে। ঘটনার পর সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের। প্রশ্ন উঠেছে, এটা আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দাবি উঠেছে লাশের পুনঃময়নাতদন্তের। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়েছে।
বিনিময়ে লাশের জন্য ১ লাখ আর কবর পাকাকরণের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছিটকে পড়েছে গৃহকর্তার পক্ষের লোকেরা। ফলে জেসমিনের মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল।
এলাকাবাসী ও মৃত জেসমিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কাজী নাজিরুল ইসলাম খোকন ৬ মাস আগে পার্শ্ববর্তী চরমলই গ্রামের মৃত রাজ্জাকের কন্যা জেসমিন (১৪) কে নিয়ে তার মেয়ে মিতার ঢাকার ১৩৩, নয়াপল্টন আজিমপুরের বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে পাঠিয়ে দেয়। সূত্র জানায়, গত ৩১ শে জুলাই রাতেই তাকে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঘরে টাঙিয়ে রাখা হয়। এবং ১লা আগস্ট সকালে মোবাইলের মাধ্যমে জেসমিনের পরিবারকে জানানো হয় সে আত্মহত্যা করেছে।
এবং ঢাকার লালবাগ থানায় এ সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলাও দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাইনুল হাসান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে প্রেরণ করেন। গত ২রা আগস্ট জেসমিনের ক্ষত-বিক্ষত লাশটি অজ্ঞাত পরিচয়ের ২ জন ব্যক্তি মাইক্রোযোগে গদাইপুরের চরমলই গ্রামে নিয়ে আসে। প্রথম পর্যায়ে উক্ত দু’ব্যক্তিকে গ্রামের লোকজন আটক রেখে লাশটি খোকন কাজীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে দেন-দরবারের মাধ্যমে উক্ত দু’ব্যক্তি জেসমিনের জীবনের বিনিময়ে ১ লাখ ও কবর পাকাকরণের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে গাঢাকা দেয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল সহ বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবি নাজিরুল ইসলাম ওরফে খোকন কাজীর স্ত্রী’র কিডনি ও নাতনির বাল্ব নষ্ট রয়েছে। যে কারণে, জেসমিনকে হত্যা করে তার শরীর থেকে কিডনি ও বাল্ব সরিয়ে তাদের শরীরে স্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার সময় খোকন কাজী ঢাকায় থাকলেও কেন সে জেসমিনের লাশের সঙ্গে না এসে অপরিচিতদের এবং লাশের সঙ্গে টাকা পাঠালো এমন নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর। তবে খোকন কাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেসমিনের পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবি লাশ কবর থেকে উত্তোলনপূর্বক পুনঃতদন্তের। এ ব্যাপারে তারা খুলনা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।