আমাদের বাসা থেকে কিছুদূরে পটিয়া রেলষ্টেশন। যে ছেলেটির কথা বলতে যাচ্ছি তার বাসা ঐ ষ্টেশনের পাশে। ছেলেটির বয়স আনুমানিক ১৬/১৭ বছর। ৪বছর বয়সে তার মা মারা যায়। এরপর তার বাবা ২য় বিয়ে করেন।

ছেলেটিকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় তার কিছু অদ্ভূত সমস্য দেখা দেয়। সমস্যা গুলো ছিল এরকম যে, সে রাতে তার বিছানায় ঘুমাতে গেল এবং সকালে নিজেকে অনেক দূরে আবিষ্কার করল! যেমন একদিন রাতে সে পটিয়ার নিজ বাসায় ঘুমায় কিন্তু সকালে তাকে যথাস্থানে পাওয়া যায় না। তার আত্নীয়-স্বজনের অনেক খোঁজাখুজির পার তাকে বাসা থেকে প্রায় ২০০কি.মি দূরে টেকনাফের এক প্রত্যন্ত এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে তার উপর নাকি জ্বীন সওয়ার হয়েছে!! তার ভাষ্যমতে জ্বীনটি তাকে প্রায়শ বিয়ে করার জন্য পীড়াপীড়ি করে।

যদিও এলাকার মানুষ এ কথা বিশ্বাস করত না কিন্তু কিছুদিন আগে সে হঠাৎ লোকচক্ষুর সামনে থেকে উধাও হয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা পর তাকে তার বাসার পাশের রেইনট্রি গাছের উপর অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঐ গাছ থেকে নামিয়ে আনে। তার সারা গায়ে নখের আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া যায়। একদিন পর ছেলেটির জ্ঞান ফিরে আসে।

তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে যে, জ্বীনটি তার রক্ত পান করেছে এবং কিছুদিনের মধ্যে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কাউকে ঘটনাটি বললে হাস্যকর মনে করে। আসলে নিজের চোখে ছেলেটির শরীরের অবস্থা না দেখলে কেউ ঘটনাটি বিশ্বাস করতে চাইবে না। ।